- মুখোমুখি বাপু ও বঙ্গবন্ধু: সমাপ্ত বনাম অসমাপ্ত অধ্যায় - January 20, 2021
- ক্ষুদিরাম বসু: ছোট্ট অথচ বিদ্রোহী এক জীবন - December 3, 2020
- দি হিউম্যানি কর্পোরিস ফেব্রিকা: আধুনিক অঙ্গসংস্থানবিদ্যা যে বইয়ের কাছে ঋণী - November 18, 2020
ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম ব্যাপারটা বেশ অদ্ভুত। অর্থাৎ কিছু মানুষের ছেচল্লিশটির জায়গায় সাতচল্লিশটি ক্রোমােজোম থাকে। মানে ছেলেদের একটা এক্স, মেয়েদের একটা ওয়াই ক্রোমােজোমের সাথে আবার আর একটা এক্স ক্রোমােজোম চলে আসে তাদের দেহে। ফলে তারা দুইটি এক্সের জন্য সে হয় মেয়ে, ওদিকে এক্স ওয়াইয়ের জন্য সে হয় ছেলে। এদের বাইরের গঠন হয় পুরুষদের মতো কিছুটা, কিন্তু মানসিক গঠন মহিলাদের মতন। এদের পুরুষ বা স্ত্রী কোনাে জননাঙ্গই সম্পূর্ণ তৈরি হয় না; তাছাড়া মেয়েসুলভ আচার আচরণ বেশি দেখা যায়, কারণ দেহে টেস্টোস্টেরন এর পরিমাণ কম থাকে।
ব্যাপারটা শুনতে অদ্ভুত লাগলেও পরিচিত তাই না? এদেরকে প্রচলিত অর্থে হিজড়া বলা হয়। হিজড়াদের ক্রোমোজম সংখ্যা ৪৭টি এই তথ্যটি কেউ কেউ হয়তো প্রথম শুনে থাকবেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
Homo sapiens বা মানুষের জীবনে অনেকগুলাে পর্ব রয়েছে। তারই একটি পর্ব হলাে বিয়ে-থা সম্পন্ন করে ঘর সংসার পাতা। বিয়ে-থা সম্পন্ন হলে অনিবার্য অনুষঙ্গ হিসেবে এক সময় দম্পতির কোলে আসে ফুটফুটে সন্তান। স্ত্রী গর্ভবতী হলেই শুরু হয়ে যায় সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে সে নিয়ে চিন্তাভাবনা। ভাবনাটা যে কেবল স্বামী স্ত্রীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে তা কিন্তু নয়। দাদা-দাদী, নানা-নানীর গণ্ডি পেরিয়ে তা বিস্তৃত হয় অন্যান্য আত্মীয় স্বজনসহ পাড়া-প্রতিবেশী পর্যন্ত। মায়ের আচার আচরণ ও নানা লক্ষণ দেখে হবু সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে তা নিয়ে নানা রকম মতামত ও মন্তব্য করে থাকেন বাড়ির বয়ােজ্যেষ্ঠ মহিলাগণ। হবু সন্তানের লিঙ্গ নিয়ে এই যে মানুষের এত জল্পনা-কল্পনার কার্যত কোনাে মানে নেই বটে, তবু বিভিন্ন পরিবারে বিশ্রীরকমভাবে এটি চালু রয়েছে। আমার ধারণা সন্তানের লিঙ্গ কীভাবে নির্ধারিত হয় বিজ্ঞানের সে বিষয়টি জানতে পারলে মানুষের কৌতূহল কিছুটা হলেও তাতে নিবৃত হতে পারে ।
লিঙ্গ নির্ধারণের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
অন্যান্য অনেক জীবের মত মানুষের ক্ষেত্রেও লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য দু’টি আলাদা ক্রোমােজোম রয়েছে। এই দুটি ক্রোমােজোমকে বলা হয় সেক্স ক্রেমােজোম। মানুষের দেহ ও প্রজনন কোষে রয়েছে মোট 23 জোড়া বা 46 টি ক্রোমােজোম। এদের 22 জোড়াকে বলা হয় অটোজোম আর বাকী এক জোড়া হলাে সেক্স ক্রোমােজোম। নারীর রয়েছে এক জোড়া সমরূপ সেক্স ক্রোমােজোম যাকে X ক্রোমােজোম বলা হয়। পুরুষেরও দুটি সেক্স ক্রোমােজোম রয়েছে বটে তবে এরা অসমরূপ। এদের একটি হলাে X ক্রোমােজোম ও অন্যটি হলাে Y ক্রোমােজোম।
নারী দেহে বিদ্যমান X ক্রোমােজোম মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ডিম্বাণু তৈরির সময় দুইটি X ক্রোমােজোম পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অটোজোমের 44 টি ক্রোমােজোমও আলাদা হয়ে 22 টি করে একেকটি ডিম্বাণুতে যায়। তার মানে একেকটি ডিম্বাণুতে ক্রোমােজোমের সংখা দাঁড়ায় 22 + 1= 23 টি।
একইভাবে পুরুষে X ক্রোমােজোম মিয়ােসিসে বিভাজনের কারণে Y ক্রোমােজোম থেকে আলাদা হয়ে যায় । এখানেও অটোজোমের 44 টি ক্রোমােজোম আলাদা হয়ে 22 টি করে একেকটি শুক্রাণুতে যায়। স্বাভাবিক ভাবে পুরুষ থেকে উৎপাদিত শুক্রাণুগুলাে হয় দু’রকমের। একটি থাকে X ক্রোমােজোম আর 22 টি অটোজোম (22 + X) আর অন্যটিতে থাকে একটি Y ক্রোমােজোম আর 22 টি অটোজোম (22 + Y) = 23 টি। অতঃপর এক রকম ডিম্বাণুর সাথে কোন রকম শুক্রাণু এসে মিলবে তার ওপর নির্ভর করে সন্তান ছেলে না মেয়ে হবে। সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে এর জন্য বাবাই কিন্তু দায়ী।


সাধারণত ক্রোমােজোম XX সমন্বয়ে জাইগোট কন্যা শিশু আর XY মিলিত হয়ে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। এভাবে সৃষ্ট নতুন জীবে ক্রোমােজোম সংখ্যা পুনরায় ৪৬ টি হয়। এই হলাে ক্রোমােজোম দিয়ে লিঙ্গ নির্ধারণের সাধারণ নিয়ম। তবে ব্যতিক্রম সব ক্ষেত্রেই যখন লক্ষনীয় লিঙ্গ নির্ধারণেও ব্যতিক্রম কেনই বা পরিলক্ষিত হবে না। হ্যাঁ, এই ব্যাতিক্রমকে সহজ সাবলীল ভাবেই এই আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
হিজড়া শব্দের উৎপত্তি
হিজড়া শব্দটি একটি উর্দু শব্দ, যা সেমেটিক আরবি ধাতুমূল হিজর (গোত্র হতে পরিত্যক্ত) থেকে এসেছে। এবং পরবর্তীতে তা হিন্দি ভাষায় বিদেশী শব্দ হিসেবে প্রবেশ করেছে। ‘হিজড়া’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ উভয় লিঙ্গ (Common Gender), ইংরেজীতে একে ট্রান্সজেন্ডার (Transgender) বলা হয়। আর শুদ্ধ ভাষায় হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গধারী বলা হিয়। আধুনিক জেনেটিক্স বা চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে হিজড়া হলো সেক্স ক্রোমোজমের ত্রুটিপূর্ণ বিন্যাস (Chromosomal Aberration) বা জিন জনিত জন্মগত ত্রুটিযুক্ত ব্যক্তি যাদের জন্ম পরবর্তী সঠিক লিঙ্গ নির্ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। আর এই হিজড়া হওয়ার জন্য দায়ী যে জিনিসটা, সেটাই হচ্ছে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম। এটা পড়তে দাঁত ভেঙ্গে গেলেও ব্যাখ্যা জানার জন্য কিন্তু আমাদের মন উসখুস করছে। সেটি আপনি মানুন আর নাই মানুন, আপনার মন এ কথা নিশ্চয়ই ভাবছে, “বিষয়টা জেনে রাখি, পরে কাজে লাগবে!” চলুন আর দেরী না করে মনের কৌতূহল নিরসন করি।
ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম শব্দের উৎপত্তি


জাইগোটের এক্স ও ওয়াই এর কম্বিনেশনের অস্বাভাবিকতাই হচ্ছে ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম। আপনি জানেন কি? এই ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম এর কারনেই ভ্রূণ সঠিক লিঙ্গ পায়না, অথবা পুরুষ লিঙ্গ পেয়েও পুরুষত্ব পায়না আবার নারী লিঙ্গ পেয়েও নারীত্ব পায়না। এক কথায় স্বভাব হয় একজন মানুষের মত; কিন্তু শরীরটা পুরষের আর মনটা নারীর অথবা মনটা পুরুষের আর শরীরটা নারীর।
ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম এর সর্বপ্রথম ধারণা দেন স্যার হ্যারি ক্লাইন ফিল্টার। যেহুতু তিনিই প্রথম ধারণা দেন, সেজন্য তার নামানুসারেই এই সিনড্রম এর নামকরণ করা হয় ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম। ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম ভালোভাবে জানার জন্য আমাদের মিয়োসিস কোষ বিভাজন সম্পর্কে ধারণা থাকা চাই।চলুন তাহলে মিয়োসিস কোষ বিভাজন জেনে নেই।
আরও পড়ুন: সাভান্ট সিনড্রোম ও কিছু মানুষের বদলে যাওয়া জীবনের গল্প (পর্ব ১)
স্বাভাবিক মানুষের মিয়োসিস কোষ বিভাজন
আমাদের জনন মাতৃকোষ অথাৎ শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মধ্যে মিয়োসিস কোষ বিভাজন ঘটে। মিয়োসিস কোষ বিভাজন দুইটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এর প্রথম ধাপকে মিয়োসিস-১ এবং দ্বিতীয় ধাপকে মিয়োসিস-২ কোষ বিভাজন বলা হয়। মিয়োসিস-১ এ শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে অর্ধেক হয়ে দুটি অপত্য কোষের সৃস্টি করে এবং মিয়োসিস-২ কোষ বিভাজনে দুইটি অপত্য কোষ থেকে চারটি নতুন কোষ সৃষ্টি হয়।
ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম এর ক্ষেত্রে মিয়োসিস কোষ বিভাজন
কিন্তু ক্লাইন ফিল্টার সিনড্রম এর মিয়োসিস-১ এ দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি না হয়ে একটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়। পরিবর্তিতে মিয়োসিস-২ এ একটি কোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষ সৃস্টি হয় এবং সৃষ্ট প্রত্যেকটি কোষে দুইটি করে ডিম্বাণু থেকে যায়। আবার কখনো কখনো মিয়োসিস-১ সঠিক নিয়মে ঘটলেও মিয়োসিস-২ এ চারটির পরিবর্তে তিনটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় ফলে একটি কোষে দুটি ডিম্বাণু থেকে যায়।
পরবর্তীতে এই অতিরিক্ত এক্স ক্রোমোজমগুলোর যেকোন একটি শুক্রাণুর সাথে মিলিত হয়ে জাইগোট গঠন করলে জাইগোটে একটি ডিম্বাণু ক্রোমোজোম বেশি চলে আসে। ফলে জাইগোটের ক্রোমোজম 46 টির পরিবর্তে 47টি হয়। বোঝা গেলো তো ব্যাপারটা? বলেছিলাম না সহজেই মাথায় ঢুকবে।
হিজড়াদের 47 ক্রোমােজোমের হওয়ার পেছনের বৈজ্ঞানিক গল্পকথা এখানেই শেষ। আরেকটু যোগ করলে শুধু যে 47 ক্রোমোজোম এবং XXY বিশিষ্ট হয় এমনটা নয় XYX এমনকি 48 ক্রোমোজম বিশিষ্ট ও হয়ে থাকে। কেউ কেউ ধারণা করেন, স্ত্রীর রজঃচক্র চলাকালীন মিলিত হলে সন্তান হিজড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু মনে রাখতে হবে পৃথিবীর অন্যসকল ব্যতিক্রম এর মতোই এটিও একটি ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম কখন ঘটবে, কোথায় ঘটবে তা কিন্তু আমরা কেউই আগে থেকে জানি না। এই ঘটনাটিও ঠিক সেইরকম। ভূমিকম্প আকস্মিক হলে যেমন আমাদের কিছু করার থাকে না, অনেকটা তেমনই। সন্তান তৃতীয় লিঙ্গধারী হলেও তাকে ছুড়ে ফেলে দিবেন না, তাকে অবজ্ঞা করবেন না। অবহেলার চোখে না তাকিয়ে তাকে সহমর্মিতা দিয়ে আগলে রাখুন। এবার আসি হিজড়াদের শারীরিক গঠন নিয়ে।
তৃতীয় লিঙ্গধারীদের শারীরিক গঠন
হিজড়াদের শারীরিক গঠন মূলত ৪ প্রকার। কিছু থাকে এমন যে, তারা আদতে নারী হলেও তাদের মধ্যে নারী জননাঙ্গ থাকে না। আবার কিছু হিজড়া হলো যাদের পুরুষের সকল বৈশিষ্ট্য থাকা সত্বেও পুরুষ জননাঙ্গ থাকে না। এছাড়া কিছু হিজড়ার উভয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কারো কোনোটাই থাকেনা।
শারীরিক ভাবে পুরুষ কিন্তু মানষিক ভাবে নারী বৈশিষ্ট্য এর অধিকারী হিজড়াদের বলা হয় অকুয়া, ঠিক বিপরীত হিজড়াদের বলা হয় জেনানা, আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেটেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।
চিকিৎসার মাধ্যমে কি সারিয়ে তোলা সম্ভব?
শিশু বয়সে লক্ষণ প্রকাশ পেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।আর এখন উন্নত প্রযুক্তির বদৌলতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাও সম্ভব। হিজড়া বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মানো কোন শিশুর যদি পরিনত বয়সে যাওয়ার আগে চিকিৎসা করা হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন আসলে বোঝা যায় সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা তখন আসলে অনেক দেরি হয়ে যায়। এছাড়াও জন্মের পর বাড়ন্ত সময়ে শিশুর যখন অস্বাভাবিকতা বা হিজড়ার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়; তাহলে তৎক্ষণাৎ পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি সঠিক মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব।“সঠিক অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়াদের লিঙ্গ সমস্যার সমাধান সম্ভব।”মুসলিম রাষ্ট্র ইরানে সরকারি উদ্যোগে, অপারেশনের মাধ্যমে হিজড়াদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। হিজড়া সম্প্রদায় সৃষ্টির সেরা জীব বা আশরাফুল মাখলুকাতের অন্তর্ভুক্ত। তাদের অবজ্ঞা করা মানে আল্লাহর সৃষ্টিকেই অবজ্ঞা করা।
সরকার তাদের কর্মসংস্থানের কথা ভাবছে। তবে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো শিক্ষা। সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে তারা নিজেরাই তাদের অধিকার এবং কাজ খুঁজে নেবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, এদের মধ্যে কিছু লোক হিজড়াদের দিয়ে চাঁদাবাজি করানোর জন্য তাদেরকে বাইরের লোকদের সাথে মিশতে এবং শিক্ষা গ্রহণ করতে দিতে চায়না।
শক্তিশালি বক্সাররা যেমন তাদের সুদৃঢ় পাঞ্জার জোরে বিরােধীপক্ষের সমস্ত প্রতিরােধকে এক ঝটকায় নস্যাৎ করে দেন , তেমনি পৃথিবীর সমস্ত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গুলাে যদি তাদের দিকে অনবরত ধেয়ে আসা সামাজিক প্রশ্নবাণ বা ভ্রুকুটি গুলােকে নস্যাৎ করে দিতে পারতেন তাহলে বেশ হতাে, বেশ হয়, বেশ হবে …।
Unbelievable…your writing is so great…carry on…best of luck…
অসংখ্য ধন্যবাদ অনুপ্রাণিত করার জন্য।ইনশাল্লাহ পরবর্তী লেখাগুলো আরো ভালো এবং চমকপ্রদ করার চেষ্টা করবো।
সুন্দর লিখেছেন।
একটা শব্দ ‘কাসট্রেটেড'(castrated) হবে
thank you sir.