- মার্কিন নির্বাচন ২০২০: ট্রাম্প নাকি বাইডেন! - November 4, 2020
বিশ্ব অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে ভাবা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। আর স্বভাবতই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে থাকে ব্যাপক উত্তেজনা! প্রায় চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই নির্বাচনের এবারের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২০। তবে এবারের মার্কিন নির্বাচনে অন্যান্য সময়ের তুলনায় হয়তো একটু বেশি ভিন্নতা দেখা যাবে, যেহেতু এটি করোনা মহামারীর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে! আর মার্কিন নির্বাচন ২০২০ এর নানা আপডেট ও তথ্য নিয়েই “অসামান্য” এর পাঠকদের জন্য এই আয়োজন।
৩ নভেম্বর ২০২০
সর্বশেষ তথ্যানুসারে,


৩১ অক্টোবর ২০২০
ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে তার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গতবারের মত এবারো তার বক্তব্য, “MAKE AMERICA GREAT AGAIN!” !
৩০ অক্টোবর ২০২০
সিএনএন থেকে পাওয়া পোল অনুযায়ী বাইডেন প্রায় ১০ ভাগ এগিয়ে আছে ট্রাম্পের চেয়ে।


২৬ অক্টোবর ২০২০
দেখা যাক নির্বাচনের অন্যতম Battleground State খ্যাত North Carolina, Wisconsin তে কে কতটা এগিয়ে!




২৫ অক্টোবর ২০২০
আজকে দেখা যাক নির্বাচনের অন্যতম Battleground State খ্যাত Pennsylvania, Michigan, Florida তে কে কতটা এগিয়ে!






২৩ অক্টোবর ২০২০
আজকে দেখা যাক নির্বাচনের অন্যতম Battleground State খ্যাত Arizona তে কে কতটা এগিয়ে!


২২ অক্টোবর ২০২০
দেখা যাক সিএনএন এর পোল অনুযায়ী কে এগিয়ে রয়েছে!


আরও দেখা যাক বিভিন্ন পোল অনুযায়ী কে কতটা এগিয়ে!




২১ অক্টোবর ২০২০
আজকে দেখে নেয়া যাক নিউ ইয়র্ক টাইমস / সিয়েনা কলেজ পোল অনুযায়ী কে কতটা এগিয়ে আছে!


১৯ অক্টোবর ২০২০
বিবিসি এর তথ্য মতে বাইডেন ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় এগিয়ে আছে। বাইডেন এর ক্ষেত্রে ৫২% এবং ট্রাম্পের ক্ষেত্রে ৪২%!


লিখেছেন:
মো: যোবায়ের হাসান
১৭ অক্টোবর ২০২০
আজকে অল্প করে জানা যাক ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কালের কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয়। যেসব কারণে ট্রাম্পকে ভোট দিতে পারে এবং যেসব কারণে তাকে বর্জন করতে পারে!


যেসব কারণে ট্রাম্পকে ভোট দিতে পারে মার্কিন নাগরিকরা:
ফেডারেল বিচার বিভাগ পুনর্নির্মাণঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সবচেয়ে স্থায়ী প্রভাব হল ফেডারেল বিচার বিভাগের পুনর্নির্মাণ।
এখন অবধি ট্রাম্প দুটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এবং ২০৫ জন বিচারককে ফেডারেল বেঞ্চে বসিয়েছেন যার সবগুলো আজীবন নিয়োগের জন্য।


দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের তথ্যমতে, ডিসেম্বর নাগাদ ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থীরা সমস্ত মার্কিন সার্কিট কোর্টের বিচারক থেকে প্রায় ২৫% নিয়েছিলেন।
স্পেস ফোর্সঃ
“738 বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা ব্যয়” বিলে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনী – স্পেস ফোর্সের ষষ্ঠ শাখা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
কর সংস্কারঃ
ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার তিন বছর পরে, ট্রাম্পের স্বাক্ষর আইন সংক্রান্ত কৃতিত্ব একটি রিপাবলিকান ট্যাক্স বিল হিসাবে রয়ে গেছে যা ট্যাক্সের কোড – কর কাটা।
আর চাকরির আইনেও ব্যাপক পরিবর্তন আনে।
প্রথম পদক্ষেপ আইনঃ
ট্রাম্প ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে “প্রথম পদক্ষেপ আইন (First step act)” কে আইনত স্বাক্ষর করেছিলেন।
বছরের পর বছর ধরে আইনী বিজয় চিহ্নিত করে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের চেষ্টা করেন।
যেসব কারণে ট্রাম্পকে বর্জন করতে পারে:
জর্জ ফ্লয়েডঃ
বর্ণ বৈষম্য নামের এই নিন্দনীয় গুণ আমেরিকাতে ভালোভাবেই দেখা যায়।
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়টি কিছুদিন আগেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।
যা ট্রাম্প প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করে এবং এ ব্যাপারে ট্রাম্প এর ব্যর্থতা প্রমাণ করে!
পারিবারিক বিচ্ছেদ এবং অভিবাসী শিশুদের মৃত্যুঃ
এটিকে ভাবা হচ্ছে ট্রাম্পের বিজয়ের অন্যতম বাধা হিসেবে। এটির কারণে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ সমালোচিত।


আর তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন ও সেই সুযোগ লুফে নিচ্ছেন টা নিচের টুইট দেখলেই বুঝা যায়।
Affordable Care Act (AKA Obamacare) প্রতিস্থাপনঃ
ওবামাকেরার এর প্রতিস্থাপন তাকে বেশ সমালোচিত করে এবং অনেকেই তাকে এজন্য তিরস্কার জানায়।


অপরদিকে তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন ওবামাকেয়ার বজায় রাখায় বিশ্বাসী।




কোভিড -19 মহামারীঃ
আশা করি পাঠক হয়ত নিজেও আগে থেকে জানতেন এটাকে ট্রাম্প এর অন্যতম ব্যর্থতা হিসেবে ভাবা হয়।
প্রতিপক্ষ জো বাইডেন এটাকে ব্যবহার করে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছেন ঠিকই।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোভিড -19 এ এতটা ভুগবে তা হয়ত কোভিড -19 এর আগে অনেকেই ভাবতেও পারত না।




আর ট্রাম্প এই কোভিড -19 এর সময়ে বহুবার আলোচনায় আসেন তার নানা বক্তব্যের কারণে।
কিছুদিন আগে তিনি নিজেও কোভিড -19 এ আক্রান্ত হয় এবং তিনি এখন সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।


তো সর্বোপরি ট্রাম্প যে বিতর্কিত ব্যক্তি এটি অনেকেই জানে। যদিও তার জনপ্রিয়তা কিন্তু এখনও শুন্যের কোটায় বলা যাবে না এখনও ভালোভাবেই টেক্কা দিচ্ছেন তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেনকে।


ট্রাম্প এর প্রতিপক্ষ জো বাইডেন সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলের পরবর্তী আপডেটের অপেক্ষা করুন!
লিখেছেন:
মো: যোবায়ের হাসান
১৬ অক্টোবর ২০২০
আজকে এবারের নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেয়া যাক!
ডোনাল্ড ট্রাম্প:
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি।
রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনীত হয়ে, ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৩০৬টি ইলেক্টরাল ভোট লাভ করে, ডেমোক্র্যাটিক-এর প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের বিপরীতে জয় লাভ করেন।


রাজনৈতিক জীবনে তিনি একজন বিতর্কিত নেতা। এর পাশাপাশি তিনি লেখক, ব্যবসায়ী ও অভিনেতাও বটে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এখন মেলেনিয়া ট্রাম্পের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে বরাবরের মতোই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে লড়বেন।
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনের আগে আরেকটি চমক দিলেন তিনি, ২০২১ সালে শান্তিতে নোবল প্রাইজের জন্য মনোনীত হয়েছেন ট্রাম্প।
অন্যদিকে নির্বাচনের প্রাক্কালে ট্রাম্পের করোনায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে একটা গুঞ্জন উঠেছে।
সর্বশেষ খবর অনুসারে তিনি করোনার ঝুঁকি কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনা আক্রান্তকালীন সময়েও তাকে মাস্ক খুলে নির্বাচনী প্রচারণামূলক বক্তব্য দিতে দেখা গিয়েছে।
২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প-বাইডেন তর্কে ট্রাম্পকে খুব একটা সম্ভাবনাময় মনে হচ্ছে না। সম্প্রতি করা জরিপ অনুসারে, এখন পর্যন্ত এই নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ৯% ।
জো বাইডেন :
জো বাইডেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭ তম উপ-রাষ্ট্রপতি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক দলের হয়ে রাজনীতি করেন। বাইডেন বারাক ওবামার সাথে ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ২০১৭ সালে পর্যন্ত এই দায়িত্বে বহাল ছিলেন।
বাইডেনের রাজনীতি জীবনের দক্ষতা বেশ পরিপক্ক, তিনি অর্ধ-শতাব্দীর মতো সময়কাল ধরে জনগনের মাঝে বিচরণ করেছেন।


তার ব্যক্তিগত জীবন ভয়ঙ্কর রকম ট্রাজেডি পূর্ণ, ১৯৭২ সালে একটি গাড়ি দূর্ঘটনায় তার প্রথম স্ত্রী ও বাচ্চা মেয়েকে হারান, ২০১৫ সালে তার বড় ছেলে ব্রেন ক্যান্সারে মারা যায়।
বাইডেন ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে ট্রাম্পের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়ছেন।
এই ইলেকশনে তিনি যদি বিজয় লাভ করেন, তাহলে তিনিই হবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীন রাষ্ট্রপতি!
বাইডেনের মতে, এবারের নির্বাচনেও ট্রাম্প বিজয়ী হলে ট্রাম্প পুরো জাতির রূপরেখাই বদলে দিবেন, এবং এটা ঘটবেই।
তবে এই নির্বাচনে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন অনেক এগিয়ে।
এখন পর্যন্ত প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী বাইডেন ট্রাম্পের থেকে ১০.৪ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
লিখেছেন:
১৫ অক্টোবর ২০২০
কে হতে যাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট? তার আগে জেনে আসা যাক মার্কিন নির্বাচনের ছোট্ট ইতিহাস ।


বৃটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হবার পর দেশটির প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৭৮৯ সালে।
সে সময় সকল নাগরিকের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ ছিল না। ১৯২০ সালে মার্কিন নারীরা ভোটাধিকার লাভ করলেও কৃষ্ণাঙ্গরা বঞ্চিত থেকে যায়।
পরবর্তীতে মার্টিন লুথার কিং এর নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৬৩ সালে কৃষ্ণাঙ্গরা ভোটাধিকার প্রাপ্ত হয়।
প্রথা অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ৪ বছর পরপর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আসন্ন ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৩রা নভেম্বর, ২০২০।
কিভাবে নির্বাচিত হন বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট? এ নিয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতিতে। ইলেক্টোরাল ভোটে সরাসরি সাধারণ নাগরিক অংশ নিতে পারেনা।
একটি রাজ্যের জনগণের ভোটে নির্বাচিত এক বা একাধিক স্থানীয় প্রতিনিধি শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল ভোট দিতে পারেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মোট ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে ৫৩৮টি। প্রেসিডেন্ট পদে বিজয়ী হতে ৫৩৮ টির মধ্যে ২৭০ টি ভোট পেতে হবে প্রার্থীকে।


তো ছোট করে জেনে নেয়া যাক, এই ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি সম্পর্কে!
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার বলা যেতে পারে এই পদ্ধতিতে জনগনের দ্বারা বেশি ভোট পেলেই যে একজন প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন এমন নয়!
এই পদ্ধতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যের হাতে কিছু ভোট থাকে। জনসংখ্যাকে ভিত্তি করে কোন রাজ্যের নির্বাচক বা ইলেকটোর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।
সবচেয়ে বেশি ইলেক্টোরাল ভোট আছে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে, ৫৫ টি।
এছাড়া টেক্সাসে ৩৮ টি, ফ্লোরিডা ও নিউ ইয়র্কে ২৯টি করে, পেনসিলভানিয়াতে ২০টি, মিশিগানে ১৬টি, উত্তর ক্যারলাইনাতে ১৫টি, অ্যারিজোনাতে ১১টি ও অন্যান্য রাজ্যে এভাবে জনসংখ্যার ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ধারিত আছে।
মার্কিন নির্বাচনের ভোট ২ ভাগে বিভক্ত। একটি পপুলার ভোট আরেকটি ইলেক্টোরাল ভোট।
কোন রাজ্যে যে প্রার্থী পপুলার ভোট বেশি পাবেন তিনি ঐ রাজ্যের সকল ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে যাবেন!
যেমনঃ ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে কোন প্রার্থী যদি ৫১% ভোট পান তাহলে তিনি ঐ রাজ্যের ৫৫টি ইলেক্টোরাল ভোটই পেয়ে যাবেন! এখানে ৫১% হওয়াটা জরুরী নয়, এটি কেবল উদাহরণ হিসেবে দেয়া।
এবং যার ইলেক্টোরাল ভোট ২৭০ বা এর বেশি হবে তিনিই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত! তবে এর কম হলেও কিন্তু নির্বাচিত হয় সেটা অবশ্য অন্যান্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত ইলেক্টোরাল ভোট এর দ্বারা বোঝা যায়।
কেন ২৭০? কারণ মোট ইলেক্টোরাল ভোট আছে ৫৩৮টি এর অর্ধেক হচ্ছে ২৬৯টি এবং আরেকটি বেশি পেলেই জয়ী!
অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে পপুলার ভোট বা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট কেউ বেশি পেলেও ইলেক্টোরাল ভোট কম পাওয়ায় দরুন হেরে যেতে পারে!
এমন ঘটনা কি আদৌ ঘটেছে? হ্যাঁ এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। এমনকি সর্বশেষ নির্বাচনেও এবং সর্বশেষ পাঁচটি নির্বাচনের ২টিতেই এমন ঘটনা ঘটেছে!
পপুলার ভোট কম পেয়েও জয়!
ইতিহাস থেকে দেখা যায়,
১৮২৪ সালে জন কুইন্সি অ্যাডামস এর চেয়ে এন্ড্রু জ্যাকসন বেশি পপুলার ভোট পেয়েও কুইন্সি অ্যাডামস জয়ী হয়!
১৮৭৬ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী রাদারফোর্ড বি হেইজ (১৮৫টি ইলেকটোরাল ভোট) ডেমোক্র্যাট প্রার্থী স্যামুয়েল জে টিলডেন এর চেয়ে ২ লাখ ৬৪ হাজার কম পপুলার ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৮৮৮ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসন (২৩৩টি ইলেকটোরাল ভোট) এর চেয়ে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড ১ লাখ ৪৫৬ ভোট বেশি পেয়েও হেরে যান।
২০০০ সালে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডাব্লিউ বুশ (২৭১টি ইলেকটোরাল ভোট) ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোর এর চেয়ে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার ভোট কম পেয়েও নির্বাচিত হন।
উপরেরগুলোর চেয়েও হয়ত বেশি চমক ছিল সর্বশেষ নির্বাচনে, কেননা তাতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন এর চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পায় কিন্তু ইলেকটোরাল ভোট পায় ৩০৬টি!!!


এবারও কি এমন কিছু হতে চলেছে? তা হয়ত ফলাফলের আগে জানা প্রায় অসম্ভব।
উপরের ইতিহাস থেকে একটি প্যাটার্ন কিন্তু লক্ষণীয় এরকম ব্যতিক্রমের ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থীরা কিন্তু বেশ ভাগ্যবান! কারণ প্রায় প্রতিবারই এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থীরা জয়ী দেখা যায়।
লিখেছেন:
আরও আপডেট লেখা পড়তে অসামান্য এর সাথে থাকুন!
সুন্দর লিখেছেন
শিরোনামটা একটু বেমানান।
এটা ধারাবাহিক পর্ব, ইনশাআল্লাহ্ সামনে আরও অনেক বিষয় তুলে ধরা হবে।
ধন্যবাদ। বুঝতে পেরেছি। ভালো লিখেছেন।