- মগজের লড়াই: শতরঞ্জ - December 25, 2020
- বদর যুদ্ধ: ইসলামের ইতিহাসে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিজয় - September 23, 2020
- পিথাগোরাস বনাম আইন্সটাইন: c² তুমি কার? - August 29, 2020
সমগ্র মক্কা নগরী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো, তখন আলোর দিশারী হয়ে আসেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। নবুয়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলাম প্রচার শুরু করেন। ইসলাম প্রচার করতে গিয়েই মক্কার কাফেরদের সাথে মুসলমানদের খণ্ডযুদ্ধ সহ অনেক বৃহৎ যুদ্ধও সংঘটিত হয়। বদর যুদ্ধ ছিল ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম বড় আকারের যুদ্ধ।
বদর-পূর্ব পরিস্থিতি
ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে মুহাম্মদ (সঃ) মক্কার কুরাইশদের কর্তৃক বিরোধিতার সম্মুখীন হন। কুরাইশদের নির্যাতনে অনেক সাহাবি মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন এবং এক পর্যায়ে মুহাম্মদ (সঃ) নিজেও মদিনায় হিজরত করেন। মহানবি হযরত মুহাম্মদের (সঃ) হিজরতের পর মক্কার পরিবেশ আরও বৈরী হয়ে ওঠে, কুরাইশরা আরও অমানবিক হয়ে ওঠে এবং কাফেররা ক্রমাগত ইসলামের নাম-নিশানা মুছে ফেলার পরিকল্পনা করতে থাকে। এর মধ্যে পবিত্র কুরআনের আয়াতে মুসলমানদেরকে অস্ত্রধারণের অনুমতি দেয়া হয়।
হিজরতের ২য় বর্ষে মদিনায় বসে মুহাম্মদ (সঃ) খবর পান, কুরাইশদের একটি বাণিজ্যদল আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে মক্কা হতে সিরিয়াতে যাবে। মুহাম্মদ(সঃ) তাঁর কয়েকজন সাহাবিকে এই কাফেলা সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন। সাহাবিরা তথ্য সংগ্রহ করে জানান, দলটির সাথে ১০০০ উট এবং এসব উটে ৫০,০০০ স্বর্ণমুদ্রা মূল্যমানের জিনিসপত্র রয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে ৪০ জন রক্ষী।
এই বাণিজ্যদল যখন সিরিয়া হতে মক্কায় ফিরে যাবে, তখন একে আক্রমণের জন্য মুহাম্মদ (সঃ) মুসলিমদের পরামর্শ দেন। কারণ, জোর সম্ভাবনা ছিল যে, কুরাইশরা এই সফরের থেকে সংগ্রহকৃত অর্থ, অস্ত্র মুসলিমদের নিধনে কাজে লাগাবে। যেহেতু পরবর্তীতে বৃহদাকার কুরাইশ বাহিনীর সম্মুখীন হতে হবে এমন আশঙ্কা তখনও ছিল না, তাই তিনি এই কাজে সকলের অংশগ্রহণ জরুরি বলে উল্লেখ করেননি। ফলে অনেক মুসলমান মদিনায় থেকে যায়। ঘোষণার পর মুহাম্মদ (সঃ) বদরের দিকে যাত্রা করেন।
বদর যুদ্ধ যাত্রা
দ্বিতীয় হিজরির রমজান মাসে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর ৩১৩ জন সৈন্য নিয়ে বদরের পথে যাত্রা করেন। মুসলিম বাহিনীতে মুহাম্মদ (সঃ) এর সাথে ছিলেন আবু বকর (রাঃ), উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ), আলি ইবনে আবু তালিব (রাঃ) প্রমুখ। বাহিনীতে সৈন্যসংখ্যা ছিল মোট ৩১৩ জন। এর মধ্যে মুহাজির ছিলেন ৮২ জন এবং আনসারদের মধ্যে আওস গোত্রের ছিলেন ৬১ জন ও খাজরাজ গোত্রের ছিলেন ১৭০ জন। মুসলিমদের সাথে ৭০ টি উট ও ২ টি ঘোড়া ছিল। ফলে তাদের সামনে পায়ে হেঁটে যাওয়া বা প্রতি দুই বা তিনজনের জন্য একটি উট ব্যবহার ছাড়া উপায় ছিল না। একটি উটে পালাক্রমে দুই বা তিনজন আরোহণ করতেন। এই ব্যবস্থায় মুহাম্মদ (সঃ), আলি ইবনে আবু তালিব (রাঃ) ও মারসাদ ইবনে আবি মারসাদের জন্য একটি উট বরাদ্দ হয়েছিল।
মুহাম্মাদ (সঃ) সার্বিক নেতৃত্বের জন্য মুসআব ইবনে উমাইর (রাঃ) কে একটি সাদা পতাকা প্রদান করেন। মুহাজিরদের ও আনসারদের জন্য একটি করে কালো পতাকা যথাক্রমে আলি ইবনে আবু তালিব (রাঃ) এবং সাদ ইবনে মুয়াজকে (রাঃ) প্রদান করা হয়। বাহিনীর ডান ও বাম অংশের প্রধান হিসেবে যথাক্রমে যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও মিকদাদ ইবনে আমরকে নিযুক্ত করা হয়। মুসলিম বাহিনীতে থাকা দুইটি ঘোড়ায় তারা আরোহণ করেছিলেন। পেছনের অংশের প্রধান হিসেবে কাইস ইবনে আবিকে নিয়োগ দেয়া হয়। মুহাম্মাদ (সঃ) সমগ্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
আরো পড়ুন: পোপ নির্বাচন প্রক্রিয়ার সূচনা থেকে সমাপ্তি
মক্কার কুরাইশদের বদর যুদ্ধে যোগদান
মুসলিমদের কর্তৃক আক্রমণের আশঙ্কায় কাফেলার নেতা আবু সুফিয়ান যাত্রাপথে সাক্ষাৎ লাভ করা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মুসলিম বাহিনীর সম্ভাব্য অভিযানের ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছিলেন। ফলে তিনি মুসলিমদের আক্রমণের খবর পান। তাই সাহায্য চেয়ে জমজম ইবনে আমর গিফারিকে বার্তা বাহক হিসেবে মক্কা পাঠানো হয়। সে দ্রুত মক্কা পৌছায় এবং তৎকালীন আরব রীতি অনুযায়ী উটের পিঠে বসে ঘোষণা করে যে মক্কার কাফেলা মুসলিমদের হাতে পড়তে পারে।
“কুরাইশগণ, কাফেলা আক্রান্ত, কাফেলা আক্রান্ত। আবু সুফিয়ানের সাথে তোমাদের সম্পদ রয়েছে, তার উপর আক্রমণ চালানোর জন্য মুহাম্মদ ও তার সঙ্গীরা এগিয়ে আসছে। তাই আমার মনে হয় না যে তোমরা তা পাবে। তাই সাহায্যের জন্য এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো।”
-মক্কায় পৌছানোর পর জমজম ইবনে আমর গিফারির আহ্বান
এই খবর শোনার পর মক্কায় আলোড়ন শুরু হয়। দ্রুত ১,৩০০ সৈনিকের এক বাহিনী গড়ে তোলা হয় এবং আবু জাহেল বাহিনীর প্রধান হন। এই বাহিনীতে অসংখ্য উট, ১০০ ঘোড়া ও ৬০০ লৌহবর্ম ছিল। নয়জন সম্ভ্রান্ত কুরাইশ রসদ সরবরাহের দায়িত্ব নেন।
ইতোমধ্যে আবু সুফিয়ান মুসলিমদের দ্বারা আক্রমণের আশঙ্কায় তার কাফেলা নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছায়। তাই সে খবর পাঠিয়ে আর অগ্রসর না হয়ে মক্কার কুরাইশ বাহিনীর ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু কুরাইশ বাহিনীর প্রধান আবু জাহেল যুদ্ধ না করে ফিরে যেতে অসম্মতি দেখান। আবু জাহেলের কথাতেই কুরাইশ বাহিনী অগ্রসর হয়ে বদর উপত্যকার একটি টিলার পেছনে আশ্রয় নেয়।
মুহাম্মদ (সাঃ) ও মুসলমানদের বদর সংক্রান্ত পরিকল্পনা
মুসলিমরা কুরাইশ বাহিনীর অগ্রযাত্রার খবর পায়। মুসলিম বাহিনীটি মূলত কাফেলা আক্রমণের জন্য গঠিত হয়েছিল, ব্যাপক যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না। মুসলিমরা এসময় কুরাইশদের মুখোমুখি না হয়ে ফিরে যেতে পারত কিন্তু এর ফলে কুরাইশদের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেত এবং তারা অগ্রসর হয়ে মদিনা আক্রমণ করতে পারত। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার জন্য মুহাম্মাদ (সঃ) যুদ্ধসভার আহবান করেন। সভায় মুহাজির, আনসার সকলেই কুরাইশদের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে মত দেয়। এরপর মুসলিমরা অগ্রসর হয়ে বদরের নিকটে পৌছায়।
আর স্মরণ করো, আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেন যে দুই দলের এক দল তোমাদের আয়ত্তে আসবে। অথচ তোমরা চাইছিলে যে নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তে আসুক, আর আল্লাহ চাইছিলেন সত্যকে তার বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং অবিশ্বাসীদেরকে নির্মূল করতে।
কুরআন: সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৭
মুসলমানদের বদর সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ
এখানে পৌছার পর মুহাম্মদ (সঃ) ও আবু বকর (রাঃ) প্রতিপক্ষের খবর সংগ্রহের জন্য বের হন। এসময় এক বৃদ্ধ লোককে তাঁরা দেখতে পান। মুহাম্মাদ (সঃ) তাকে মুসলিম ও কুরাইশ উভয় বাহিনী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ঐ ব্যক্তি দুই বাহিনী সম্পর্কেই সঠিক তথ্য দেয়। সেদিন সন্ধ্যায় আলি ইবনে আবু তালিব (রাঃ), যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করা হয়। তারা বদরের কুয়ায় দুইজন পানি সংগ্রহরত ব্যক্তিকে বন্দি করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানায় যে, তারা কুরাইশ বাহিনীর সদস্য এবং সৈন্যদের জন্য পানি সংগ্রহ করছিল। তারা উপত্যকার শেষ প্রান্তের টিলা দেখিয়ে বলে যে কুরাইশরা তার পেছনে অবস্থান করছে। এরপর বন্দিরা বাহিনীতে আগত সম্ভ্রান্ত কুরাইশ নেতাদের নাম বলে এবং জানায় মক্কার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অনেক বেশি।
সব শুনে মুহাম্মদ (সঃ) প্রতিপক্ষের পূর্বেই যুদ্ধের ময়দানে পৌছানোর জন্য দ্রুত বদরের দিকে যাত্রা করার নির্দেশ দেন। তার লক্ষ্য ছিল যাতে কুরাইশরা কুয়ার দখল নিতে না পারে। রাতে মুসলিমরা বদরের সবচেয়ে নিকটবর্তী কুয়ার কাছে গিয়ে শিবির স্থাপন করে। এরপর সেখানে পৌছে কাছের এই কুয়ার উপর চৌবাচ্চা তৈরি করে অবশিষ্ট সব কূপ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর ফলে মুসলিমরা পানি পেলেও কুরাইশরা পানি থেকে বঞ্চিত হয়। মুসলিমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী কূয়া দখল করার পর যুদ্ধক্ষেত্রের উত্তরপূর্বের টিলার উপর মুহাম্মাদ (সঃ) এর জন্য একটি তাঁবু নির্মিত হয়। এখান থেকে যুদ্ধের পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা যায়।
যুদ্ধের শুরু
২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়।
যুদ্ধের দিন কুরাইশরা বদরে পৌছে উমাইর ইবনে ওয়াহাবকে মুসলিমদের খবর সংগ্রহের জন্য পাঠায়। উমাইর এসে জানান যে মুসলিমদের বাহিনী ছোট এবং সাহায্যের জন্য নতুন সেনাদল আসার সম্ভাবনাও নেই। তবে তিনি একইসাথে বলেন মুসলিমরা সুবিন্যস্তভাবে যুদ্ধের জন্য তৈরি হয়ে আছে। পাশাপাশি তারা কুরাইশদের বিশেষ লোকদেরকে হত্যা করে ফেলতে পারে। এভাবে তিনি কুরাইশদের পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেন। একথা শোনার ফলে কুরাইশদের মনোবল হ্রাস পায়।
যুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে কুরাইশদের আসওয়াদ ইবনে আবদুল আসাদ মাখজুমি এগিয়ে এসে ঘোষণা দেয় –
মুসলিমদের পানির জলাধার দখল করে নেব, নাহয় এজন্য জীবন দেব
এরপর হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) অগ্রসর হয়ে তার সাথে লড়াই করেন। লড়াইয়ে আসওয়াদের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত অবস্থায় আসওয়াদ চৌবাচ্চার দিকে এগিয়ে যায় এবং প্রতিজ্ঞা রক্ষার জন্য চৌবাচ্চার সীমানার ভেতর ঢুকে পড়ে। এরপর হামজা (রাঃ) তাকে হত্যা করেন। এটিই ছিল বদরের প্রথম মৃত্যু।
এরপর তৎকালীন রীতি অনুযায়ী দ্বন্দ্বযুদ্ধের মাধ্যমে লড়াই শুরু হয়। কুরাইশদের মধ্য থেকে উতবা ইবনে রাবিয়া, শাইবা ইবনে রাবিয়া ও ওয়ালিদ ইবনে উতবা লড়াইয়ের জন্য অগ্রসর হন। কুরাইশ পক্ষের তিনজনই লড়াইয়ে নিহত হয়। তিনজন নেতৃত্বস্থানীয় যোদ্ধার মৃত্যুর ফলে কুরাইশদের মনোবলে ফাটল ধরে।
দ্বন্দ্বযুদ্ধের পর কুরাইশরা মুসলিমদের উপর আক্রমণ শুরু করে। যুদ্ধের পূর্বে মুহাম্মদ (সঃ) নির্দেশ দেন শত্রুরা বেশি কাছে এলেই যেন তীর চালানো হয়। মুসলিমরা “ইয়া মানসুর আমিত” (Arabic: يا منصور أمت ) স্লোগান দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। যুদ্ধে মক্কার কুরাইশরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। মুয়াজ ইবনে আমর ও মুয়াজ ইবনে আফরা দুই ভাই কুরাইশ পক্ষের সর্বাধিনায়ক আবু জাহলকে হত্যা করে। বাহিনী প্রধানের মৃত্যুর পর কুরাইশরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বিকেলের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। কুরআনে উল্লেখ রয়েছে যে, এই যুদ্ধে হাজারও ফেরেশতা মুসলিমদের সহায়তার জন্য এসেছিলেন।
সমাপ্তি
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর নিহত মুসলিমদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে দাফন করা হয়। নিহত কুরাইশদের লাশ ময়দানের একটি কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়। এসময় চব্বিশজন প্রধান কুরাইশ নেতার লাশ কুয়ায় নিক্ষেপ করা হয়েছিল।
আরবের রীতি অনুযায়ী মুসলিমরা তিনদিন যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করার পর মদিনায় ফিরে আসে।




তথ্যসূত্র
ফিচার চিত্রসূত্র: Wikimedia Commons
অত্যন্ত সহজ বর্ণনায় বদর যুদ্ধের ঘটনাটি আপনি লিখে গেছেন। এটা বেশ মুগ্ধ করল। বক্তব্য বেশ সাবলীল ছিল, তবে আরো একটু প্রাঞ্জল হতে পারত। আস্তে আস্তে সেই প্রাঞ্জলতা আসবে বলেই বিশ্বাস করি।
আপনার জন্যে অনেক দু’আ। স্রষ্টার সেই প্রেরিত মহান পুরুষের উপর শত কোটি সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক। (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
মানচিত্র যোগ করা খুবই ভালো হয়েছে, ভিজ্যুয়ালাইজেশন সহজ হয়েছে।
আমি যতদূর জানি, এই দুই কিশোর আবু জাহলকে মারাত্মক আহত করে দেয়, আর হত্যা করে আব্দুর রহমান ইবন আওফ (রাযিঃ)। আপনি সম্ভব হলে যাচাই করে দেখতে পারেন।
মুসলমানদের সৈন্য সংখ্যা ৩১৩ জন হওয়া নিয়ে মতভেদ আছে যদিও এই সংখ্যাটা প্রসিদ্ধ।
এগুলো তেমন উল্লেখযোগ্য হয়ত নয়, তবে ভবিষ্যতে অসামান্যের লেখা বাংলা তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই উল্লেখ করলাম।