- কাকাবাবু সমগ্র ১: কিশোর সন্তুর চোখ দিয়ে পৃথিবী দেখার গল্প - March 7, 2021
- ‘অংকের হেঁয়ালি ও আমার মেজোকাকুর গল্প’: এক গণিতবিদের পাওয়া না পাওয়ার আখ্যান - February 14, 2021
- ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস: মস্তিষ্ক দিয়ে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবার হাতের মুঠোয় - November 22, 2020
ব্লকচেইন, ব্লকচেইন আর ব্লকচেইন। চারদিকে এ নিয়ে আর্টিকেল আর ইউটিউব ভিডিওর ছড়াছড়ি। কেনই বা বলা হচ্ছে ব্লকচেইন দুনিয়াটাকে বদলে দিবে?
অসামান্য ব্লগের পক্ষ থেকে পাঠকদের জন্য এই লেখাটি এমনভাবে লেখা হয়েছে, যাতে যেকোনো বয়সের যেকোন ব্যাকগ্রাউন্ডের পাঠক ব্লকচেইনকে হৃদয় দিয়ে বুঝতে পারেন। ব্লকচেইন কী সেটা নিয়ে তো কথা হবেই। বরং তার আগে একটা গল্প শোনা যাক যা ব্লকচেইনকে হৃদয়াঙ্গম করতে সাহায্য করবে।
কুদ্দুস আর আলেয়া একে অপরের প্রেমে মশগুল। কিন্তু আলেয়ার বাবা কিছুতেই কুদ্দুসের সাথে তার মেয়ের সম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না। এই নিয়ে কুদ্দুসের মনটা খারাপ। কোন এক পূর্ণিমা রাতে কানে ইয়ারফোন লাগিয়ে কুদ্দুস গান শুনেছিল। আপনার হয়ত কৌতূহল হচ্ছে কুদ্দুস কী গান শুনছিল? কৌতূহল হোক বা না হোক গানটা এই গল্পের জন্য খুব গুরত্বপূর্ণ। গানটি হল – এই ফাগুনি পূর্ণিমা রাতে চল পলায়ে যাই।
গানটা শুনতে শুনতে কুদ্দুসের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেল। যেই ভাবা সেই কাজ। সে ফোন দিল তার মনপাখি আলেয়াকে। বলল, “চল, আমরা পালিয়ে বিয়ে করি”। আলেয়া এই কথা শুনে একেবারে হতবাক হয়ে গেল। নিজেকে সামলে নিয়ে আলেয়া কুদ্দুসকে বোঝানোর চেষ্টা করল, এভাবে কোন প্ল্যান ছাড়াই কীভাবে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাব।
কিন্তু কুদ্দুস নাছোড়বান্দা। অগত্যা আলেয়াকে রাজি হতে হল। প্রিয় পাঠক, আপনি হয়ত ভাবছেন, এই করোনা পরিস্থিতিতে তারা ঘরের বাইরে বের হল কেমন করে। আরে, লকডাউন তো উঠে গেছে ! তাই মুখে মাস্ক আর হাতে গোলাপ নিয়ে কুদ্দুস বেরিয়ে পড়ল। আগে থেকে নির্ধারণ করা জায়গায় পৌঁছে কুদ্দুস দেখল আলেয়া আগেই পৌঁছে গেছে। পূর্ণিমার চাঁদের কী জাদু আছে তা জানা নেই, কিন্তু আলেয়াকে দেখে কুদ্দুসের মনে ঢেউ খেলে গেল। আলেয়ার উদ্দেশ্যে সে গেয়ে উঠল গানঃ
টুকরো টুকরো করে দেখ আমার এই অন্তর
– “বলোনা কবুল” সিনেমার গান, রচয়িতা ‘কবির বকুল’
পলকে পলকে তুমি অন্তরের ভিতর
জানি জানি জানি তুমি আমার প্রেমের ফুল
বলো বলো বলো শুধু, বলো না কবুল।


আলেয়া প্রতিবাদ করে উঠল – কবুল বললেই বিয়ে হয়ে যায় না। বিয়ে করার জন্য সাক্ষী লাগে। কুদ্দুস মন খারাপ করে বলল, বিয়ে করতে সাক্ষী লাগবে কেন, মনের বিয়েই তো বড় বিয়ে। আলেয়া বলল, কিছুদিন পর যদি তুমি আমাকে বিয়ে করেছ এইটা অস্বীকার কর। কুদ্দুস তো এইবার একটু রেগেই গেল। কী ! তুমি আমাকে বিশ্বাস কর না? আলেয়া কুদ্দুসকে ঠান্ডা করার জন্য বলল, আমি তোমাকে নিজের চেয়েও বিশ্বাস করি। কিন্তু সাক্ষী থাকলে আমাদের দুজনের জন্যই ভাল। ভবিষ্যতে যখন কোন কারণে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হবে তখন আমরা চাইলেই বিয়ের কথা অস্বীকার করতে পারব না।
কুদ্দুস দমে যাওয়ার পাত্র নয়। সে তখনই তাদের চার বন্ধু অনি, রনি, জনি, বনিকে ফোন দিয়ে আসতে বলল। তারা চলে আসার পর কুদ্দুস আর আলেয়া ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসে গেল। সেখানে একটা কাগজে সবাই স্বাক্ষর করল। ব্যস, তাদের বিয়ে হয়ে গেল। আর এখানেই আমার গল্প শেষ হল, নটে গাছটি মুড়োলো।
আপনি হয়ত ভাবছেন, ব্লকচেইন বোঝাতে গিয়ে কেন আমি আজাইরা প্যাঁচাল পাড়ছি। কারণ তো নিশ্চয় আছে। আসলে আমি আপনার মাথায় একটা জিনিস সেট করে দিতে চাই। আর তা হল – কোন একটা চুক্তি সম্পাদন করতে গেলে সাক্ষী লাগে। নইলে সেখানে প্রতারণার সুযোগ থাকে। এই চুক্তি হতে পারে বিয়ের চুক্তি, জমি কেনার চুক্তি, কোরবানির হাটে গরু কেনার চুক্তি, ব্যাংকে টাকা জমা রাখার চুক্তি ইত্যাদি।
চুক্তি সম্পাদনে সাক্ষী কেন লাগে
সাক্ষী না থাকলে কী হবে তা বোঝার জন্য একটা ঘটনা কল্পনা করুন। কল্পনা করুন যে আপনি আপনার গ্রামের বাড়ি থেকে এক লোকের কাছ থেকে একটা গরু কিনলেন। গরু কিনে আপনি মহানন্দে বাড়ির পথে হাঁটা দিবেন ভাবছেন। কিন্তু লোকটা (গরুর প্রাক্তন মালিক) মহা ধুরুন্ধর।
লোকটা হঠাৎ দাবি করে বসল যে আপনি গরু কেনার টাকা না দিয়েই গরু নিয়ে চলে যাচ্ছেন। এরকম মিথ্যা কথা শুনে তো আপনার মেজাজ গরম হয়ে গেল। আপনি ঝগড়া করতে শুরু করলেন। ঝগড়া দেখে আশেপাশে লোক জমা হয়ে গেল। কিন্তু আপনার মন্দ ভাগ্য। আশেপাশের সব লোক আপনার বিরুদ্ধে। কারণ, আশেপাশের লোকজন জানে যে ঐ লোকের একটা গরু আছে। কিন্তু আপনাকে তারা টাকা দিতে দেখেনি। আপনি তখন মনে মনে আফসোস করবেন, টাকা দেওয়ার সময় যদি অন্য আরও কয়েকজন উপস্থিত থাকত, তাহলে আমাকে প্রতারিত হতে হত না। তাহলে পাঠক, আপনিই বলুন যেকোন চুক্তি সম্পাদনে সাক্ষীর গুরুত্ব কতখানি।
ব্লকচেইন কী
তো সরাসরি এবার ব্লকচেইনে আসা যাক। উপরে যে সাক্ষীর ধারণাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি সেই ধারণাই আসলে ব্লকচেইনের গোড়াপত্তন ঘটিয়েছিল।
আপনি গরু কিনতে গিয়ে একবার ঠকেছেন। এর পরেরবার থেকে নিশ্চয় একই ভুল করবেন না। পরেরবার গরু কিনতে গিয়ে টাকা পরিশোধের সময় আশেপাশের লোকজনকে সাক্ষী হিসেবে রাখবেন। সাবধানের মার নেই। তাই সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি একটা কাগজে সবার স্বাক্ষর নিয়ে নেন। যাতে করে কেউ পরে মত পরিবর্তন করতে না পারে। এবার উপরে আলেয়া-কুদ্দুসের বিয়ের সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন। বিয়ে করার সময়ও কিন্তু সবাইকে একটা কাগজে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল। এই যে কোন একটা চুক্তি সম্পাদনের ক্ষেত্রে সবার স্বাক্ষর একটা কাগজে লিখে রাখা – সাদামাটা ভাষায় এটাই ব্লকচেইন।
একটু খেয়াল করলেই দেখবেন, ব্লকচেইন শব্দটার মাঝে ব্লক আর চেইন এই দুইটা শব্দ আছে। সুতরাং, অনেকগুলো ব্লককে একটার পর আরেকটা যুক্ত করে যে চেইন বা শিকল তৈরি করা হয় তাই ব্লকচেইন।
এই ব্লক আবার কী জিনিস? এখানে ব্লক মানে তথ্য বোঝানো হচ্ছে। এটা যেকোন তথ্য হতে পারে। যেমনঃ আলেয়া আর কুদ্দুসের বিবাহ সম্পন্ন হল, কিংবা আমি অমুক ব্যক্তির কাছ থেকে একটা গরু কিনলাম, কিংবা আমি এই ব্যাংকে ৫০০ টাকা জমা রাখলাম ইত্যাদি।
ব্লকচেইনের নিরাপত্তা
তো এই ব্লকচেইন কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে? ঐ যে স্বাক্ষরের কথা বলেছিলাম, তেমনি প্রতিটি ব্লকেরই একটি অনন্য নম্বর থাকে। এই নম্বর প্রতিটি ব্লকের জন্য আলাদা আলাদা হয়, কখনো অন্য কোন ব্লকের সাথে এটি মিলে যায় না। আবার স্মরণ করে দিই যে, একটি তথ্যই একটি ব্লক। যেহেতু প্রতিটা ব্লকের একটা অনন্য নম্বর আছে, তাই বলা যেতে পারে প্রতিটি তথ্যই একটি অনন্য নম্বর দিয়ে সেভ করে রাখা হয়। আর কেউ যদি একটা ব্লকে রাখা তথ্য পরিবর্তন করে তাহলে সেই অনন্য নম্বরটিও পরিবর্তন হয়ে যায়।
আগে উল্লেখ করা চার বন্ধুর কাছে আবার যাওয়া যাক। ঐ যে সেই অনি, বনি, রনি, জনি। ধরা যাক, অনি বনিকে ৫০০ টাকা দিল। এখন রনি, জনি দেখবে যে অনির ৫০০ টাকা দেওয়ার সামর্থ্য আছে কিনা। ধরে নিলাম, সামর্থ্য আছে। এখন ৫০০ টাকা পাওয়ার পর বনি কনফার্ম করবে যে আমি টাকা বুঝে পেয়েছি। তখন রনি আর জনি নিশ্চিত হবে যে অনি আসলেই বনিকে ৫০০ টাকা দিয়েছে। তখন সবাই একটা কাগজে স্বাক্ষর করবে। তারপর কাগজে যাতে আর কেউ কোন কিছু লিখতে না পারে সেজন্য কাগজটা সিলমোহর করা হবে।
কিন্তু সিলমোহর করব কী দিয়ে? কম্পিউটার বিজ্ঞানে একটা পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে অনন্য নম্বর (ইউনিক নম্বর) বের করা যায়। আমরা সেই অনন্য নম্বর দিয়েই কাগজটা সিলমোহর করব। তারপর কাগজের একটা কপি সবার কাছে রেখে দিব।
এখন বনি যদি চিটিং করতে চায়, যদি বলে যে সে অনির কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেয়নি। তখন বাকিরা ঐ সিলমোহর করা কাগজটা দেখিয়ে বলবে যে বনি তুমি মিথ্যা বলছ। বনি তখন হয়ত বলবে, আমি তোমাদের বিশ্বাস করি না। তোমরা সবাই মিলে ঐ কাগজের (ব্লকের) তথ্য পরিবর্তন করেছ। তখন সেই অনন্য নম্বর মিলিয়ে দেখা হবে। আগেই বলেছি ঐ ব্লকের বা কাগজের তথ্য পরিবর্তন করলে সেই অনন্য নম্বরটাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই যখন দেখা যাবে সেই অনন্য নম্বরটি আগের মত আছে, পরিবর্তন হয়নি, তখন প্রমাণ হয়ে যাবে যে ঐ কাগজের তথ্য পরিবর্তন করা হয়নি, বরং বনি মিথ্যা বলছে।
দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন টাকা আদান-প্রদান করছে। প্রতিটি আদান বা প্রদানকে আমরা একটা ব্লক আকারে সংরক্ষণ করতে পারি। তারপর সবগুলো লেনদেন তথা ব্লক শিকলের মত যুক্ত করব যাতে করে কেউ কোনো ব্লক বা তথ্য করাপ্ট করতে না পারে।
বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করি। আসলে ব্লকচেইনের প্রতিটি ব্লকে পূর্বের ব্লকের অনন্য নম্বরটাও সংরক্ষণ করা থাকে। তাতে কী হয়েছে?
মনে করুন কোন একটা ব্লকচেইনে ১০০টা ব্লক আছে। আপনি #৪০ ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করতে চান অবৈধ ভাবে। এখন আপনি যদি #৪০ ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করেন তাহলে তো #৪০ ব্লকের অনন্য নম্বরটাও পরিবর্তন হয়ে যাবে। আবার #৪০ ব্লকের আসল অনন্য নম্বরের তথ্য তো #৪১ ব্লকে রাখা আছে। যখন দেখা যাবে #৪১ ব্লকে রাখা আগের ব্লকের অনন্য নম্বরের সাথে #৪০ ব্লকের নতুন নম্বর মিলেনি তখন #৪০ ব্লকের তথ্য পরিবর্তনের বিষয়টি ধরা পড়ে যাবে।
কিন্তু আপনি সেই লেভেলের শেয়ানা। আপনি #৪১ ব্লক হ্যাক করে সেখানে সেভ করে রাখা #৪০ ব্লকের অনন্য নম্বরটা পরিবর্তন করে দিলেন। এত কিছু করেও আপনার শেষ রক্ষা হবে না। কারণ, তখন আবার #৪১ ব্লকের অনন্য নম্বরটি পরিবর্তন হয়ে যাবে, যা সেভ আছে #৪২ ব্লকে। তাই আপনাকে একটা ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করতে চাইলে পুরো চেইনের প্রতিটি ব্লকের তথ্য হ্যাক করা লাগবে যা প্রায় অসম্ভব। এইবার বুঝতে পারলেন, ব্লকচেইন কেন এত নিরাপদ!
ব্লকচেইনে গোপনীয়তা
আপনার মনে হতে পারে, এর মাধ্যমে হয়ত গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। আপনি আবারও ভুল করছেন। কারণ, সাক্ষী হিসেবে আপনার পরিচিত মানুষ থাকতে পারে আবার অপরিচিত মানুষ থাকতে পারে। যেমনঃ আলেয়া-কুদ্দুসের বিয়েতে তাদের চার বন্ধু পরিচিত ছিল, কিন্তু আপনি যখন গরু কিনতে গিয়েছিলেন তখন সেখানকার চারপাশের মানুষ অপরিচিত ছিল। আর এখানেই ব্লকচেইনের মজা। আপনি যাদেরকে সাক্ষী বানাচ্ছেন তারা কেউ কারো নাম বা পরিচয় জানতে পারে না। ফলে গোপনীয়তা বজায় থাকে।
আরও পড়ুন : লিনাস টোরভাল্ডস – যিনি হতে পারতেন বিল গেটস
বাংলাদেশে ব্লকচেইন
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এক্সপেরিমেন্টাল প্রজেক্ট হিসেবে ব্লকচেইন চালু করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে এটা নিয়ে বেশ লেখালেখি হতে থাকে। আশার কথা, বাংলা মায়ের মেধাবী সন্তানেরা প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ২টি পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে। এর মধ্যে একটি টিম রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়ার কাজ সম্পর্কিত প্রকল্প তৈরি করে সিলভার মেডেল অর্জন করে। অপর টিম ভূমি ব্যবস্থাপনার উপর প্রকল্প বানিয়েছিল।
ব্লকচেইন ব্যবহার করে অনলাইনে ভোট নেওয়াও সম্ভব। আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়ন ইতোমধ্যেই ব্লকচেইন ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেছে। ভাবা যায় ! ব্লকচেইন ব্যবহার করে চিকিৎসা, ভূমি ব্যবস্থাপনা, চালকবিহীন গাড়ি, সবকিছুই বদলে দেওয়া যায়। এটা অনেকটা সাকালাকা বুমবুমের ম্যাজিক পেন্সিলের মত। আপনি যেখানে চাইবেন সেখানেই ব্লকচেইন ব্যবহার করে ম্যজিক ঘটিয়ে ফেলতে পারবেন। এজন্যই মজা করে বলা হয়ঃ
উত্তর হচ্ছে ব্লকচেইন
এবার প্রশ্নটা বল
প্রিয় পাঠক, সবশেষে আপনার জন্য একটা কুইজ রেখে গেলাম। ব্লকচেইনের প্রতিটা ব্লক নিজস্ব তথ্যের পাশাপাশি তার পূর্ববর্তী ব্লকের অনন্য নম্বর সংরক্ষণ করে রাখে। তাহলে চেইনের একদম প্রথম ব্লকটা কী করে?
ফিচার ছবিসূত্রঃ Pixabay
তথ্যসূত্রঃ
১। Investopedia
২। Blockgeeks
৩। Simply Explained
৪। TEDx Chennai
৫। TEDx Talks
খুবই ভিন্নধর্মী এবং কৌতুহলদ্দীপক একটি লেখা! লেখককে ধন্যবাদ !
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। এ ধরণের মন্তব্যই তো লেখকের চলার পথে প্রেরণা যোগায়। ব্লকচেইন নিয়ে এর আগেও বাংলায় লেখা হয়েছে। আমি লেখাগুলো পড়ে খেয়াল করলাম, সেগুলোর বেশিরভাগ লেখায় ব্লকচেইন আর বিটকয়েনকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। এর ফলে অনেকের মনে ধারণা জন্মে ছিল ব্লকচেইন দিয়ে বুঝি শুধু টাকা-পয়সা লেনদেন করা যায়। কিন্তু ব্লকচেইন যে আসলে তার চেয়েও শক্তিশালী একটা আইডিয়া। আমি সেই আইডিয়াই পাঠকের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছি। ব্লকচেইন নিয়ে কথা বলতে গেলে কিছু কম্পিউটার বিজ্ঞানের কীওয়ার্ড চলে আসে। এর ফলে যারা কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষার্থী না তারা ব্লকচেইন কী সেটা বুঝতে পারে না। আমি তাদের কথা মাথায় রেখেই লেখায় নতুন নতুন শব্দ দিয়ে পাঠককে ভারাক্রান্ত করতে চাইনি।
একদম প্রথম ব্লক নিজের তথ্যের পাশাপাশি একদম শেষের ব্লকের অনন্য নম্বর সংরক্ষণ করে রাখে? 🤔
খুবই তথ্যবহুল একটা লেখা। পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম, সাথে কিছু জানতেও পারলাম।
খুব সুন্দর চিন্তা করেছেন। কিন্তু আরও একবার ভেবে দেখুন। মনে করুন, একটা চেইনে ৫০টা ব্লক আছে। নতুন একটা ব্লক সেখানে যুক্ত করা হল। তাহলে এই #৫১ ব্লকের অনন্য নম্বর প্রথম ব্লকে সেভ করতে হবে। কিন্তু প্রথম ব্লকের তথ্য পরিবর্তন করলে তো প্রথম ব্লকের অনন্য নম্বর পরিবর্তন হয়ে যাবে। তখন তো আরেক বিপদ। কারণ, প্রথম ব্লকের (আগের) অনন্য নম্বর তো দ্বিতীয় ব্লকে সেভ করা আছে।
বেশ সুন্দর হয়েছে। গল্পের ধাচে সুন্দর করে যুক্তি বোঝানোয় বেশ ভাল লেগেছে। 🖤
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমি ইচ্ছা করেই বিভিন্ন টার্ম বা কিওয়ার্ড ব্যবহার করিনি। লেজার, মাইনিং, হ্যাশ, ডিস্ট্রিবিউটেড ট্রাস্ট এই শব্দগুলো ব্যবহার করে পাঠককে অযথা নতুন নতুন শব্দ দিয়ে মাথায় চাপ সৃষ্টি করতে চাইনি। বরং এসব ধারণা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
ব্লকচেইনকে আমি এতদিন ক্রিপ্টোে কোম্পানী হিসেবে জানতাম। 🙁
লেখককে ধন্যবাদ!
[…] আলেয়া আর কুদ্দুসের কথা মনে আছে? ঐ যে ব্লকচেইন নিবন্ধে যারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। […]