মুখোমুখি বাপু ও বঙ্গবন্ধু: সমাপ্ত বনাম অসমাপ্ত অধ্যায়
মহাত্মা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমান- দুজনই ছিলেন নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতা, দুজনই তাঁদের নিজ দেশের জাতির জনক।
মহাত্মা গান্ধী ও শেখ মুজিবুর রহমান- দুজনই ছিলেন নিজ নিজ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধান নেতা, দুজনই তাঁদের নিজ দেশের জাতির জনক।
বর্তমানে আয়না খুবই সহজলভ্য একটি অনুসঙ্গ। সাজসজ্জার সাথে যা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। সামান্য কারণে বাইরে বেরোতেও যেন আয়নায় নিজেকে একবার না দেখলেই নয়। একারণে বাড়িতে অপরিহার্যভাবে ড্রেসিং টেবিলে তো আয়না থাকছেই, সাথে শৌখিনতার জন্য ঘর সাজানোর কাজেও হচ্ছে আয়নার ব্যাপক ব্যবহার। আর মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ যেন আয়নার নিজস্ব আবাসস্থল।
আলফ্রেড দ্যা গ্রেট: ওয়েজেক্সের রাজা, ভাইকিং আক্রমণের বিরুদ্ধে একজন সফল রক্ষক এবং একমাত্র ইংরেজ রাজা যিনি “দ্যা গ্রেট” হিসাবে পরিচিত
আলফ্রেড এর দ্য গ্রেট হওয়ার গল্প। যার পেছনে রয়েছে অসীম সাহস ও বীরত্ব।
একটি হত্যা কীভাবে লাখ লাখ নয় কোটি কোটি মৃত্যুর কারণ হতে পারে, তার উৎকৃষ্ট (পড়ুন নিকৃষ্ট) উদাহরণ হলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। গ্যাভ্রিলো প্রিন্সিপের গুলিতে শুধু প্রিন্স ফার্ডিনান্ড নিহত হন নি, হয়েছে দুই কোটি মানুষ! বিস্তারিত পড়ুন এই নিবন্ধে।
প্রজেক্ট ম্যানহাটন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মিত্রশক্তি গৃহীত একটি সামরিক প্রকল্প যার মূল লক্ষ্য ছিল নিউক্লিয়ার ফিশন থেকে প্রাপ্ত বিপুল শক্তি কাজে লাগানো।
বিশ্ববিখ্যাত কয়েকজন কিংবদন্তির জন্ম, মৃত্যু আর কাজ নিয়েই সাজানো হয়েছে আলো-আঁধারে নিবন্ধটি।
যুগ যুগ ধরে মানবদেহের গঠন সমন্ধে আমাদের কৌতূহল মিটিয়ে এসেছে অঙ্গসংস্থানবিদ্যা। কিন্তু জানেন কি! এই বিদ্যার শুরুটা হয়েছিল চুরি করা কঙ্কাল দিয়ে।
হযরত খিজিরকে (আ.) সঙ্গী করে জুলকারনাইন আবে হায়াতের সন্ধানে বের হন। কিন্তু আল্লাহর সংকেত বুঝতে পেরে তিনি পিছিয়ে যান এবং অভিযান পরিত্যাগ করেন। বাকি জীবন তিনি আল্লাহর ইবাদতেই কাটিয়ে দেন।
রুমি একজন বিখ্যাত মুসলিম কবি ও চিন্তাবিদ। তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং সাহিত্যগূণের এক ঝলক রয়েছে নিবন্ধটিতে।
সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রাজবংশের উথান পতন ঘটেছে। ইতিহাসের এমন এই এক বংশ মুক্তাগাছার জমিদার বংশের ইতিবৃত্ত আজকের নিবন্ধ এর মূল প্রতিপাদ্য।
শাহ সিকান্দার জুলকারনাইনকে বলা হয় মাশরিক থেকে মাগরিব অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমের অধিপতি। অনেক ঐতিহাসিক তাঁকে কেবল শাহেনশাহ বলেই নিবৃত্ত হননি, তাঁকে আল্লাহর নবিও বলেছেন। তিনি কি সত্যিই আল্লাহর প্রেরিত কোনো নবি ছিলেন? নাকি তিনিই মহাবীর আলেকজান্ডার? আজকের নিবন্ধে অসামান্য পাঠকদের জন্য থাকছে সেই দিগ্বিজয়ী বীর শাহ সিকান্দার জুলকারনাইনের কথা।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পরিপূর্ণ জীবনই মানুষের চলার পথের পাথেয়স্বরূপ। তাঁর বলা প্রতিটি শব্দ, তাঁর করা প্রতিটি কাজই একজন মানুষের জন্য আদর্শ। মহানবি (স.) এর মৃত্যুর পরে তাঁর সাহাবিগণ এবং সাহাবিগণের মৃত্যুর পরে তাবেয়িগণ মানুষের কাছে মহানবি (স:) এর কথা এবং কাজ পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু বৃহত্তর সময়ের কথা বিবেচনা করে পুরো প্রক্রিয়াটিকে একটি কাঠামোবদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল। সেই কাঠামোবদ্ধকরণের পথে প্রথম ধাপ ছিল ইমাম বুখারি কর্তৃক সংকলিত ‘সহিহ বুখারি’। ইমাম বুখারির সংকলিত এই প্রামাণ্য গ্রন্থ ‘বুখারি শরিফ’ সর্বদাই ইসলামি ইতিহাসের এক উজ্জ্বল স্তম্ভ হয়ে থাকবে।
ভারতবর্ষের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজবংশ হলো মুঘল রাজবংশ।বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার লোভ আপনজনদের মধ্যে সৃষ্টি করেছে কোন্দল, ফ্যাসাদ। চরাই-উৎরাই পেরিয়ে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠার ঘটনাপ্রবাহই মূলত এখানে আলোচিত হয়েছে।
যাঁর মাধ্যমে বাংলায় সর্বপ্রথম মুসলিম শাসনের সূচনা হয়, তিনি হলেন বখতিয়ার খলজি। পুরো নাম ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি। তিনি গরমসির অধিবাসী এবং তুর্কি খলজি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। ইতিহাসে বখতিয়ার খলজি ব্যাপকভাবে জায়গা করে নিতে না পারলেও মধ্যযুগে বাংলার ইতিহাসের মোড় ঘুরাতে তাঁর অবদান কম নয়। অনেকের কাছে তিনি বীর যোদ্ধা, আবার অনেকের কাছে খলনায়ক—অবশ্যই তা একেক ঐতিহাসিকের ইস্তফসারের ওপর নির্ভর করে।
মহাত্মা গান্ধী এক কর্মময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। ভারতবর্ষের মানুষের বহু দিনের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা তাঁর হাত ধরেই এসেছে।
বিংশ শতাব্দীর বিশ্বরাজনীতিতে অক্টোবর বিপ্লব অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জার্মান ষড়যন্ত্র বলে একে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইলেও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বলশেভিকদের রাজনৈতিক কৌশল আসলেই চিন্তার খোরাক যোগায়।
অন্য অনেক সাম্রাজ্যের সাথে তুলনা করলে, মুঘল রাজবংশের স্থায়িত্ব ছিল কম। ১৫২৬ থেকে ১৮৫৭, রাজবংশের স্থায়িত্ব মাত্র ৩৫০ বছর। কিন্তু মুঘল শাসকেরা ছিলেন ব্যতিক্রম। স্থাপত্যকীর্তি যে হাজার হাজার বছর ধরে তাঁদের কথা মানুষের মাঝে স্মরণীয় করে রাখবে, সে সম্পর্কে তারা অবগত ছিলেন। আর সেই চিন্তাধারারই ফসল হল তাজমহল। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মুঘল রাজবংশের কীর্তি প্রচার করে যাচ্ছে তাজমহল। একই সাথে সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজ মহলের অমর প্রেম কাহিনীকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিচ্ছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আগ্রায় স্থাপিত এই তাজমহল। ১৯৮৩ সালে এই অসামান্য স্থাপত্যকীর্তিকে বিশ্বঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করে।
ইংরেজি ভাষায় “কফি” (Coffee) নামটির প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৫৮২ সালে, ডাচ শব্দ কফি (Koffie) থেকে। ডাচ ভাষার কফি শব্দটির উৎসও আরবি শব্দ Qahwah (অর্থ: ক্ষুধা নেই) থেকে। এই কাহ্ওয়াহ্ শব্দটি আবার তুর্কিদের কফির প্রতিশব্দ কাহ্ভে-র কাছাকাছি। আবার প্রাচীনকালে ইথিওপিয়ার প্রদেশ কাফ্ফা-র সাথেও কফির নামের সামীপ্য দেখা যায়।
পৃথিবীতে কালান্তরে এমন কিছু মানুষের আবির্ভাব ঘটে যাদের আগমন এবং কর্মকান্ডে পুরো মানবজাতির কল্যাণ নিহিত থাকে। অন্ধকারে তারা আসেন আলাের মশাল নিয়ে। নতুন করে ভাবতে শেখান, নিজেদের অধিকার আদায় করতে শেখান নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের। তেমনি একজন মহামানব কিংবদন্তি মহাত্মা গান্ধী। যার হাতে দমিত হয়েছে ব্রিটিশ শাসনের শৃঙ্খল। সূচিত হয়েছে স্বাধীনতার সূর্য। জীবনের সবটুকু দিয়ে রচনা করেছেন মানবকল্যাণের বাণী। তিনি সার্বজনীন, অমলিন, সর্বদলীয় আদর্শ।
খলিফাতাবাদ শহর ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা। মধ্যযুগে নির্মিত এই সকল স্থাপনা আজ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে মোহিত করে রেখেছে।
রকেট বৃত্তান্ত ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে আমরা দেখেছিলাম কীভাবে ধীরে ধীরে রকেটের বিকাশ হয়। আতশবাজি থেকে কীভাবে রকেট হয় একটি যানবাহন। কিন্তু আমরা বিজ্ঞানে তখনও রকেটের আগমন তথা রকেটকে বিজ্ঞানের বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হতে দেখি না। এরপর সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের (Sir Isaac Newton) গতির তিনটি সূত্র দ্বারা রকেট কীভাবে কাজ করে তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এই পর্বের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বিজ্ঞানের অংশ হিসেবে রকেটের যাত্রা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে রকেটের ব্যাপক ব্যবহার।
ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত স্থাপনা হলো ষাটগম্বুজ মসজিদ।
খান জাহান আলি নগর পত্তনের অংশ হিসেবে ষাটগম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন।
ইউনেস্কো শুধু মাত্র ষাট গম্বুজ মসজিদকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করেনি, বরং পুরো প্রাচীন খলিফাতাবাদ শহরকেই ১৯৮৫ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাচীন খলিফাতাবাদ শহরের সকল স্থাপত্যকর্ম, জলাধার, রাস্তা, সমাধি সবকিছুই বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ।
ভাবতে অবাক লাগলেও ২০০০ সালে Clay Mathematics Institute (CMI) এর পক্ষ থেকে এক ঘোষণা দেয়া হয়। সাতটি গাণিতিক সমস্যা যার প্রতিটি সমাধানে থাকছে ১ মিলিয়ন ডলার (যদিও একটি এতদিনে সমাধান করা হয়ে গেছে তবে বাকি আছে আরও ছয়টি)! আর সেগুলো নিয়ে “অসামান্য” পাঠকদের কিছুটা জানাতেই এই নিবন্ধ। এই নিবন্ধে গাণিতিক ব্যাপারের চেয়ে এর পিছনের ইতিহাসই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
সমগ্র মক্কা নগরী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, তখন আলোর দিশারী হয়ে আসেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। নবুয়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন। ইসলাম প্রচার করতে গিয়েই মক্কার কাফেরদের সাথে মুসলমানদের খণ্ডযুদ্ধ সহ অনেক বৃহৎ যুদ্ধও সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম বড় আকারের যুদ্ধ।
‘অ্যাম্পেয়ার অব দ্য মোঘল’ সিরিজের প্রথম বই ‘রাইডার্স ফ্রম দ্য নর্থ। বাবর মুঘল বংশের প্রতিষ্ঠাতা। বাবর ও তাঁর জীবনকথা এই গ্রন্থের উপজীব্য।
“সময়”- সবার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকের কাছে এই সময় যে যন্ত্রে দেখা হয়, তার গুরুত্বও কম নয়। ঘড়ি তাই যুগ যুগ ধরে মানুষের হাতে, পকেটে শোভা পাচ্ছে সময়ের প্রদর্শক হিসেবে। কিন্তু সব ঘড়িই কি সাধারণের জন্যে তৈরি? না! শৌখিন মানুষদের মনের চাহিদা মেটাতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিলাসবহুল ঘড়ি তৈরির চর্চা। এগুলো যেন ঘড়ি না, লিওনার্দোর আঁকা ছবি অথবা দান্তের শব্দবুনন এর মত একটি শিল্প যা হাতে ধরা যায়, পরাও যায়।
পৃথিবীর অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভিড়ে একটা প্রায় অদরকারি কথা হলো, আজ আমার জন্মদিন। যদিও পৃথিবীর আরো প্রায় দেড় কোটি মানুষ আজকে জন্মদিন পালন করবে, এদের অনেকেই গিফটের প্যাকেটের ভেতর পছন্দের খেলনাটি পাবে কিনা সেটা কল্পনা করে ভেতরে ভেতরে সাংঘাতিক উত্তেজিত যাদের বেশিরভাগের বয়স এক অংকের ঘরে।
জন্মদিন আসলে দার্শনিক হবার জন্য ভালো একটা দিন। আরেকটু চেষ্টা করলে মাঝারি সাইজের ইতিহাসবিদ, এক চিমটি গণিতবিদ হবার জন্যেও মোটামুটি ভালো দিন। কেন? এগিয়ে যেতে থাকুন।
জাপান কখনোই লিখিতভাবে নানচিং গণহত্যার জন্য চীনের কাছে দুঃখ প্রকাশ কিংবা ক্ষমা চায়নি। ২০১৫ সালে জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো এ্যাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির ৭০ বছর উপলক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেন এবং তাতে চীনে জাপানের এই বর্বরতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া হয়।
১৯১৭ সালে রাশিয়ায় সংঘটিত অক্টোবর বিপ্লব, যেটি সমর্থকদের কাছে ‘অক্টোবর সমাজতান্ত্রিক মহাবিপ্লব’ এবং বিরোধীদের কাছে ‘বলশেভিকদের ক্ষমতা দখল’ নামে পরিচিত, মানব ইতিহাসের এক অতি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বহু ইতিহাসবিদ অক্টোবর বিপ্লবের গুরুত্ব ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বর্তমান বিশ্বেও বামপন্থী, সমাজতান্ত্রিক ও সাম্যবাদী আদর্শের অনুসারীরা অক্টোবর বিপ্লবকে মানবমুক্তি ও সমতা প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।
বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা শুরু করে জাপানিরা। যখন যাকে খুশি মেরে ফেলার মত উন্মত্ত নেশা চড়ে তাদের মাথায়। মদদ দিতে থাকে স্বয়ং তাদের মিলিটারি কমান্ডারেরাই। কোন যুবক দেখলেই তাকে সৈন্য সন্দেহে ধরে নিয়ে যাওয়া হত, মেরে ফেলা হতো নির্দ্বিধায়। কোনো বৃদ্ধা বা শিশুও ছাড় পায়নি এই নৃশংসতা থেকে। এমনকি ডিসেম্বরের শেষের ১০ দিন মোটরসাইকেলে রাইফেল নিয়ে জাপানিরা নানচিং ঘুরে বেড়ায়। লুটতরাজ এবং হত্যার নেশায় মেতে উঠে। বলা হয়, ইয়াংজি নদীর রং লাল হয়ে গেছিলো, শহরের সব জলাশয় মানুষের কংকালে ভর্তি হয়ে গেছিলো।
মাত্র ছয় সপ্তাহ সময়ের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ধেয়ে আসে চীনের প্রাক্তন রাজধানী, নানচিং (অথবা নানকিং) এর জনমানুষের নিয়তিতে। সুন্দর- শান্ত, প্রাচীন এই শহরের বুকে যেন যম নেমে এসেছিল ১৯৩৭ সালের ডিসেম্বরে। সেই তাণ্ডবে প্রাণহানির পরিমাণ হিরোশিমা কিংবা নাগাসাকির থেকেও বেশি। যেখানে তিন থেকে চার লক্ষ বেসামরিক মানুষদের হত্যা করা হয় নৃশংস ভাবে; উন্মাদ ধর্ষণ, হত্যা, লুটতরাজের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠে অপ্রতিরোধ্য জাপানি সৈন্যবাহিনী। রচিত হয় ইতিহাসের আরেকটি কলংকজনক অধ্যায়। নানচিং ম্যাসাকারের বিশেষত্ব শুধু হত্যাকাণ্ডের বিশালতাই না, নিষ্ঠুর বর্বরতাও। কিন্তু কেন যেনো এই গণহত্যা এতটা পরিচিত না সবার মধ্যে।
কোনও গণিতপ্রেমীকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত সংখ্যা কোনটি? এক কথায় উত্তর আসবে যে, সেটা হল পাই, π। π = ৩.১৪১৫৯২৬৫৩৫৮৯৭৯৩২৩৮৪৬২৬৪৩৩৮৩২৭৯৫০… আপনি কি গণিতপ্রেমী? তাহলে ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। উপরের ওই ছাইপাশ সংখ্যাটা আপনার জন্যই লেখা। আসলেই কি এটা ছাইপাশ? কে এই পাই? কেনই বা সে এত বিখ্যাত? চলুন জেনে নেওয়া যাক। ধৈর্য ধরে পুরো …
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির মোনালিসাকে চেনেনা এমন নেটিজেন খুঁজে পাওয়া দুর্লভ।
১৫০৩ সালের মোনালিসাকে চিনলেও খ্রিস্টপূর্ব তিনশো সালের মোজাইক পাথরে খচিত জিপসি মেয়েকে খুব কম লোকই চেনে।
পৃথিবীতে বিখ্যাত ডায়রিগুলোর কথা বললে অ্যানা ফ্রাংকের ডায়রির কথা সবার আগে চলে আসে। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী অ্যানা ফ্রাংক যার লেখা ডায়রিতে ফুটে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিটলার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের কথা।
কিন্তু অ্যানা ডায়রি লিখতে পেরেছিল ১৫ বছর ২ মাস বয়স পর্যন্ত। ডায়রীর পাতায় শেষ লেখার ৭ মাস পরেই এই পৃথিবীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয় তাকে। সে চলে যায় কিন্তু যাওয়ার আগে রেখে যায় তার দিনলিপি, যা অমর এবং অক্ষয়।
সেই সিংহপুরুষ, যার মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়েছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে নিজ দেশবাসীর প্রতি সেই গর্জন ‘চলো দিল্লি, দিল্লি চলো’।
তিনি অবিভক্ত ভারতবর্ষের সর্বাধিক জনপ্রিয় বিপ্লবী নেতা, সকলের পরম শ্রদ্ধেয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
অনেকের মতে এই শহরটি শুধুই পৌরাণিক কল্পকথা! আবার অন্যদিকে প্লেটোর এই বর্ণনা অনেককেই ভাবাচ্ছে, সত্যিই কি এই শহরটির অস্তিত্ব ছিল, যেটা আমাদের পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে?
মহাকাশপ্রেমীদের কাছে রকেট এক অন্যরকম আবেগের নাম। কারণ এটিই তো আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যান যার মাধ্যমে নিল আর্মস্ট্রং পা রেখেছিলেন চাঁদে।
এই তো সেই রকেট যাকে নিয়ে মানুষের মঙ্গল জয়ের স্বপ্ন। কিন্তু আজকে আমরা যেই রকেট দেখে থাকি তা কিন্তু পূর্বে মোটেও এমন ছিল না। এর ইতিহাস জানতে আমাদের যেতে হবে বহু পূর্বের কাঠের তৈরি এক পাখির দিকে।
১৯১৪ সালের ২৮ জুনের রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল। অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী ডিউক ফার্নান্দ সস্ত্রীক বর্তমান সার্বিয়ার সারাজিভো রেল স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। এমন অবস্থায়ই যুগোস্লাভিক জাতীয়তাবাদী চেতনার উগ্র এক কর্মী গাভ্রিলো প্রিন্সিপ তাকে হত্যা করেন। অতি সত্বরই অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের পক্ষ থেকে সার্বিয়ার উদ্দেশ্যে চরমপত্র জারি করা হয়। ঘটনা ধীরে ধীরে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। পানি গড়াতে থাকে বহুদূর।