শাহ সিকান্দার জুলকারনাইন: একজন দিগ্বিজয়ী বীর (শেষ পর্ব)
হযরত খিজিরকে (আ.) সঙ্গী করে জুলকারনাইন আবে হায়াতের সন্ধানে বের হন। কিন্তু আল্লাহর সংকেত বুঝতে পেরে তিনি পিছিয়ে যান এবং অভিযান পরিত্যাগ করেন। বাকি জীবন তিনি আল্লাহর ইবাদতেই কাটিয়ে দেন।
হযরত খিজিরকে (আ.) সঙ্গী করে জুলকারনাইন আবে হায়াতের সন্ধানে বের হন। কিন্তু আল্লাহর সংকেত বুঝতে পেরে তিনি পিছিয়ে যান এবং অভিযান পরিত্যাগ করেন। বাকি জীবন তিনি আল্লাহর ইবাদতেই কাটিয়ে দেন।
আধুনিক এই সময়ে এসে মানুষকে কেবল মিডিয়ার বাঁধা ছকে আটকে রাখা সম্ভব নয়। ইন্টারনেটের সহায়তায় যে কেউই মিডিয়ার বাঁধাধরা বয়ানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রকৃত সত্য সম্পর্কে অবহিত হতে পারেন। ইসলাম বিরোধিতায় সমগ্র পশ্চিমা মিডিয়ার এই গাঁটছাড়া বাধা সচেতন মানুষকে আরও সচেতন করে তুলছে। যার ফলে তারা বুঝে উঠতে পারছেন অনবরত মিথ্যাচারের আড়ালে একটি বিরাট সত্যকে কীভাবে লুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। কী করে স্বাধীনতা পরিণত হচ্ছে জুলুমে, উদারতার বুলিতে ভুলিয়ে দেয়া হচ্ছে শালীনতা, সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হচ্ছে ন্যায়। সেই সঙ্গে হৃদয়ের স্ফুলিঙ্গের সাথে ঐশী বাণীর সংযোগ ঘটছে যাদের, তারাই এসে হাজির হচ্ছেন এই বিশ্বাসের পাটাতনে।
রুমি একজন বিখ্যাত মুসলিম কবি ও চিন্তাবিদ। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং সাহিত্যগূণের এক ঝলক রয়েছে নিবন্ধটিতে।
শাহ সিকান্দার জুলকারনাইনকে বলা হয় মাশরিক থেকে মাগরিব অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমের অধিপতি। অনেক ঐতিহাসিক তাঁকে কেবল শাহেনশাহ বলেই নিবৃত্ত হননি, তাঁকে আল্লাহর নবিও বলেছেন। তিনি কি সত্যিই আল্লাহর প্রেরিত কোনো নবি ছিলেন? নাকি তিনিই মহাবীর আলেকজান্ডার? আজকের নিবন্ধে অসামান্য পাঠকদের জন্য থাকছে সেই দিগ্বিজয়ী বীর শাহ সিকান্দার জুলকারনাইনের কথা।
রাসুলুল্লাহর ﷺ মৃত্যু ছিল মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিরাট ক্ষতি। মাথার উপরে ছায়া হয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু পূর্ববর্তী ঘটনাবলি চলমান নিবন্ধের উপজীব্য।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পরিপূর্ণ জীবনই মানুষের চলার পথের পাথেয়স্বরূপ। তাঁর বলা প্রতিটি শব্দ, তাঁর করা প্রতিটি কাজই একজন মানুষের জন্য আদর্শ। মহানবি (স.) এর মৃত্যুর পরে তাঁর সাহাবিগণ এবং সাহাবিগণের মৃত্যুর পরে তাবেয়িগণ মানুষের কাছে মহানবি (স:) এর কথা এবং কাজ পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু বৃহত্তর সময়ের কথা বিবেচনা করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে একটি কাঠামোবদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল। সেই কাঠামোবদ্ধকরণের পথে প্রথম ধাপ ছিল ইমাম বুখারি কর্তৃক সংকলিত ‘সহিহ বুখারি’। ইমাম বুখারির সংকলিত এই প্রামাণ্য গ্রন্থ ‘বুখারি শরিফ’ সর্বদাই ইসলামি ইতিহাসের এক উজ্জ্বল স্তম্ভ হয়ে থাকবে।
যাঁর মাধ্যমে বাংলায় সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনের সূচনা হয়, তিনি হলেন বখতিয়ার খলজি। পুরো নাম ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি। তিনি গরমসির অধিবাসী এবং তুর্কি খলজি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাসে বখতিয়ার খলজি ব্যাপকভাবে জায়গা করে নিতে না পারলেও মধ্যযুগে বাংলার ইতিহাসের মোড় ঘুরাতে তাঁর অবদান কম নয়। অনেকের কাছে তিনি বীর যোদ্ধা, আবার অনেকের কাছে খলনায়ক—অবশ্যই তা একেক ঐতিহাসিকের ইস্তফসারের ওপর নির্ভর করে।
সমগ্র মক্কা নগরী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, তখন আলোর দিশারী হয়ে আসেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। নবুয়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন। ইসলাম প্রচার করতে গিয়েই মক্কার কাফেরদের সাথে মুসলমানদের খণ্ডযুদ্ধ সহ অনেক বৃহৎ যুদ্ধও সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম বড় আকারের যুদ্ধ।