- ইলন মাস্ক: বিশ্বের অন্যতম একজন সফল উদ্যোক্তা - March 10, 2021
- দ্য সিক্রেট নাজকা লাইন: যার প্রকৃত সত্য আজও রহস্যাবৃত - March 1, 2021
- ড্রাকুলা সিনড্রোম: সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা অশুভ অস্তিত্ব - January 11, 2021
ইলন মাস্ক এমন একজন ব্যক্তি যিনি শুধু স্বপ্ন দেখেন না স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেন। স্পেসএক্স, টেসলা, সোলারসিটি ইত্যাদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে ইলন মাস্কের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এছাড়াও তিনি পেপাল এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সারা বিশ্বে খ্যাত।
তিনি একাধারে স্পেসএক্স এর সিইও, সিটিও এবং লিড ডিজাইনার, টেসলা ইনকর্পোরেটেড এর সিইও, চেয়ারম্যান ও প্রোডাক্ট আর্কিটেক্ট আর সেই সাথে সোলার সিটি এর চেয়ারম্যান। তিনি মানব জাতির বিলুপ্ত রোধে কাজ করছেন মাল্টি প্ল্যানেটারী প্রজেক্টে।
তিনি স্বপ্ন দেখেন মঙ্গলে উপনিবেশ স্থাপন করার, ২০২৪ সালের মাঝে মানবজাতিকে মঙ্গল গ্রহে পাঠানো শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। মহাকাশ যাত্রাকে তিনি এতটাই সস্তা ও সহজলভ্য করেছেন যে এর খরচ এখন আগের থেকে ৯০ শতাংশের মতো কমে এসেছে।
কিছুটা খ্যাপাটে ধরনের লোকই বলা চলে তাকে। নিত্যনতুন উদ্ভাবনী চিন্তা আর সেগুলোর বাস্তবায়ন করে প্রতিনিয়ত সংবাদের শিরোনাম হয়ে চলেছেন।
জন্মগতভাবে তিনি আফ্রিকান হলেও মোট তিনটি দেশের নাগরিকত্ব (আফ্রিকা, কানাডা এবং আমেরিকা) রয়েছে তার। তবে বর্তমানে আমেরিকাতেই বসবাস করছেন।
ইলন মাস্কের পরিচয়


ইলন মাস্কের পুরো নাম ইলন রিভ মাস্ক। ১৯৭১ সালের ২৮ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা কানাডিয়ান এবং বাবা দক্ষিণ আফ্রিকান। জন্মের পর ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি আফ্রিকায় ছিলেন। এরপর কানাডায় চলে আসেন।
ইলন মাস্কের ছেলেবেলাটা বেশ বৈচিত্র্যময়। মাত্র নয় বছর বয়সেই তাঁর বাবা-মার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। এই মানসিক ধাক্কা সামলাতেই তিনি কম্পিউটারের সাথে সময় কাটানো শুরু করেন। ১২ বছর বয়সে নিজেই প্রোগ্রামিং শিখে একটি ভিডিও গেমসও বানিয়ে ফেলেছিলেন।
ইলন মাস্কের শিক্ষাজীবন


মাস্ক ছোটবেলায় বাবার সাথে আফ্রিকায় থাকাকালীন সেখানকার স্থানীয় বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ালেখা করেন।
১৯৮৯ সালে ১৭ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা পরিহার করে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মা কানাডিয়ান হওয়ার সুবাদে তিনিও সহজেই কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে যান। অতঃপর সেখান থেকে ১৯৯২ সালে আমেরিকায় পাড়ি জমান ইউনিভার্সিটি অব পেনসেলভেনিয়াতে ব্যবসা ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনার জন্য।
অর্থনীতিতে প্রথম ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর দ্বিতীয় ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন পদার্থবিজ্ঞানে। সেখান থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন এনার্জি ফিজিক্সে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য।
ঠিক সে সময়েই ইন্টারনেট বিপ্লবের সূচনা হয় এবং মাস্ক এর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে মাত্র দুই দিন পিএইচডি প্রোগ্রামে কাজ করার পর বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন। তিনি নিজেও হয়তো জানতেন না সে সময় নেয়া এই হঠকারী সিদ্ধান্ত একসময় তাঁর ব্যক্তি জীবন এবং বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।
জিপ ২
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে ভাইয়ের সাথে মিলে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর প্রথম কোম্পানি ‘জিপ২’। জিপ ২ আসলে ছিল একটি অনলাইন ভিত্তিক সিটি গাইড। এটি মূলত ছিল পত্রিকা প্রকাশকদের জন্য যা ব্যবসায়িক দিক-নির্দেশনা এবং মানচিত্র প্রদান করতো।
১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কম্পিউটার্স নগদ ৩০৭ মিলিয়ন ডলার ও ৩৪ মিলিয়ন ডলারের স্টকের বিনিময়ে ‘জিপ ২’ কিনে নেয়। এখান থেকে ইলন মাস্কের ভাগে জোটে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার। যা তিনি তাঁর পরবর্তী উদ্যোগের মূলধন হিসেবে ব্যবহার করেন।
পেপাল


১৯৯৯ সালে কয়েকজন সহ নির্মাতার সঙ্গে এক্স.কম নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবাদাতা সাইট চালু করেন যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী পেপাল হিসেবে পরিচিতি পায়। শুরুতে এই সেবাটি কেউ গ্রহণ করতে না চাইলেও বর্তমানে এটি ইন্টারনেট ভিত্তিক টাকা লেনদেনের সবচেয়ে বড় মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।
২০০২ সালে পেপালকে ‘ইবে’ কিনে নেয় প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। বিক্রির পূর্বে ইলন মাস্ক পেপাল এর ১১ শতাংশ শেয়ারের মালিক থাকায় প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গল অভিযাত্রা : মঙ্গলে মানববসতি গড়ার এক অকল্পনীয় মিশন
স্পেসএক্স


২০০২ সালে মাস্ক তাঁর তৃতীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান “স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজিস কর্পোরেশন” বা স্পেসএক্স এর যাত্রা শুরু করেন।
২০০২ সালে আরো একটি ঘটনা ঘটে মাস্ক এর জীবনে। বহুল প্রতীক্ষিত আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন।
যাই হোক, স্পেসএক্সের কথায় আসা যাক। এটি মূলত মহাকাশযান তৈরি এবং উৎক্ষেপণ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান। স্পেসএক্স থেকে এমন রকেট তৈরি করা হয় যেগুলো প্রচলিত রকেটের চাইতে অনেকগুণ বেশী সস্তা কিন্তু কার্যকারিতার দিক দিয়ে এক নম্বরে অবস্থান করছে। রকেট সম্পর্কে তেমন কোন পূর্বজ্ঞান না থাকলেও দিনের পর দিন বই পড়তে পড়তে নিজেকে রীতিমত রকেট বিজ্ঞানীতে পরিণত করেন তিনি।
স্পেসএক্সই একমাত্র ব্যক্তি মালিকাধীন কোম্পানি যেখান থেকে প্রথম কোন মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়।
নাসার সাথেও স্পেসএক্সের চুক্তি হয় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে মালামাল পৌঁছানো এবং নাসার নিজস্ব মহাকাশযানের বদলে স্পেসএক্স এর যানে মহাকাশচারী আনা নেয়ার ব্যাপারে। কারণ স্পেসএক্সের মহাকাশযানগুলো একাধিকবার ব্যবহারোপযোগী। আর বর্তমানে স্পেসএক্স থেকেই সকল রকেট কিনে নেওয়া সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে নাসা।
ফ্যালকন ৯ রকেট
/cdn.vox-cdn.com/uploads/chorus_asset/file/11416211/42025498972_8720104d8a_o.jpg)
/cdn.vox-cdn.com/uploads/chorus_asset/file/11416211/42025498972_8720104d8a_o.jpg)
২০১২ সালের ২২ মে স্পেসএক্সের পাশাপাশি ইলন মাস্কও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক পরিচিতি পান একটি নামহীন ক্যাপসুলসহ ফ্যালকন ৯ রকেট উড্ডয়ন করার মাধ্যমে। মহাকাশযানটিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত মহাকাশচারীদের জন্য ১০০০ পাউন্ড ওজনের রসদ ছিল।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে স্পেসএক্স আরও একটি মাইলফলক অতিক্রম করে ফ্যালকন ৯ এর মাধ্যমে একটি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে।
এছাড়াও ২০১৮ সালের ১২ই মে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট তথা কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু ১’ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্স এর ফ্যালকন ৯ রকেটে করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
ফ্যালকন হেভি ও টেসলা মোটরস


তবে সব মাইলফলক ছাড়িয়ে যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন ইলন মাস্ক তা হচ্ছে ফ্যালকন হেভি। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় বিশ্বের সব থেকে ক্ষমতাশালী রকেট ফ্যালকন হেভি।
ফ্যালকন হেভির প্রথম উৎক্ষেপণে ভর হিসেবে একটি টেসলা রোডস্টার গাড়ি মহাকাশে পাঠিয়েছে স্পেসএক্স। গাড়ির চালকের আসনে বসানো হয়েছে মানবাকৃতির ডামি। এটি পুরোপুরি সফল হলে প্রয়োজন মত যে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ বা অন্যান্য যন্ত্রাংশ মহাকাশে পাঠাতে পারবে তারা।
২০০৩ সালের জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণকারী কোম্পানি টেসলা মোটরস। গাড়ি প্রেমিকদের কাছে টেসলা এক পরিচিত নাম। যদিও কোম্পানির শুরুতে ইলন মাস্ক ছিলেন না। ২০০৪ সালে তিনি এর চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।
মাস্ক টেসলাতে যোগদান করার পর কোম্পানিটি নতুন করে যাত্রা শুরু করে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে। প্রতিষ্ঠার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় ২০০৮ সালে টেসলা স্পোর্টস কার এর একটি এডিশন ‘রোডস্টার’ বাজারজাত করে।
হাইপার লুপ
২০১৩ এর আগস্টে ইলন মাস্ক যাতায়াতের একটি নতুন পদ্ধতির কথা ঘোষণা দেন যাঁর নাম তিনি দেন “হাইপার লুপ”। এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে অল্প সময়ে বড় বড় শহরগুলোতে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। ক্যাপসুলের মতো দেখতে এই যান একটি লো প্রেশার টিউবের নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে ঘণ্টায় ৭০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারবে।
টিউবটি হবে সম্পূর্ণ বায়ু-মুক্ত, কাজেই এতে ঘর্ষণ থাকবে না বললেই চলে। মাস্কের মতে এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন ও ব্যবহারোপযোগী হতে সাত থেকে দশ বছর সময় লাগবে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও নিউরালিঙ্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান ওপেন এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ২০১৫ এর শেষের দিকে যাত্রা শুরু করে। আর ইলন মাস্ক হলেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান। এই কোম্পানিটি মানবতার কল্যাণে ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের জন্য গবেষণার কাজ করে থাকে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে ইলন মাস্কের আগ্রহ বরাবরই ছিল। স্নায়ুবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থাটি ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে। মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নিউরালিঙ্ক নামের এই প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন একের পর এক উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে কাজ করে যাওয়া ইলন মাস্ক। যদিও জনসমক্ষে ২০১৭ সালে খবরটি প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস: মস্তিষ্ক দিয়ে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবার হাতের মুঠোয়
দ্য বোরিং কোম্পানি
ইলন মাস্ক যখন দেখলেন প্রতিদিন ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে থেকে আমাদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো নষ্ট হচ্ছে তখন তিনি আরেকটি যুগান্তকারী আবিষ্কারের পরিকল্পনা করেন! তিনি একটি টানেল নির্মাণকারী কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তিনি “দ্য বোরিং কোম্পানি” নামে খননকারী প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন যার প্রথম কাজ ছিল লস এঞ্জেলসে অবস্থিত স্পেসএক্স এর আওতাভুক্ত জমিতে পরীক্ষামূলক খননকার্য চালানো। অক্টোবরের শেষের দিকে মাস্ক কোম্পানির কাজের অগ্রগতির ছবি পোস্ট করেন তার ইন্সটাগ্রামে।
রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা


ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর যখন বিশাল অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা ঘোষণা দেন তখন ইলন মাস্ক নতুন রাষ্ট্রপতি ও তাঁর উপদেষ্টামন্ডলীর সাথে নিজের চিন্তার বেশ মিল খুঁজে পান। সে বছরের ডিসেম্বরেই ট্রাম্পের কৌশল ও নীতি বিষয়ক ফোরামে তাকে আহ্বান জানানো হয় এবং তার পরের জানুয়ারিতে তিনি ট্রাম্পের “ম্যানুফ্যাকচারিং জবস ইনিশিয়েটিভ” এ যোগ দেন।
বিতর্কিত ট্রাম্প প্রশাসনে তাঁর যুক্ত হওয়ার মূল লক্ষ ছিল মূলত সৌরশক্তি ব্যবহার করে পৃথিবীর যাত্রাকে গতিশীল করা আর এর ফলে লক্ষ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তবে সেই বছরের ১ই জুন ট্রাম্প প্যারিসে অনুষ্ঠিত পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করার পর ইলন মাস্ক তাঁর উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
ইলন মাস্কের সম্মানজনক স্বীকৃতি
মানবজাতির কল্যাণে বিশেষ করে মহাকাশ অন্বেষণ এবং মানবজাতির স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে ইলন মাস্ক ‘মাস্ক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানটি বিধ্বস্ত এলাকাতে বিনামূল্যে সৌরশক্তি সরবরাহ করে থাকে, এছাড়াও বহু ব্যবহারযোগ্য পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎস খুঁজে বের করা বা মহাকাশসংক্রান্ত গবেষণার কাজে সাহায্য করে থাকে।
তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য একাধিক পুরস্কার এবং স্বীকৃতি লাভ করেন। ২০১০ সালে মহাকাশে রেকর্ডের জন্য প্রাইমারি ওয়ার্ল্ড সংগঠন এর পক্ষ থেকে তিনি ”ফেডারেশন এয়ারোনটিক ইন্টারন্যাশনাল” এফএআই গোল্ড স্পেস পুরস্কার পান।
২০১৬ সালে পৃথিবীর সেরা ১০০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় ৮৩ তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নেন। ২০১৭ এ ফোর্বস এর ৪০০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় আমেরিকার ২১ তম ধনী হিসেবে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেন।
ইলন মাস্কের জীবনী থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে ‘আয়রনম্যান’ খ্যাত টনি স্টার্ক এর চরিত্র। ‘আয়রনম্যান ২’ এ ক্যামিও আছে ইলন মাস্কের, এমনকি ‘আয়রনম্যান ২’ চলচ্চিত্রটির কিছু অংশ তার স্পেসএক্সের ভিতরে দৃশ্যায়িত হয়েছিলো।
ফোর্বস এর ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এর মোট সম্পদের পরিমাণ তার ব্যক্তিগত সম্পদের থেকেও বেশি। সব মিলিয়ে শীর্ষ ধনসম্পদশালী হিসেবে বিল গেটস, জেফ বেজোসের কাতারে নাম লিখিয়েছেন ইলন মাস্ক।
প্রচ্ছদ চিত্রসূত্র: WP