- ইলন মাস্ক: বিশ্বের অন্যতম একজন সফল উদ্যোক্তা - March 10, 2021
- দ্য সিক্রেট নাজকা লাইন: যার প্রকৃত সত্য আজও রহস্যাবৃত - March 1, 2021
- ড্রাকুলা সিনড্রোম: সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকা অশুভ অস্তিত্ব - January 11, 2021
গল্প উপন্যাসে ক্যানিবালিজম বা নরমাংস ভক্ষণের গল্প প্রায় সবাই পড়েছেন। রবিনসন ক্রুসো উপন্যাসে ক্রুসো নরখাদকদের হাত থেকে এক বন্দিকে উদ্ধার করে নিজের চাকর বানিয়েছিলেন। আফ্রিকা মহাদেশের অনেক উপজাতির মধ্যে এখনো নরমাংস খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। নরমাংস ভক্ষণের এই প্রবণতাকে বলা হয় ক্যানিবালিজম। তবে অসভ্য, জংলিরাই যে শুধু মানুষখেকো হয়ে থাকে তেমনটা ভাবলে ভুল হবে। চলমান নিবন্ধ এই অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে।
ক্যানিবালিজম বা নরমাংস ভক্ষণ হচ্ছে মানুষের এমন এক ধরনের আচরণ যেখানে একজন মানুষ আরেকজনের মাংস ভক্ষণ করে। তবে প্রাণিবিজ্ঞানে এই বিষয়টিকে আরো বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এভাবে, ক্যানিবালিজম হলো কোন প্রাণির এমন আচরণ যেখানে সে তার নিজের প্রজাতির মাংস আহার করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এটি তার সহযোগীও হতে পারে। ক্যানিব্যালাইজ শব্দটি ক্যানিবালিজম থেকে এসেছে এর মানে হলো সামরিক অংশের পুনোৎপাদন। তবে বিজ্ঞানীরা ক্যানিবালিজমকে মানসিক রোগ হিসেবেই আখ্যায়িত করেছেন।
ক্যানিবালিজম চর্চা
ক্যানিবালিজম লিবিয়া ও কঙ্গোতে বেশ কিছু যুদ্ধের সময় দেখা গেছে। করোওয়াই হলো এমন একটি উপজাতি যারা এখনো বিশ্বাস করে, ক্যানিবালিজম স্বাভাবিক জীবনযাত্রারই অংশ। কিছু মিলেনেশিয়ান উপজাতি ধর্মচর্চায় ও যুদ্ধে ক্যানিবালিজম অনুসরণ করে। এরূপ আচরণের বড় কারণ হচ্ছে মানসিক সমস্যা বা সামাজিক আচরণের বিচ্যুতি। ক্যানিবালিজম চর্চার দুই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি আছে। একটি হচ্ছে একজনের মাংস খাওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা ও আরেকটি হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে মৃত মানুষের মাংস খাওয়া।
ক্যানিবালিজম সংশ্লিষ্ট এসব কথা আমাদের যতটা না অবাক করে তার থেকে বেশি অবাক করবে যখন আমরা মানুষখেকো রিচার্ড ট্রেন্টন চেজ এবং খলিলুল্লাহ সম্পর্কে জানতে পারব। বর্তমানে নরখাদকদের মতো কোনো জীবের দেখা তেমন না মিললেও রিচার্ড ট্রেন্টন চেজ এবং খলিলুল্লাহর গল্প অনেকাংশে এরকমই। এদের মানসিক ভারসাম্য এতটাই বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছিল যে এদের প্রকৃত নেশা হয়ে উঠেছিল মানুষের মাংস খাওয়া। এমনকি অন্য জীবজন্তু খেতেও তারা পিছুপা হতোনা। তো চলুন রিচার্ড ট্রেন্টন এবং খলিলুল্লাহর ভয়ানক সেই ঘটনা জেনে নেওয়া যাক।
রিচার্ড ট্রেন্টন চেজ: এক নির্দয় ক্যানিবাল
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারায় জন্মগ্রহণ করে রিচার্ড ট্রেন্টন চেজ। ১০ বছর বয়সেই ‘ম্যাকডোনাল্ড ট্রায়ড’ এর তিনটি বৈশিষ্ট্যই তার মধ্যে দেখা যায় (বিছানায় প্রস্রাব, অগ্নিসংযোগ এবং প্রাণিদের প্রতি নিষ্ঠুরতা)। তিনি বয়ঃসন্ধিকালে অতিরিক্ত মাত্রায় মাদক সেবন করতেন। পরিপক্ব বয়সে চেজের মধ্যে হাইপোকনড্রিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। প্রায়ই তার হৃৎস্পন্দন থেমে যেত। মাথায় কমলা বেঁধে রাখতেন কারণ তার বিশ্বাস ছিল এভাবে তার মস্তিষ্ক ভিটামিন সি শোষণ করে। চেজ আরো বিশ্বাস করতো তার কাঁধের হাড়গুলো আলাদা হয়ে গিয়েছে এবং চারপাশ নড়াচড়া করতে পারে।
তার মা তাকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করতে পারে সন্দেহে সে তার বাড়ি ছেড়ে বন্ধুর সাথে থাকতে শুরু করে। চেজের বন্ধু অভিযোগ করে যে, সে অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা এবং এলএসডিতে আসক্ত। এছাড়াও সে ঘরের মধ্যে নগ্ন ঘুরে বেড়াতো। এরকম অদ্ভুত আচরণের কারণে চেজের বন্ধু এপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যায়। একা এপার্টমেন্টে বিভিন্ন প্রাণি হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা করতে শুরু করে যা সে পরে কাঁচা খেত কিংবা কোকাকোলার সাথে পান করতো। চেজ বিশ্বাস করতো এর মাধ্যমে তার হৃদয় সংকুচিত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
১৯৭৩ সালের কিছু সময় চেজ মানসিক হাসপাতালে কাটায়। ১৯৭৬ সালে চেজ নিজের শরীরে খরগোশের রক্ত প্রবেশ করালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের কর্মীরা রক্তের প্রতি তার আসক্তি দেখে অবাক হয়ে যায়। হাসপাতালের জানালা দিয়ে পাখি ধরে তাদের ঘাড় মটকে রক্ত পান করতো চেজ। পরীক্ষায় ধরা পরে, চেজ প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসার পর যখন চেজ অনেকটা সুস্থ তখন তাকে হাসপাতাল থেকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তার মা হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসার পর তার ওষুধ বন্ধ করে দেয় এবং চেজকে তার নিজের এপার্টমেন্টে পাঠিয়ে দেয়। প্রথমে কিছু বন্ধু তার সাথে থাকলেও অল্প দিনের মধ্যেই সবাই এপার্টমেন্ট ছেড়ে যায়।
১৯৭৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে পিরামিড লেক নেভাদা থেকে চেজকে গ্রেফতার করা হয়। তার শরীর ছিল রক্তে ভেজা এবং তার ট্রাকে এক বালতি রক্ত পাওয়া যায়। পরীক্ষা করে দেখা যায় ওগুলো গরুর রক্ত। তাই, কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। ১৯৭৭ সালের ২৯শে ডিসেম্বর চেজ তার প্রথম শিকারকে গুলি করে হত্যা করে যে ছিল ৫১ বছর বয়সী একজন প্রকৌশলী। এরপর চেজ একটি বাড়ি ভেঙ্গে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা তেরেসা ওয়ালিনকে গুলি করে হত্যা করে। এরপর ঐ মৃতদেহের সাথে শারীরিকভাবে মিলিত হয় এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আলাদা করে তার রক্ত পান করে।
১৯৭৮ সালের ২৭ জানুয়ারি ৩৮ বছর বয়সী ইভলিন মিরথের বাড়িতে প্রবেশ করে তার বন্ধু ড্যানি মেরিডিথকে হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি করে এবং মেরেডিথের ওয়াললেট ও গাড়ির চাবি নিয়ে নেয় চেজ। এরপর সে মিরথকে গুলি করে এবং তার মৃতদেহের সাথে মিলিত ও মাংস খাওয়ার আগে তার ছয় বছরের ছেলে জেসন এবং ২২ মাস বয়সী ভাতিজা ডেভিড ফেরেইরাকেও নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। আগুন্তুক প্রতিবেশী পুলিশ খবর দিলে পুলিশ সহজেই তার হাতের ও জুতার ছাপ নির্ণয় করতে পারে। অবিলম্বে চেজকে গ্রেপ্তার করা হয়। চেজের এপার্টমেন্ট অনুসন্ধান করে পুলিশ জানায় এর দেয়াল, মেঝে, সিলিং, রেফ্রিজারেটর সমস্ত স্থানে রক্তের নমুনা পাওয়া গেছে।
১৯৭৯ সালে ছয়টি হত্যা মামলা দায়ের হয় চেজের বিরুদ্ধে। মৃত্যুদণ্ড এড়ানোর জন্য মানসিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরলেও ১৯৮০ সালে জুরি চেজকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা জানার পর চেজ একাধিক সাক্ষাৎকারে তার নাৎসি ও ইউএফও ভীতির কথা জানায়। সে জানায় যে, সে আসলে নির্দোষ। নিজের প্রাণ রক্ষা করতে এই হত্যাকাণ্ড গুলো ঘটিয়েছে। চেজ আবেদন জানায় তাকে রাডার বন্দুক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য যাতে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়া চেজ উপস্থাপককে প্রচুর পরিমাণে ম্যাকারনি এবং পনির ঘুষ দিতে চেয়েছিল যা তার প্যান্টের পকেটে লুকানো ছিল।
তার বিশ্বাস ছিল কারাগার কর্মকর্তারা নাৎসিদের সাথে মিলে তাকে বিষাক্ত খাবার খাইয়ে হত্যা করবে। ১৯৮০ সালের ২৬শে ডিসেম্বর চেজের মৃতদেহ পাওয়া যায় তার কারাগার কক্ষে। অতিরিক্ত অ্যান্টিডিপ্রেসিভ মেডিসিন নেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয় যা সে কিছুদিন ধরে জমাচ্ছিল।
বাস্তবতা কল্পনার চেয়েও বিচিত্র। এতক্ষণ যে মানুষটির সম্পর্কে লেখা হয়েছে এরকম অনেক রগরগে থ্রিলার সিনেমা দেখা হয়েছে নিশ্চয়ই। কিন্তু ভাবতে পারেননি হয়তো বাস্তবে এমন কেউ থাকতে পারে। ঘটনা যত অদ্ভুতই হোক বা যতো নির্মমই হোক, তার থেকেও শেখার থাকে।
কোনো সন্দেহ নেই যে ছেলেবেলা থেকেই রিচার্ড ট্রেন্টন চেজের মানসিক সমস্যা ছিল। মানসিক রোগের লক্ষণগুলো বারংবার তার মধ্যে দেখা গিয়েছে। চিকিৎসা করেও সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারো ক্যান্সার হলে কিংবা অন্য কোনো ধরণের অসুখ হলে আমরা সমবেদনা জানাই। কিন্তু অসুখটা যদি মনের হয় তবেই হয় যতো বিড়ম্বনা, যতো লজ্জা। এতোটাই লজ্জার, বিড়ম্বনার যে আমরা আড়াল করতে থাকি। ফলশ্রুতিতে তৈরি হয় রিচার্ড ট্রেন্টন চেজের মতো দানবের।
আরো পড়ুন: এরিয়া ৫১: পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ও গোপন জায়গা
খলিলুল্লাহ: এক মানসিক ভারসাম্যহীন নরখাদক
ঘটনাটা ইউরোপ কিংবা নিদেনপক্ষে ভারতে হলেও এতদিনে লোমহর্ষক কোনো পর্দা কাঁপানো ছবি নির্মাণ হয়ে যেত। এটি ছিল ৭০ দশকের কথা। আজ যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না, তেমনই একটা ব্যাপার ঘটেছিল সেই সময়। ঘটনার মূল কুশীলব হলেন বাংলাদেশের এক ব্যক্তি, নাম তার খলিলুল্লাহ। ১৯৭৫ সালের ৩ এপ্রিলের কথা। তৎকালীন শীর্ষ পত্রিকা দৈনিক বাংলার একটি বক্স আইটেম গোটা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। পাঠকের চোখ কপালে উঠে যায়। শিউরে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। খবরের ছবিতে দেখা যায় এক যুবক মরা একটি লাশের চেরা বুক থেকে কলিজা বের করে খাচ্ছে। কী বিভৎস এক দৃশ্য! ভাবতেই গা গুলিয়ে যাচ্ছে!
খলিল দাবী করে, তাকে অনেকে শারীরিকভাবে আঘাতও করেছে, যার জন্য শুধু বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে সে কবরস্থানকে বেছে নিয়েছে। তবে মরা মানুষের মাংসের লোভে নয়, শুধু নিজেকে সমাজ থেকে দূরে রাখার জন্য। সে মনে করে
যদি মানুষের মাংস খাওয়ার জন্যই কবরস্থানে আসি তাহলে তো কবরস্থান কর্তৃপক্ষ অনেক আগেই তাড়িয়ে দিত।
তবে ২২ বছর আগে এই খলিল এতটা সহজ-সরল ছিল না। ছিল একেবারেই উন্মাদ ও হিংস্র। এছাড়াও খলিলউল্লাহর ধরা পড়ার গল্পটাও লোমহর্ষক। খলিলুল্লাহ নরমাংসের নেশায় মর্গে আসতেই হাসপাতাল কর্মচারীরা তাকে ধরে ফেলেন। তারপর তাকে হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক কর্নেল এম এল রহমানের কক্ষে হাজির করা হয়।
কর্নেল সাহেব কলেজের অধ্যক্ষ ডা. এম এ জলিল ও মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সামাদসহ আরো কয়েকজন মানসিক বিশেষজ্ঞকে জরুরি তলব করেন। তাঁরা খলিলুল্লাহকে অভয় দিয়ে ঘটনা খুলে বলতে বলেন। খলিলের কথায় তখন অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা বেরিয়ে আসে। তার জবানবন্দিতেই জানা যায়- ‘রবি’ নামে একজন ডোম ছিল খলিলুল্লাহ ছোটবেলার বন্ধু। তখন সে লালবাগে থাকত। প্রতিদিন হেঁটেই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আসত। রবি ডোমের বাবা ছিল ঢাকা মেডিকেলের প্রথম ডোম। তিনি খলিলুল্লাহ ও রবি ডোমকে প্রথম মরা মানুষের মাংস খেতে দিয়েছিল।
শুরু হয় নতুন করে পুলিশি জেরা। কিন্তু পুলিশকে বোকা বানিয়ে খলিলুল্লাহ দৃঢ়কণ্ঠে ঘোষণা করে, সে মানুষের মাংস খায়, ভবিষ্যতেও খাবে। এ ঘোষণার ভেতর দিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়, খলিলুল্লাহ কোনো দাগী অপরাধী নয় বরং একজন জটিল মানসিক রোগী। মানসিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। সবকিছু শুনে বিচারক খলিলুল্লাহকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নির্দেশ দেন।
খলিলুল্লাহ পাবনা মানসিক হাসপাতাল থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ঢাকায় আসে। কিন্তু মানুষের মাংস খাওয়ার অপবাদ তার কপাল থেকে যায়নি। কোথাও গেলে তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেওয়া হতো। মহল্লার লোকজন ইট দিয়ে তাকে আঘাত করত। ঘৃণায় তাকে কেউ কাজ দিত না। যার কারণে আজিমপুর করবস্থানের গেটে বসে সে ভিক্ষা করত। সমাজ থেকে বিতাড়িত হয়েই সে কবরস্থানের ভিক্ষুকদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিল।
বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ক্যানিবালিজম সংশ্লিষ্ট গা হিম করা যেসব কাহিনী আমরা শুনি, এখনকার সময়ের চিকিৎসাবিজ্ঞান সেটিকে এক প্রকার মানসিক অসুস্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিগত কয়েক দশকে অনেক আলোচিত ক্যানিবালকে ধরে চিকিৎসা এবং অপরাধ অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। মানুষ নিশ্চয়ই পশুপাখি না যে একা পেলেই কেউ তাকে ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলবে। তাই বাঁচার তাগিদে কখনো ক্যানিবালিজম সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে কিছু ক্ষেত্রে, তবে তা অবশ্যই মানসিক বিকাশগত সমস্যার কারণে।