- ড্রাকুলা সিনড্রোম: সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা অশুভ অস্তিত্ব - January 11, 2021
- লুসিফার সিনড্রোম: এক ব্যতিক্রমধর্মী জিনগত অস্বাভাবিকতা - January 2, 2021
- ড্রাকুলা স্যার: রক্তপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক - December 29, 2020
শত দুঃখ কষ্টকে মনের আড়ালে চাপা দিয়ে যারা সকলকে প্রাণখুলে হাসিয়ে বিমোহিত করে রাখে, প্রকৃতপক্ষে তারাই সমাজের সবচেয়ে বড় জোকার। চরিত্রটিকে একজন অপরাধমূলক পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। প্রথমদিকে একজন ধর্ষকামী, বিকৃতমনস্ক ও ব্যাধিগ্রস্থ চরিত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও ১৯৪০ দশকের শেষ দিকে কমিক্স কোড অথরিটির সুপারিশে তাকে এক নির্বোধ ফন্দিবাজের রূপ দেওয়া হয় এবং জনসমক্ষে আনা হয়। আজও জোকারকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। চলমান নিবন্ধ এই কিংবদন্তি কাল্পনিক চরিত্র সম্পর্কেই।
কমিকসে ব্যাটম্যানের সূচনা ১৯৩৯ সালে হলেও নিজস্ব ধারাবাহিক পেতে তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল এক বছর। প্রথমবারের মতো ‘ব্যাটম্যান’ নামেই ধারাবাহিক মুক্তি পেয়েছিল ১৯৪০ সালের ২৫ এপ্রিল। সেই ইস্যুতে ডিসি কমিকস বিশ্বকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল জোকার নামের এই মনস্তাত্ত্বিক খলনায়কের সাথে। শুরুর দিকে কমিকসে তাকে তুলে ধরা হয়েছিল এক নিষ্ঠুর ভাঁড় হিসেবে। এমনকি চরিত্রের অতিরিক্ত ভাঁড়ামির সাথে নতুন কিছু যুক্ত করতে না পেরে একসময় তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল খলনায়ক হিসেবে। পরে পাঠকদের অনুরোধে তাকে ফিরিয়ে আনা হয় নতুন রূপে।


জোকারের সৃষ্টির পেছনে অনুপ্রেরণা হিসেব কাজ করেছিল আরেক কাল্পনিক চরিত্র। ১৯২৮ সালে মুক্তি পায় ভিক্টর হুগোর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একই নামের চলচ্চিত্র ‘দ্য ম্যান হু লাফস’। কেন্দ্রীয় চরিত্র গুইনপ্লেইনের উপর ভিত্তি করেই চিত্রায়ণ করা হয় জোকারকে। এর পেছনে অবদান রয়েছে বব কেন, বিল ফিঙ্গার এবং জেরি রবিনসন তিনজনেরই। তবে বব ও জেরি সর্বদাই রবিনসনের কৃতিত্ব শিকার করতে নারাজ ছিলেন; অন্যদিকে রবিনসনও নিজের অবদান বেশি বলে দাবি করতেন। তাই জোকার চরিত্রের প্রকৃত নির্মাতার বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। তবে উভয়েই চিত্রনাট্যের জন্য ফিঙ্গারের অবদানের কথা অকপটে স্বীকার করতেন।
বই এবং চলচ্চিত্রে জোকারকে তুলে ধরা হয় ‘স্যাডিস্টিক সেন্স অফ হিউমার’ বিশিষ্ট এক মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তি হিসেবে। তার প্রধান কাজ হচ্ছে সবসময় ব্যাটম্যানের পেছনে লেগে থাকা। তবে ব্যাটম্যানের চিরশত্রুর পরিচয় ছাড়াও সে ডিসি ইউনিভার্সের ভয়ংকর খলনায়কদের একজন। মুক্তির এত বছর পরেও এই চরিত্রের পূর্বকথা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। বেশ কিছু কমিকসে যদিও তার অতীত সম্পর্কে খণ্ডিতাকারে তথ্য উপস্থাপিত হয়েছে। বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক আল্যান মুর তাঁর ‘দ্য কিলিং জোক’ কমিক বইয়ে জোকারের একটি অতীত জীবন তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। জোকারের উৎপত্তির অনেকগুলো গল্পের মধ্যে সেটি অন্যতম। পরে ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া টিম বার্টনের ‘ব্যাটম্যান’ চলচ্চিত্রে দ্য কিলিং জোকের মতো করেই একটি পূর্ব ইতিহাস দেখানো হয়েছিল, যদিও তা সকলের মনঃপুত হয়নি।
জোকার ও তার অতীত


জ্যাক (জোকারের ব্যবহৃত নাম) একটি রাসায়নিক কারখানায় প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু তার বহুদিনের স্বপ্ন ছিল কৌতুকাভিনেতার হওয়ার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ ছেড়ে দিয়ে কমিডিয়ানের চাকরি নেয় সে। কিন্তু যাচ্ছেতাইভাবে সেখানে ব্যর্থ হওয়ার পর সে বুঝতে পারে তার এভাবে জীবনের গতিপথ বদলানো ঠিক হয়নি। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করার টাকাও ছিল না। দুশ্চিন্তায় অন্ধ হয়ে সে শেষমেশ দ্বারস্থ হয় পরিচিত দুই ডাকাতের। তারা আগে থেকেই জ্যাকের পুরনো কর্মস্থলে ডাকাতি করার পরিকল্পনা করছিল। সে যেহেতু এখানে আগেও কাজ করেছে, তাই ভেতরের সবকিছু ছিল তার নখদর্পণে। ডাকাত দুজন সহজেই রাজি হয়ে যায় এবং চালাকি করে দলনেতা হিসেবে অভিহিত করে। তিনজন মিলে যখন পরিকল্পনায় মগ্ন, তখন পুলিশ জ্যাককে ফোন করে জানায় যে, হাসপাতালে দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী এবং গর্ভের সন্তান দুজনই মারা গিয়েছে।
শোকে বিহ্বল জ্যাক প্রথমে পিছু হটতে চাইলেও সাথের দুজনের পীড়াপীড়িতে শেষমেশ রাজি হয়ে যায়। কিন্তু সামনে তাদের জন্যে অপেক্ষা করছিল মহাবিপদ, কারখানায় গিয়ে তারা দেখে সেখানকার নিরাপত্তা দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। বেড়া কেটে ভেতরে ঢোকার পরে এক নিরাপত্তারক্ষী তাদেরকে দেখে ফেললে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাকি দুজন পুলিশের গুলিতে মারা যায়। আর ব্যাটম্যানকে দেখে ভয়ে পিছু হঠতে যেয়ে পা ফসকে রাসায়নিক পদার্থে ভরা ফুটন্ত পাত্রে পড়ে যায় জ্যাক। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর পাত্রের সাথে যুক্ত এক জলপথ দিয়ে সে বাইরে এসে পরে। মাথায় পরে থাকা লাল টুপি খুলে দেখে রাসায়নিক পদার্থের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় তার গায়ের চামড়া মড়ার মতো সাদা আর চুলের রং কেমন সবুজ হয়ে গেছে। স্ত্রী সন্তানের মৃত্যুশোক আর ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। জন্ম হয় সিনেমাটিক ইউনিভার্সের অন্যতম খলনায়ক জোকারের।
সিজার রোমারো


জোকারকে প্রথমবারের মতো সিনেমাটিক রূপ দেয়া হয় ষাটের দশকের ব্যাটম্যানের দ্বারা। সেখানে জোকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা সিজার রোমেরো। জোকার চরিত্রে অভিনয় করা তিনিই একমাত্র অভিনেতা যার পুরষ্কারের থলিতে কোনো অস্কার নেই। সিজার অভিনীত জোকারের অতীত নিয়েও তেমন কিছুই দেখানো হয়নি ধারাবাহিকে। তবে একটি দৃশ্যে বলা হয়, অতীত জীবনে সে ছিল একজন সম্মোহনকারী বা মনস্তত্ত্ববিদ। তার কাজকর্মে ক্ষতি থেকে বিনোদনই ছিল বেশি যদিও কিছু ছিল খুব বেশি বিপদজনক। প্রায় সকল দৃশ্যে তাকে দেখা যায় গোথামের অন্যান্য ভিলেনদের নিয়ে দল বেঁধে ব্যাটম্যান কিংবা পুরো শহর ধ্বংসের পরিকল্পনা করতে।
রোমেরোর দাদার বিশাল গোঁফ ছিল। তার দেখাদেখি রোমেরো নিজেও গোঁফ রেখেছিলেন। জোকার চরিত্রের জন্যে তাকে সেই গোঁফ ফেলে দেওয়ার জন্যে বলা হলে তিনি রাজি হননি। শেষমেশ মেকআপের উপরই ভরসা করতে হয়, যদিও মেকআপ তার গোঁফের অস্তিত্ব পুরোপুরি ঢাকতে পারেনি। ঘটনাসূত্রে এই ধরনের গোঁফ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এবং পরেও এই ধাঁচ অনুসরণ করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন: আরআরআর: ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন
জ্যাক নিকলসন


ষাটের দশকের টেলিভিশন ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাবার পর অনেকদিন ব্যাটম্যান নিয়ে তেমন কোনো চলচ্চিত্র কিংবা ধারাবাহিক নির্মাণ হয়নি। পরে আশির দশকে ‘ওয়ার্নার ব্রস’ পরিচালক টিম বার্টনের উপর দায়িত্ব দেয় ব্যাটম্যান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্যে। তখন বব কেনের পরামর্শে টিম বার্টন তার চলচ্চিত্রের জোকার চরিত্রের জন্য শরণাপন্ন হন তিনবার অস্কারজয়ী অভিনেতা জ্যাক নিকলসনের। ছোটবেলা থেকে জোকার চরিত্রের ভক্ত নিকোলসন রাজি হয়ে যান সাথে সাথেই। ‘ব্যাটম্যান’ নামেই সেই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৮৯ সালে।
দর্শকরা ঠিক যেভাবে জোকারকে দেখতে চেয়েছিলেন, নিকোলসন ঠিক সেভাবেই হাজির হয়েছিলেন পর্দায়; তাই নতুন এবং পুরনো দুই প্রজন্মের দর্শকেরাই উপভোগ করেছিলেন তাঁর এই রূপান্তর। সিনেমায় জোকারকে দেখা যায়, প্রথমদিকে নিজেকে ‘জ্যাক নেপিয়ার’ হিসেবে পরিচয় দিতে এবং পরবর্তীতে দুর্ঘটনায় তার চেহারা পুরোপুরি বদলে যাওয়ার পর সে হাজির হয় জোকারের বেশে। চলচ্চিত্রে নিকোলসনের জোকারের পূর্বকথন ভক্তদের পুরোপুরি তৃপ্তি দিতে না পারলেও, জোকার হিসেবে ঠিকই সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তিনিই ছিলেন সেই জোকার যাকে পর্দায় দেখার জন্যে ভক্তরা এতদিন অপেক্ষা করছিল। জোকার চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সে বছর সহকারী অভিনেতা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব এবং বাফটা আওয়ার্ডে মনোনয়ন পান জ্যাক নিকলসন।
মার্ক হ্যামিল


১৯৮৯ সালের পর বেশ কিছু ব্যাটম্যান চলচ্চিত্র আসলেও সেগুলোতে দেখা মেলেনি জোকারের। তবে এর মাঝামাঝি সময়ে এসেছে বেশ কিছু অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিক, যেগুলোর বেশিরভাগেই জোকারের চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন ‘লুক স্কাইওয়াকার’ খ্যাঁত মার্ক হ্যামিল। মজার ব্যাপার হচ্ছে, জোকার হওয়ার আগে ‘ব্যাটম্যান দ্য অ্যানিমেশন’ ধারাবাহিকের একটি পর্বে তিনি কণ্ঠ দিয়েছিলেন অন্য এক খলনায়ক ‘ফেরিস বয়েলের’ চরিত্রে। নির্মাতারা স্রেফ অংশগ্রহণের জন্য তাকে জোকারের অডিশন দিতে বলেন। তার নৈপুণ্যে মুগ্ধ হয়ে আগে থেকে ঠিক করা টিম কারিকে বাদ দিয়ে তাকেই ধারাবাহিকের জন্য নির্বাচন করা হয়।
মার্ক হ্যামিল সেই খবর পেয়ে প্রথমে প্রায় ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। কারণ তিনি মনে করতেন জোকার চরিত্রটি তার জন্যে একটু বেশিই উচ্চ পর্যায়ের ছিল এবং তিনি হয়তো সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। তিনি এমন কোনো খলনায়কের চরিত্র চাচ্ছিলেন যাদের সম্পর্কে কারও পূর্ববর্তী তেমন কোনো ধারণা ছিলো না। তা সত্ত্বেও তার অভিনয় সবখানেই প্রশংসা পায়। তিনি নিজে তো বটেই, অন্য কেউই হয়তো ভুলেও ভাবেনি শুধুমাত্র কণ্ঠদানের মাধ্যমে তিনি জোকার হিসেবে এতো সুনাম কুড়িয়ে নিবেন। হ্যামিলের এই জোকারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য ছিল হাসির বৈচিত্র্যময় ব্যবহার। জোকার হিসেবে তার ভূমিকা শুরু হয় ১৯৯২ সালের ব্যাটম্যান এনিমেশন ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। তারপর থেকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক ধারাবাহিক ও চলচ্চিত্রে জোকারের চরিত্রে তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন।
হিথ লেজার


১৯৯৭ সালের পর প্রায় আট বছর ব্যাটম্যান নিয়ে কোনো চলচ্চিত্র নির্মিত হয়নি। ২০০৫ সালে মুক্তি পায় নবীন পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ডার্ক নাইট ট্রিলজির প্রথম সিনেমা ‘ব্যাটম্যান বিগিন্স’, যার শেষ দৃশ্যে তিনি পরের চলচ্চিত্রে জোকারকে আনার আভাস দেন। এদিকে নোলানের চলচ্চিত্রে ব্যাটম্যানের রোল ফিরিয়ে দেয়া হিথ লেজার ব্যাটম্যান বিগিন্স দেখেই পরবর্তী চলচ্চিত্রে জোকার চরিত্রে অভিনয় করার মনঃস্থির করেন। সেই অভিপ্রায় নিয়ে নোলানের দ্বারস্থ হন, অডিশন দেন এবং তার অভিনয়শৈলীর জোরে ‘দ্য ডার্ক নাইট’ চলচ্চিত্রে চরিত্রটি নিজের করে নেন।
লেজার প্রায় দুই মাস বিচ্ছিন্ন কক্ষে নিজেকে তালাবদ্ধ রেখে নিয়েছিলেন জোকার চরিত্রের প্রস্তুতি নিতে। অমানুষিক পরিশ্রম ও স্বভাবগত অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তিনি জোকারকে দিয়েছিলেন ভিন্ন এক ভয়ংকর রূপ। এমনকি জোকারের ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য জিতে নিয়েছিলেন পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার অস্কার। ইতিহাসে এর আগে কোনো অভিনেতা কমিকবুক চরিত্রে অভিনয় করে অস্কার জিততে পারেননি। এদিকে কিছু না জানিয়েই জোকারের চরিত্রের জন্যে লেজারকে ঠিক করায় অভিনেতা জ্যাক নিকলসন কিছুটা দুঃখ পেয়েছিলেন।
সর্বশেষ জোকার চরিত্রে জ্যারেড লেটো


ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্স শুরু হওয়ার পর ২০১৪ সালে দর্শকদের জানানো হয় যে তাদের পরবর্তী চলচ্চিত্রে জোকার চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন জ্যারেড লেটো। সাধারণ দর্শক সবাই সেই খবরে বেশ খুশিই হয়েছিল। সবাই আশা করেছিল, দক্ষ এই অভিনেতা হয়তো জ্যাক নিকলসন এবং হিথ লেজারকে ছাড়িয়ে জোকারকে নিয়ে যাবেন অনন্য এক উচ্চতায়। কিন্তু আশা পূর্ণ হয়নি কারোরই। সব পক্ষ থেকেই সমালোচনার তীরবিদ্ধ হয়েছেন। তবে অনেকের ধারণা, পর্দায় কম সময় উপস্থিতির কারণেই এসকল সমালোচনার উদ্ভব।
তবে জোকারকে ভিন্ন মাত্রা দেয়ার চেষ্টা তিনি যে করেননি তা না। আশ্রয় নিয়েছিলেন মেথড অভিনয়েরও। শুটিং করতে আসতেন জোকার সেজে। সেটের বাইরেও তিনি করতেন জোকারর মতো কাজ কারবার। তার জোকারের হাসিতে পরিপূর্ণতা আনার জন্য তিনি রাত বিরাতে কানাডার রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন এবং হঠাৎ করে মানুষের সামনে গিয়ে নানাভাবে উদ্ভট হাসি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন তার কোন হাসিতে মানুষ কীরূপ প্রতিক্রিয়া করছে। তা সত্ত্বেও এরূপ ব্যর্থতা অভিনেতা এবং দর্শক উভয়পক্ষেরই মন ভেঙে দিয়েছে।
প্রচ্ছদ চিত্রসূত্র: Radio Times
তথ্যসূত্র :
সম্পর্কিত নিবন্ধসমূহ: