- ‘সে যুগে মায়েরা বড়’: সভ্যতায় নারী সদস্যদের অবদান - February 23, 2021
- ‘হায়রোগ্লিফের দেশে’ – গল্পের ছলে মিশরীয় সভ্যতার জানা অজানা রহস্যের সন্ধান - February 19, 2021
- ‘যদ্যপি আমার গুরু’: আহমদ ছফার গুরু বন্দনা - February 8, 2021
হাজার বছর আগের প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা রূপান্তরিত হয়ে বঙ্গীয় অঞ্চলে জন্ম নিয়েছিলো এক মধুর, কোমল, বিদ্রোহী প্রাকৃত ভাষা। তার নাম বাঙলা। এই ভাষাকে কখনো বলা হয়েছে ‘প্রাকৃত’, কখনো বলা হয়েছে ‘গৌড়ীয় ভাষা’। কখনো বলা হয়েছে ‘বাঙ্গলা’, বা ‘বাঙ্গালা’। এখন বলি ‘বাঙলা’ বা ‘বাংলা’। এ ভাষায় লেখা হয় নি কোনো ঐশী শ্লোক, এ ভাষা স্নেহ পায়নি প্রভুদের। কিন্তু হাজার বছর ধরে এ ভাষা বয়ে চলেছে। চলার পথে সঙ্গী হয়েছে অসংখ্য মানুষের। বৌদ্ধ বাউলেরা বাংলা ভাষায় রচনা করেছেন দুঃখের গীতিকা; বৈষ্ণব কবিরা ভালোবেসেছেন বাঙলা ভাষায়। মঙ্গল কবিরা এ ভাষায় গেয়েছেন লৌকিক মঙ্গলগান। এ ভাষায় লিখিত হয়েছে আধুনিক মানুষের জটিল উপাখ্যান। এ ভাষার জন্যে উৎসর্গিত হয়েছে আমার ভাইয়ের টকটকে লাল তাজা বিপ্লবী রক্ত। কতো নদী সরোবর গ্রন্থের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে সেই সুদীর্ঘ ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
পটভূমি
প্রতিটি জাতি, দেশ, ভাষা, শিল্প-সংস্কৃতি এবং সাহিত্যের একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস থাকে। যা থেকে সুস্পষ্ট ধারণা নেওয়া যায় ঐ সুনির্দিষ্ট বিষয়ের গঠন সম্পর্কে। আমাদের বাঙলা ভাষারও রয়েছে এক গৌরবময় সমৃদ্ধ ইতিহাস। বাংলা ভাষার ইতিহাস নিয়ে অনেক ঐতিহাসিক অনেক তথ্যবহুল গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ রচিত কতো নদী সরোবর বইটি সাহিত্যমানের দিক দিয়ে অনেক উচ্চে।
কিশোর কিশোরীদের উপযোগী করে গ্রন্থটি রচিত। লেখক উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, অনেকে অনেকভাবে বাংলা ভাষার ইতিহাস রচনা করেছেন কিন্তু কিশোর কিশোরীদের প্রতি কেউ আলাদা করে মনোযোগ দেননি। তাই প্রাঞ্জল ভাষায় গ্রন্থটি রচনা করা হয়েছে।
গ্রন্থের বিষয়বস্তু
কতো নদী সরোবর বইটির মূল বিষয়বস্তু হলো বাংলা ভাষার ইতিহাস। লেখক ২৪টি ধারাবাহিক অনুচ্ছেদের মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলা ভাষার ইতিহাস উপস্থাপন করেছেন।
অনুচ্ছেদসমূহ এবং সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
চাতকচাতকীর কথা, জন্মকথা, আদি-মধ্য-আধুনিক: বাঙলার জীবনের তিন কাল, গঙ্গা জউনা মাঝেঁ রে বহই নাঈ, কালিন্দীর কূলে বাঁশি বাজে, হাজার বছর ধ’রে, ধ্বনিবদলের কথা, ধ্বনিপরিবর্তন: শব্দের রূপ বদল, আমি তুমি সে, জলেতে উঠিলী রাহী, বহুবচন, আইসসি যাসি করসি, সোনালি রুপোলি শিকি, বাঙলা শব্দ, ভিন্ন ভাষার শব্দ, বাঙলা ভাষার ভূগোল, আ কালো অ শাদা ই লাল, গদ্যের কথা, মান বাঙলা ভাষা: সাধু ও চলিত, অভিধানের কথা, ব্যাকরণের কথা, যে-সব বঙ্গেতে জন্মি এবং বাঙলা ভাষা: তোমার মুখের দিকে।
চাতকচাতকীর কথা
এই অনুচ্ছেদে লেখক বলতে চেয়েছেন, পৃথিবীর সকল মানুষই তার নিজের মাতৃভাষার চাতক। চাতক হলো একটি পাখির নাম, যে বৃষ্টির জল ছাড়া পান করে না। সারাবছর ধরে সে অপেক্ষা করে বৃষ্টির জলের জন্য। ঠিক তেমনি প্রত্যেক মানুষ তার মাতৃভাষায় কথা বলে যে সুখ পায়, তা অন্য ভাষায় পায় না।
লেখকের লেখনীতে,
কতো ভাষা এই পৃথিবীতে। বাঙলা, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, জাপানি, রুশ, তামিল, তেলেগু, মালায়, আরবি, ফারসি, হিন্দি, আসামি, ওড়িয়া, হিব্রু ও আরো কতো ভাষা। ইচ্ছে করলে আর সুযোগ পেলে আমরা শিখতে ও বলতে পারি যে কোনো ভাষা। কিন্তু পৃথিবীর সকল মানুষের রয়েছে একটি আপন ভাষা: মাতৃভাষা। যে-ভাষা তার মায়ের, যে ভাষা তার বাবার। যে ভাষা তার সমাজের অন্যান্যের; যে ভাষা তার নিজের। নিজ ভাষা বলে আর শুনে যে সুখ, তা পাওয়া যায় না অন্য কোনো ভাষায়। প্রতিটি মানুষের মূল পরিচয় তার ভাষায়। তার জাতীয় পরিচয়ও খচিত তার ভাষায়। প্রতিটি মানুষ আপন ভাষার চাতক। প্রত্যেকের নিজ ভাষা তার কাছে মেঘগলা বৃষ্টির জলের মতো। তার ঠান্ডা আদর ছাড়া মানুষের পিপাসা মেটে না।
জন্মকথা
এই অনুচ্ছেদে লেখক আমাদের বাঙলা ভাষার জন্ম উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং বর্তমান আধুনিক রূপ প্রাপ্তির বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
লেখকের ভাষায়,
কোথা থেকে এসেছে আমাদের বাঙলা ভাষা? ভাষা কি জন্ম নেয় মানুষের মতো? বা যেমন বীজ থেকে গাছ জন্মে তেমনভাবে জন্ম নেয় ভাষা? না, ভাষা মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় না। বাঙলা ভাষাও মানুষ বা তরুর মতো জন্ম নেয় নি। বা কোনো কল্পিত স্বর্গ থেকে আসে নি। এখন আমার যে-বাঙলা ভাষা বলি এক হাজার বছর আগে তা ঠিক এমন ছিলো না। এক হাজার বছর পরও ঠিক এমন থাকবে না। বাঙলা ভাষার আগেও এ-দেশে ভাষা ছিলো। সে-ভাষায় এ-দেশের মানুষ কথা বলতো, গান গাইতো, কবিতা বানাতো। ভাষার ধর্মই বদলে যাওয়া। মানুষের মুখে মুখে বদলে যায় ভাষার ধ্বনি। রূপ বদলে যায় শব্দের, বদল ঘটে অর্থের। অনেক দিন কেটে গেলে মনে হয় ভাষাটি একটি নতুন ভাষা হয়ে উঠেছে। বাঙলা ভাষার আগেও এ-দেশে ভাষা ছিলো। আর সে-ভাষার বদল ঘটেই জন্ম হয়েছে বাঙলা ভাষার।
আদি-মধ্য-আধুনিক : বাঙলার জীবনের তিন কাল
এই অনুচ্ছেদে লেখক বাঙলা ভাষার যুগ বিভাজন নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বাঙলা সাহিত্যের মতোই বাংলা ভাষারও যুগ বিভাজন করা হয়েছে বা করেছেন পন্ডিতেরা, তার বিবরণই উল্লেখিত হয়েছে এই অংশে।
লেখকের ভাষায়
সেই পুরোনো সেই প্রথম কালের বাঙলা ভাষাকে বলা হয় প্রাচীন বাঙলা বা আদি বাংলা ভাষা। সে ভাষা সহজে বোঝা যায় না। পণ্ডিতদের ব্যাখ্যা পড়ে বুঝতে হয়। ৯৫০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দ; এই আড়াই শো বছরে বাঙলা ভাষা যে রূপ নিয়েছিলো, তাকে বলা হয় আদি বাংলা ভাষা। ‘চর্যাপদ’ নামে একগুচ্ছ গান পাওয়া গেছে। ওই গানগুলো লেখা হয়েছিল আদিযুগের বাঙলা ভাষায়। আদিযুগের পরের বাঙলা ভাষাকে বলা হয় মধ্যযুগের বাংলা ভাষা। মধ্যযুগের বাঙলা ভাষা অতো সুদূর অচেনা নয়। অনেক কিছু বোঝা যায়। বাঙলা ভাষার মধ্যযুগটি খুব দীর্ঘ। ছ’শো বছরের এ যুগ। ১২০০ থেকে ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়ে যে বাঙলা ভাষা কথিত হতো, আর পাওয়া গেছে লিখিত রূপ, তাকে বলা হয় মধ্যযুগের বাঙলা ভাষা। মধ্যযুগের শুরুতেই আছে দেড় শো বছরের একটি ছোট্ট যুগ। ১২০০ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের বাঙলা ভাষাকে বলা হয় আঁধার যুগের বা ক্রান্তিকালের বাংলা ভাষা। ১৮০১ থেকে শুরু হয় আধুনিক বাংলা ভাষা। উনিশ শতকের বাংলা আর আজকের বাঙলার মধ্যেও অমিল অনেক। তবু ওই বাঙলারই পরিণতি বিশ শতকের বাংলা।
গঙ্গা জউনা মাঝেঁ রে বহই নাঈ
এই অনুচ্ছেদে লেখক বাঙলা ভাষার প্রথম নিদর্শন চর্যাপদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। চর্যাপদ হলো এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া বাঙলা ভাষার প্রথম নিদর্শন, প্রথম লিখিত বই। চর্যাপদ মূলত কয়েকজন বৌদ্ধ সহজিয়াদের লেখা সাধন ভজন করা গানের সমষ্টি। চর্যাপদের রচয়িতা বেশ কজন কবি। তাদের লিখিত কবিতার সমন্বয়ে গঠিত চর্যাপদ।
লেখক এই অনুচ্ছেদে চর্যাপদের আবিষ্কার থেকে শুরু করে চর্যাপদের প্রকাশ পর্যন্ত বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। চর্যাপদ প্রথম আবিষ্কার করেন পন্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। তিনি ১৯০৭ সালে নেপালের রাজকীয় গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা’ নামে প্রকাশ করেন। এরপরই চর্যাপদ নিয়ে সাড়া পড়ে যায় পন্ডিতদের মধ্যে।
কালিন্দীর কূলে বাঁশি বাজে
এই অনুচ্ছেদে লেখক বাঙলা ভাষার মধ্যযুগের একটি নিদর্শন নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বাঙলা ভাষার মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন হলো ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
লেখকের ভাষায়,
যেমন আদি বাঙলা ভাষার রূপের কথা কেউ জানতো না মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ‘চর্যাপদ’ আবিষ্কারের আগে, তেমনি মধ্যযুগের শুরুতে কেমন রূপ ছিলো বাঙলা ভাষার, তাও জানতো না কেউ ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ একটি পুথি আবিস্কারের আগে। পুথিখানি ছিলো বাঁকুড়া জেলার কাঁকিল্যা গ্রামের দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বহু শতাব্দী ধ’রে অনাদরে চোখের আড়ালে প’ড়ে ছিলো সোনার স্তুপের চেয়েও দামি এ-পুথিটি। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ ওই বাড়িতে উদ্দেশ পান পুথিটির। বলা যেতে পারে আবিষ্কার করেন তিনি পুথিটি। এর দু-বছর আগে বাঙলা ভাষার পুরোনো রূপ নেপালে আবিষ্কার করেছিলেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী। বসন্তরঞ্জন রায় আবিষ্কার করেন বাঙলা ভাষার মধ্যযুগের সূচনাকালের রূপ। তাই অমরতা জুটেছে তারও ভাগ্যে।
আরও পড়ুন: বরফ গলা নদী: জহির রায়হানের লেখনীতে নিম্ম মধ্যবিত্তের দুঃখগাঁথা
লেখক হুমায়ুন আজাদ
হুমায়ুন আজাদ বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরোধী, সত্যনিষ্ঠ, বহুমাত্রিক লেখক; তিনি কবি, ঔপন্যাসিক, ভাষাবিজ্ঞানী, সমালোচক, রাজনীতিক ভাষ্যকার, কিশোরসাহিত্যিক, যার রচনার পরিমাণ বিপুল।
জন্ম ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭, বিক্রমপুরের রাড়িখালে। ডক্টর হুমায়ুন আজাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা বিভাগের অধ্যাপক এবং সভাপতি। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাঙলা একাডেমির বই মেলা থেকে ফেরার সময় আক্রমণ করে মৌলবাদীরা তাঁকে গুরুতররূপে আহত করে, কয়েকদিন মৃত্যুর মধ্যে বাস করে তিনি জীবনে ফিরে আসেন। তাঁর জন্যে সারা বাংলাদেশ এমনভাবে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিল, যা আগে কখনো ঘটে নি। ৭ আগস্ট ২০০৪ PEN এর আমন্ত্রণে কবি ‘হাইন’ এর উপর গবেষণাবৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান। এর পাঁচদিন পর ১২ আগস্ট ২০০৪ মিউনিখস্থ ফ্ল্যাটের নিজ কক্ষে তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
কাব্যগ্রন্থ
অলৌকিক ইস্টিমার, জ্বলো চিতাবাঘ, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, যতই গভীরে যাই মধু যতই উপরে যাই নীল, আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে, আধুনিক বাঙলা কবিতা, কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু এবং পেরোনোর কিছু নেই।
কথাসাহিত্য
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল, সব কিছু ভেঙে পড়ে, মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ, যাদুকরের মৃত্যু, শুভ্রব্রত : তার সম্পর্কিত সুসমাচার, রাজনীতিবিদগণ, কবি অথবা দন্ডিত অপুরুষ, নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু, ফালি ফালি ক’রে কাটা চাঁদ, শ্রাবণের বৃষ্টিতে রক্তজবা, ১০০০০ এবং আরো ১টি ধর্ষণ, একটি খুনের স্বপ্ন এবং পাক সার জমিন সাদ বাদ।
প্রবন্ধ/সমালোচনামূলক গ্রন্থ
রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তা, নিঃসঙ্গ শেরপা, শিল্পকলার বিমানবিকীকরণ ও অন্যান্য প্রবন্ধ, ভাষা-আন্দোলন : সাহিত্যিক পটভূমি, নারী, প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে, আমার অবিশ্বাস, পার্বত্য চট্টগ্রাম : সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝরনাধারা, মহাবিশ্ব, দ্বিতীয় লিঙ্গ (মূল: সিমোন দ্য বোভোয়ার), আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম, ধর্মানুভূতির উপকথা ও অন্যান্য, আমার নতুন জন্ম, আমাদের বইমেলা ভাষাবিজ্ঞান, Pronominalization in Bengali, বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র, বাক্যতত্ত্ব, বাঙলা ভাষা ১ ও ২ খন্ড, তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান এবং অর্থবিজ্ঞান।
কিশোর সাহিত্য
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী, ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী, আব্বুকে মনে পড়ে, বুকপকেটে জোনাকিপোকা, আমাদের শহরে একদল দেবদূত, অন্ধকারে গন্ধরা এবং Our Beautiful Bangladesh.
অন্যান্য
হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ, সাক্ষাৎকার, আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন, বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রধান কবিতা। তাঁর ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না ও আব্বুকে মনে পড়ে জাপানি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।
তো আর দেরি কেন? বাংলা ভাষার ইতিহাস আনন্দের সাথে জানতে পড়ে ফেলুন কতো নদী সরোবর বইটি। ইতিহাসভিত্তিক ধাঁচে লেখা হলেও এই বইটি বেশ সুখপাঠ্য।
গ্রন্থসূত্র:
- আজাদ, হুমায়ুন। মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ। ISBN: 978 9840421404। আগামী প্রকাশনী। অষ্টম মুদ্রণ (জুন ২০১৮)।
সত্যি অসাধারণ একটি পোষ্ট
ধন্যবাদ