- আয়না কাহিনি: মনোহারিণী আয়নার একাল সেকাল - January 9, 2021
- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ: বাংলা সাহিত্যের এক ক্ষণজন্মা নক্ষত্র - December 23, 2020
- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন: আবির্ভূত হয়েছিলেন যিনি হাতে নিয়ে আলোকবর্তিকা - December 9, 2020
শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যাচ্ছেন পালকি করে। অন্য কোনো যানবাহনের তখনো প্রচলন হয়নি। অনেক দূরের পথ! যেতে ৫ দিন লাগবে। কাঠফাটা রোদের মধ্য দিয়েই মাঠের পর মাঠ পেরোতে হচ্ছে! পালকিতে এক বিন্দু ফাঁকফোকর নেই! উপরন্তু পুরো পালকি যথাসম্ভব মোটা কয়েকটি কাঁথা দিয়ে মোড়ানো। অসম্ভব গরমে প্রাণ যখন ওষ্ঠাগত, তখন গৃহবধুকে একটু স্বস্তি দেয়ার জন্য পুকুরে গোসলের ব্যবস্থা করা হলো! আহা, থামুন না! গোসল করবেন পালকির মধ্যে থেকেই! কিভাবে সম্ভব? বেহারাগণ আপনাকে সহ পালকিটি পুকুরের পানিতে তিনবার চুবিয়ে নেবে! ব্যস, হয়ে গেলো আপনার গোসল আর অসহ্য গরম থেকে মুক্তি! আপনার ভাগ্য ভালো যে এই পরিস্থিতিতে বাস্তবিকই আপনাকে পরতে হয়নি। যার কল্যাণে আপনি আমি বেঁচে গিয়েছি তিনি আর কেউ নন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। মুসলিম নারী সমাজে ছড়িয়েছিলেন শিক্ষার আলো। বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের তিনি ছিলেন অন্যতম একজন পথিকৃৎ। যাকে বলা হয় নারী জাগরণের অগ্রদূত।


পরিচিতি
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, যিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমাধিক পরিচিত। একজন বাঙালি নারীবাদী চিন্তাবিদ, লেখক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক কর্মী, নারী অধিকারের সমর্থক এবং সর্বোপরি তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম একজন সমাজ সংস্কারক। সামাজিক কুসংস্কারের দাসত্ব থেকে নারীদের মুক্ত করার সংগ্রামে তিনি আজীবন লড়ে গিয়েছেন! তিনি যেমন সশরীরে প্রতিবাদ করেছেন তেমনি কলমেও করেছেন। বিশেষত নারীদের সচেতনতা বাড়াতেই তিনি বেশিরভাগ নিবন্ধ, গল্প এবং উপন্যাস লিখেছিলেন। যার বেশিরভাগই ছিল বাংলা ভাষায়। ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ও শ্লেষাত্মক রচনায় রোকেয়ার একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ছিল। তাঁর রচনার সহজাত বৈশিষ্ট্য ছিল উদ্ভাবনা, যুক্তিবাদিতা এবং কৌতুকপ্রিয়তা।
রোকেয়া বাংলাভাষী মুসলিম নারীদের প্রতি যে অন্যায়-অবিচার করা হতো সেই বিষয়কেই আলোকপাত করতে হাস্যরস, বিদ্রূপ এবং বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক লেখনীর আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি নারীদের উপর চাপানো নির্যাতনমূলক সামাজিক রীতিনীতিগুলোর সমালোচনা করেছিলেন। জনসমাজে নারীদের প্রতি বৈষম্য প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন যে বৈষম্য তখনই বন্ধ হবে যখন নারীরা নিজেরা সচেতন হবে এবং নিজের ভালো নিজেই বুঝতে শিখবে! অর্ধাঙ্গী প্রবন্ধে তিনি বলেছেন-
উর্ধ্বে হস্ত উত্তোলন না করিলে পতিত পাবনও হাত ধরিয়া তুলিবেন না।
অর্ধাঙ্গী


পরিবার ও শৈশব
১৮৮০ সালে বর্তমান রংপুরের মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেগম রোকেয়া। এটি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তাঁর বাবা জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের ছিলেন একজন সুশিক্ষিত, প্রভাবশালী জমিদার, যার ছিল বিশাল সম্পদ এবং ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রা। মায়ের নাম রাহাতুননেসা সাবের চৌধুরানী। তাঁর দুই ভাই আবুল আসাদ ইব্রাহিম সাবের ও খলিলুর রহমান আবু জয়গাম সাবের এবং দুই বোন করিমুন্নেসা খানম চৌধুরাণী ও হুমাইরা। রোকেয়ার জীবনে তাঁর বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের এবং বড় বোন করিমুন্নেছা খানম, উভয়েরই দুর্দান্ত প্রভাব ছিল।
রোকেয়ার বোন করিমুন্নেসা বাংলায় পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন, কারণ বাংলা সংখ্যাগরিষ্ঠদের ভাষা। পরিবার এটিকে অপছন্দ করত কারণ তৎকালীন অনেক উচ্চ শ্রেণীর মুসলমানরা তাদের মাতৃভাষা বাংলাকে প্রাধান্য না দিয়ে আরবি ও ফারসিকে লেখাপড়া ও সাহিত্যচর্চার মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতে পছন্দ করত। ছেলে হওয়ার কারণে, তার ভাইয়েরা প্রথমে বাড়িতে এবং তারপর পারিবারিক ঐতিহ্য অনুসারে কলকাতার অন্যতম নামী কলেজ সেন্ট জেভিয়ার্সে পড়াশোনা করেছিলেন। রোকেয়া এবং তাঁর বোনেরা অন্যান্য উচ্চ শ্রেণির মুসলিম পরিবারের মতোই কেবল ঘরে বসে আরবিতে কোরআন শিক্ষা এবং ফারসি ও উর্দুতে কিছু নৈতিকতার বই পড়ার শিক্ষা লাভ করেছিলেন। কিন্তু তাদের বড় ভাই ইব্রাহিম সাবের রাতের আঁধারে লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁর দুই বোনকেই ইংরেজি ও বাংলা শিখিয়েছিলেন এবং উভয় বোনই পরবর্তীতে লেখক হয়ে ওঠেন।
করিমুন্নেছা চৌদ্দ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু পরে কবি হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। তার দুই পুত্র নবাব আবদুল করিম গজনভী এবং নবাব আবদুল হালিম গজনভী রাজনৈতিক অঙ্গনে বিখ্যাত হয়েছিলেন। তাঁরা ব্রিটিশ কর্তৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে স্থান করে নিতে সক্ষম হন।


বিবাহ এবং পরবর্তী জীবন
রোকেয়া আঠারো বছর বয়সে ১৮৯৮ সালে উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনকে বিবাহ করেন। তিনি ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, যা বর্তমানে ভারতের বিহার রাজ্যের অন্তর্গত একটি জেলা। সাখাওয়াত ইংল্যান্ড থেকে বিএজি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তিনি ইংল্যান্ডের রয়্যাল এগ্রিকালচারাল সোসাইটির সদস্য ছিলেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পরে রোকেয়াকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের কোনো সন্তানই বাঁচেনি। কোমল ও উদার-মনের অধিকারী সাখাওয়াত রোকেয়ার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। তিনি রোকেয়ার ভাইয়ের কাছে পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। পাশাপাশি তিনি নিজে রোকেয়াকে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শিখিয়েছেন। লেখালেখির জন্যও উৎসাহিত করেছিলেন এবং সাখাওয়াতের পরামর্শেই রোকেয়া তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য বাংলা ভাষাকে প্রধান ভাষা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন কারণ এটি ছিল জনসাধারণের ভাষা। যে ভাষায় সাহিত্যকর্ম প্রকাশিত হলে জনসাধারণের কাছে পৌঁছাবে। কেউ আর পিছিয়ে থাকবেনা।
সাহিত্যকর্ম
বেগম রোকেয়ার লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯০২ সালে পিপাসা শীর্ষক একটি বাংলা প্রবন্ধের মাধ্যমে। তিনি স্বামীর জীবদ্দশায় মতিচুর (১৯০৫) এবং সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৮) বই দুটি প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে অবরোধবাসিনী, মতিচুর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
তাঁর সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে ধরা হয়। তিনি এই বইটি লিখেছিলেন পুরুষ এবং মহিলাদের ভূমিকাকে বিপরীত করে, যেখানে নারীরা ছিল প্রভাবশালী আর পুরুষরা তাদের অধস্তন ছিল। এটি বেশ চমৎকার ব্যঙ্গ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি প্রকাশের পর বেশ সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁর ছিল অসামান্য দূরদৃষ্টি! সুলতানার স্বপ্নে ছিল একটা অসাধারণ স্বপ্ন যে, নারীরা রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। বর্তমানে সত্যিই নারীরা রাষ্ট্রও পরিচালনা করছে!


আরও পড়ুন: নেতাজি: এক মহানায়কের জীবনকথা এবং মৃত্যু
সমাজ সংস্কারক
সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন সমাজের অসুস্থতা নিরাময়ের সর্বোত্তম উপায় হিসেবে নারীদের শিক্ষাকেই মনে করতেন এবং তিনি মুসলিম নারীদের স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য ১০,০০০ রুপি রেখেছিলেন। তিনি তার স্ত্রীকে সেই অর্থ ব্যয় করতে উৎসাহিত করেছিলেন। ১৯০৯ সালে সাখাওয়াত হোসেন মারা যান। মৃত্যুর পাঁচ মাস পরে রোকেয়া তার প্রিয় স্বামীর স্মৃতিতে ভাগলপুরে একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এর নাম দিয়েছিলেন সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল। উর্দু ভাষী এই অঞ্চলে কেবল পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে এই স্কুলের যাত্রা শুরু হয়েছিল। রোকেয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। এবং কেন মেয়েরা পিছিয়ে আছে তার অন্যতম কারণ হিসেবে শিক্ষাকেই আলোকপাত করেছেন।
বেগম রোকেয়া মতিচুর এ উল্লেখ করেছেন-
আমরা উত্তমার্ধ, তাহারা নিকৃষ্টার্ধ, আমরা অর্ধাঙ্গী, তাহারা অর্ধাঙ্গ। অবলার হাতেও সমাজের জীবন মরণের কাঠি রহিয়াছে। যেহেতু, না জাগিলে সব ভারত ললনা, এ ভারত আর জাগিতে পারিবে না। প্রভুদের ভীরুতা কিংবা তেজস্বীতা জননীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করে। তবে শারিরীক বলের দোহাই দিয়ে অদূরদর্শী মহোদয়গণ যেন শ্রেষ্ঠত্বের দাবি না করেন।
সম্পত্তির বিষয়ে স্বামীর পরিবারের সাথে বিরোধের কারণে তিনি ১৯১১ সালে স্কুলটি বাংলাভাষী অঞ্চল কলকাতায় স্থানান্তর করতে বাধ্য হন। ১৯১১ সালের ১মার্চ তিনি সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুলটি পুনরায় চালু করেন। ১৯১১ সালে ৮১জন এবং ১৯১৫ সাল পর্যন্ত ৮৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। ১৯১৭ সালে ভারতের গভর্নর জেনারেল এবং ভাইসরয়ের স্ত্রী লেডি চেলসফোর্ড স্কুলটি পরিদর্শন করেছিলেন। এছাড়াও পরবর্তীতে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টিকে সমর্থন করেছিলেন। ১৯৩০ সালের মধ্যে স্কুলটিতে ১০ টি গ্রেড চালু করতে সক্ষম হয় এবং সেখানে বাংলা এবং ইংরেজি নিয়মিত কোর্স ছিল। যা পরবর্তীতে মেয়েদের জন্য নগরীর অন্যতম জনপ্রিয় বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছিল এবং এটি এখনও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত।


বেগম রোকেয়া আঞ্জুমান-ই-খাওয়াতিন-ই-ইসলাম (ইসলামিক মহিলা সমিতি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা নারী ও শিক্ষার অবস্থান সম্পর্কিত বিতর্ক ও সম্মেলনে সক্রিয় ছিল। তিনি বিশেষত বিশ্বাস করেছিলেন যে ব্রিটিশ ভারতে মুসলমানদের তুলনামূলকভাবে ধীর বিকাশের জন্য মূলত অত্যধিক রক্ষণশীলতাই দায়ী ছিল। এমনিতেই তিনি প্রথম মুসলিম নারীবাদীদের একজন। তিনি কোরআনে বর্ণিত ইসলামী শিক্ষার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং বিশ্বাস করেছিলেন যে আধুনিক ইসলাম বিকৃত বা দূষিত হয়েছিল। আঞ্জুমান-ই-খাওয়াতিন-ই-ইসলাম সমিতিটি ইসলামের মূল শিক্ষার উপর ভিত্তি করে সামাজিক সংস্কারের জন্য গঠিত হয়েছিল এবং অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মৃত্যু
১৯৩২ সালের ৯ ই ডিসেম্বর ৫২তম জন্মদিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই মহীয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে অনেক দেশের নারী-পুরুষ হিন্দু ও মুসলিম নেতাকর্মী, শিক্ষাবিদ এবং উদার নেতারা সহ শোক প্রকাশ করেছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি নারীর অগ্রগতি সম্পর্কিত সম্মেলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৩২ সালের ডিসেম্বরে, বেগম রোকেয়া নারীর অধিকার শীর্ষক একটি প্রবন্ধের কাজ করছিলেন যা অসম্পূর্ণ ছিল।


স্মৃতিতে রোকেয়া
বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর পৈতৃক নিবাস পায়রাবন্দে বাংলাদেশ সরকার গড়ে তুলেছে বেগম রোকেয়া স্মৃতিকেন্দ্র এবং কলকাতায় তাঁর নামে রয়েছে একটি উদ্যান। প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস পালন করা হয় এবং এই দিনই বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে থাকে। রংপুরে স্থাপিত হয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রয়েছে বেগম রোকেয়া ফলক ও ছাত্রীনিবাস।
বাঙালির ইতিহাসে যে নারীর নাম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় তিনি হলেন বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন । বাঙালি সমাজ যখন ধর্মীয় প্রতিবন্ধকতা আর সামাজিক কুসংস্কারে আচ্ছন্ন ছিল, সেই সময় যেন আলোকবর্তিকা হাতে আবির্ভূত হয়েছিলেন বেগম রোকেয়া। তাঁর বলিষ্ঠ কণ্ঠ সর্বদাই গর্জে উঠেছে নারী জাগরণে!
ভগিনীগণ! চক্ষু রগড়াইয়া জাগিয়া উঠুন- অগ্রসর হউন!
বুক ঠুকিয়া বলো- মা আমরা পশু নই।
বলো ভগিনী- আমরা আসবাব নই।
বলো কন্যে- আমরা জড়াউ অলঙ্কার-রুপে লোহার সিন্দুকে আবদ্ধ থাকিবার বস্তু নই;
সকলে সমস্বরে বলো- আমরা মানুষ!
প্রচ্ছদ: উইকিমিডিয়া কমন্স
তথ্যসূত্র:
সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহ: