- ‘অংকের হেঁয়ালি ও আমার মেজোকাকুর গল্প’: এক গণিতবিদের পাওয়া না পাওয়ার আখ্যান - February 14, 2021
- ব্রেইন কম্পিউটার ইন্টারফেস: মস্তিষ্ক দিয়ে যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবার হাতের মুঠোয় - November 22, 2020
- শিক্ষায় ফ্রি ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার: হরিণ, বাঘ, রসমালাই - November 3, 2020
কী মায়াভরা চোখ হরিণের! দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কিন্তু এই সাজানো গোছানো স্বপ্নের বাগানে আগমন ঘটল বাঘের। বাঘ তাড়া করল হরিণকে। হরিণ কি আর বাঘের মত হিংস্র শিকারির কাছে প্রতিযোগিতায় জিততে পারে? প্রকৃতির নিয়ম মেনেই জয় হল বাঘের। কিন্তু হায়! এভাবে সব হরিণ একে একে মারা যেতে থাকলে বাঘ যে খাবারের অভাবে মারা যাবে। আপনি হয়ত ভাবছেন, ফ্রি ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এসব আবার কী গল্প শোনানো হচ্ছে! আশা করি, পুরো নিবন্ধ পড়ার পর এই গল্প আপনার কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হবে।


প্রথমেই ওপেনসোর্স সফটওয়্যার দিয়ে কী বোঝায় তা ছোট্ট করে বলে নেওয়া দরকার। সহজ ভাষায় যেসব সফটওয়্যারের সোর্স কোড যে কেউ চাইলেই দেখতে পারে, সেসব সফটওয়্যারকে ওপেনসোর্স সফটওয়্যার বলে। আপনি চাইলে সেই সোর্স কোড পরিবর্তনও করতে পারবেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, সোর্স কোড কী? একজন প্রোগ্রামার লাইনের পর লাইন কোড লিখে সফটওয়্যার বানিয়ে থাকে। এই লাইনের পর লাইন কোডগুলোই হচ্ছে সোর্স কোড।
যখন ফ্রি এবং ওপেনসোর্স সফটওয়্যার কথাটা বলা হয় তখন ফ্রি দিয়ে দুটো জিনিস বোঝায়। প্রথম, ফ্রি মানে হচ্ছে বিনা পয়সায় মুফতে মেলে এমন। মানে এটা ব্যবহার করতে টাকা-পয়সা লাগে না। দ্বিতীয়, ফ্রি মানে হচ্ছে ফ্রিডম। ফ্রিডম মানে এই সফটওয়্যার আপনি যেকোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।


অনেক কমার্শিয়াল সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো আপনি কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেমনঃ অনশেপ (Onshape) একটি জনপ্রিয় ক্যাড (CAD) ডিজাইন সফটওয়্যার। কম্পিউটারের সাহায্যে কোন কিছুর (বাড়িঘর, রোবট, গাড়ি, মেডিকেল ডিভাইস ইত্যাদি) ডিজাইন করাই হল ক্যাড সফটওয়্যারের কাজ। তো এই অনশেপ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি যদি এমন কাজ করেন যাতে আপনার অর্থ উপার্জন হয় তাহলে অনশেপ সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে আপনাকে বছর বছর টাকা (সাবস্ক্রিপশন ফি) দেওয়া লাগবে।
ওপেনসোর্স সফটওয়্যার কেন প্রয়োজন?
শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা থাকে না বা স্বল্প পরিমাণে থাকে। এই টাকা দিয়ে কোন একটা সফটওয়্যার কিনে সেটা ব্যবহার করার সামর্থ্য বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের থাকে না। আবার, পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা আইনত নিষিদ্ধ। এমনকি পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করলে আপনার জেল পর্যন্ত হতে পারে। যদিও বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করাকে অপরাধ হিসেবে দেখার সংস্কৃতি গড়ে উঠেনি।


অনেকেই এক্ষেত্রে মত দেন যে, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে মানুষদের কম্পিউটার কিনতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয়। তারা সফটওয়্যার কেনার টাকা পাবে কোথায় থেকে? এই যুক্তির কোন ভিত্তি নেই। কারণ, ধরা যাক আপনার রসমালাই খেতে মন চাইল। কিন্তু আপনার কাছে রসমালাই কেনার মত টাকা নেই। এখন কি আপনি দোকান থেকে চুরি করে রসমালাই খাবেন?
অনেকেই হয়ত রসমালাই খাওয়ার সাথে সফটওয়্যার ব্যবহার করার সাদৃশ্য মেনে নিতে পারছেন না। আপনি একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছেন সফটওয়্যার কাউকে না কাউকে তৈরি করতে হয়। এমন নয় যে আলাদীনের চেরাগের দৈত্য এসে সফটওয়্যার বানিয়ে যায়! সফটওয়্যার ডেভেলপারদের খেয়ে পরে বাঁচতে হয়। সুতরাং তাদেরও টাকার প্রয়োজন। তাই, আপনি যখন কোন পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন তখন আসলে আপনি অপরাধ করছেন।
আরও পড়ুন: আফ্রিকা: প্রযুক্তি খাতে অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল এক অঞ্চল
শিক্ষার্থীদের মন হচ্ছে কাদা-মাটির মত। তারা যদি এই বয়সেই অপরাধ করা শিখে যায় তখন পেশাদার জীবনে আরও বড় অপরাধ করতে তাদের হৃদয় কেঁপে উঠবে না।
ওপেনসোর্স সফটওয়্যারের সোর্স কোড যেহেতু নিজের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করা যায় তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চাইলেই তাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে সফটওয়্যারগুলোকে কাস্টমাইজ করে নিতে পারে। এতে করে শিক্ষার্থীরা আরও সহজে তাদের শিখন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে।
শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে জ্ঞান আর তথ্য ভাগাভাগি করে নেওয়া। শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে আবিষ্কৃত জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন জ্ঞান উৎপাদন করবে এটাই তো চাওয়া। খেয়াল করলে দেখবেন যে, শিক্ষার্থীদের মানসজগতে এই পুরনো জ্ঞান ব্যবহার করে নতুন জ্ঞান তৈরির ধারণা – এই বীজ রোপণ করতে ওপেনসোর্স সফটওয়্যার উদাহরণ হিসেবে কাজ করে।
শিক্ষকদের সহায়তা করার জন্য বেশকিছু ওপেনসোর্স স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার রয়েছে। যেমন: Opensis, Epoptes, Fedena ইত্যাদি। এসব সফটওয়্যারের মাধ্যমে হাজিরা নেওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকানা, ফোন নম্বর, ইমেইল ডেটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করা, শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া, সেগুলো প্রাপ্ত নম্বর সংরক্ষণ করে রাখা, গ্রেডশিট তৈরি করা, শিক্ষার্থীদের পারফর্মেন্স গ্রাফ বানানোসহ হাজারটা কাজ করা যায়। ওপেনসোর্স হওয়ায় আপনি সফটওয়্যারগুলোকে আপনার বিদ্যালয়ের সুবিধামত কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। আপনি এমন একটা ফিচার চাইছেন যা সেই সফটওয়্যারগুলোতে নেই। আপনি ওপেনসোর্স সফটওয়্যারে সেই ফিচার নিজের মত করে যোগ করে নিতে পারবেন। কিন্তু কমার্শিয়াল সফটওয়্যার হলে কি তা করতে পারতেন!


মানুষ অভ্যাসের দাস
আমরা ছোটবেলায় যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করে অভ্যস্ত হয়ে যাই, বড় হয়ে সেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি মাসল মেমোরির জন্য। হয়ত দুইটি সফটওয়্যারে একই ফিচার আছে কিন্তু দুইটার ইউজার ইন্টারফেস আলাদা। একটা সফটওয়্যারে একটা অপশন যেখানে আছে অন্য সফটওয়্যারে হয়ত সেই অপশন অন্য জায়গায় আছে। আমাদের ধৈর্য কম, একটা বয়সের পর গিয়ে নতুন কিছু শিখতে আমরা অনীহা প্রকাশ করি।


কোম্পানি কর্মচারীদেরকে ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে বাধ্য করলেও কর্মচারীরা তার প্রতিবাদ করেন। এছাড়াও নতুন সফটওয়্যারে সুইচ করলে প্রথম প্রথম কর্মদক্ষতা হ্রাস পায় – যার ফলে কোম্পানি ক্ষতির স্বীকার হতে পারে। তাই কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়েই জনপ্রিয় সফটওয়্যারগুলো কিনে। কারণ, কর্মক্ষেত্রে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। ভাইরাস ও ম্যালওয়ারের ঝুঁকি একদিকে তো আছেই, অন্যদিকে আইনি ঝামেলার সম্মুখীন হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
তাই, শিক্ষাক্ষেত্রে ফ্রি ও ওপেনসোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করা শিখে রাখলে কর্মজীবনে সফটওয়্যার ব্যবহারজনিত খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এতে কোম্পানির অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। বিশেষ করে স্টার্টআপ কোম্পানির জন্য এটা আশীর্বাদ।
টাকায় টাকা আনে
অনেক সময় কমার্শিয়াল সফটওয়্যার প্রস্তুতকারী কোম্পানি ইউটিউবারদের স্পনসর করে। এই কারণে আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন যে, ফ্রি সফটওয়্যারগুলোর তুলনায় কমার্শিয়াল সফটওয়্যারগুলোর টিউটোরিয়ালের সংখ্যা বেশি।


এছাড়াও আপনি যখন ফোন কিনেন তখন দেখবেন যে অনেক অ্যাপ বা সফটওয়্যার প্রি-ইনস্টল করে দেওয়া আছে। এভাবেও কমার্শিয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করতে আপনাকে বাধ্য করা হচ্ছে।
এসব পড়ে আপনি আবার যদি মনে করেন কমার্শিয়াল সফটওয়্যার মানেই খারাপ তাহলে ভুল করছেন।
সময় কি কেনা যায়?
সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না – ছোটবেলায় এটা মুখস্থ করে আমরা বড় হয়েছি। আজকে আপনাদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় – সময় কি কেনা যায়? আপনি কী জবাব দেবেন?
আপনার জবাব যদি না হয়ে থাকে তবে আরেকবার ভেবে দেখুন। প্রায়শই দেখা যায় বিভিন্ন কমার্শিয়াল সফটওয়্যারে এমন সব ফিচার যুক্ত করা হয় যার কোন প্রয়োজন ছিল না কিন্তু সেসব ফিচার যুক্ত করার ফলে হয়ত আপনাকে মাউসের ১টা ক্লিক কম করতে হবে বা কিবোর্ডের ২টা বাটন কম প্রেস করতে হবে।
এই ১টা-২টা ক্লিকই অনেক সময় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকারী ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। কারণ, দিনে যদি আপনাকে ১০০টা ক্লিক কম করতে হয় তাহলে বছর শেষে একটা বড়সড় পরিমাণ সময় সাশ্রয় হবে।


এজন্যই বলা হয়-
তোমার কাছে যদি অর্থ থাকে তাহলে কমার্শিয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার কর
আর যদি তোমার কাছে সময় থাকে তাহলে ফ্রি সফটওয়্যার ব্যবহার কর
কমার্শিয়াল সফটওয়্যার যে সর্বদা সময় সাশ্রয় করবে এমনটা ভেবে আবার ভুল করবেন না যেন! আবার কমার্শিয়াল সফটওয়্যার মানেই যে তা ফ্রি সফটওয়্যারের চেয়ে ভালো হবে এমন ধারণাও ঠিক নয়।
প্রিয় পাঠক, এই নিবন্ধের শুরুতে যে বাঘ আর হরিণের গল্প করেছিলাম তার সাথে কী এবার কোন সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন? আমি জানি আপনি বুদ্ধিমান। আপনি অবশ্যই সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছেন। সাদৃশ্য যেহেতু খুঁজে পেয়েছেন, সেহেতু অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।
Oktave এবং Matlab সংক্রান্ত নিবন্ধ, কমসেকম পোস্ট আশা করছি লেখক থেকে!!!!
এ বিষয়টা অনেক বেশি টেকনিক্যাল হয়ে যাবে এই ব্লগের জন্য।
কয়েকদিন আগের কথা, আমার ল্যাপটপে ইন্সটল করে দেয়া IDM এর ফ্রি ট্রায়াল শেষ হয়ে যায়। ভাবলাম লাইসেন্স করে ফেলি। যখন লাইসেন্স ফি দেখলাম, আর হালাল পন্থায় যাওয়ার ইচ্ছা হল না!
তারপর IMD -এর প্যাচ খোঁজা শুরু করে দিলাম। একটা ব্যাকডেটেড ভার্সনের প্যাচ ইন্সটল করার দুই দিনের মাথায় দেখলাম লেটেস্ট অনেক ফিচার পাচ্ছি না।
তারপর, xdm (extreme download manager-an open source software ) ইন্সটল করি। সত্যি বলতে, xdm এর ইন্টারফেসের সাথে খাপ খাওয়াতে এখনো সমস্যা হচ্ছে।
কমার্শিয়াল সফটওয়্যার গুলোর মতো ওপেন সোর্স গুলো এত ইউজার-ফ্রেন্ডলি কি না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।
আর হ্যাঁ, তোমার নিবন্ধ থেকে নতুন কিছু চিন্তা-ভাবনা খুজে পেয়েছি। ধন্যবাদ❤️
আপনি আপনার সুচিন্তিত মতামত যে আমাদের জানিয়েছেন তার জন্যে আমি যারপরনাই আনন্দিত।
তবে একটি সফটওয়্যার দিয়েই বিবেচনা করা ঠিক হবে না। কমার্শিয়াল সফটওয়্যার মানেই ইউজার ফ্রেন্ডলি আর ফ্রি সফটওয়্যার মানেই যে ইউজার ইন্টারফেস খারাপ তা সবসময় সত্যি নয়। আবার এর উল্টোটাও সত্যি নয়। আবার মাসল মেমোরি এবং অভ্যাসের কারণে কোন সফটওয়্যারের ইন্টারফেস সহজ বা কঠিন লাগতে পারে। বহুল জনপ্রিয় কিছু ওপেনসোর্স সফটওয়্যার হল- VLC media player, Firefox, Avro, Codeblocks। এগুলো হয়ত আপনি ব্যবহার করেছেন। এগুলো কি যথেষ্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি নয়?
তবে এটাও সত্য যে, আমিও আমার নাতিদীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে খেয়াল করেছি, কমার্শিয়াল সফটওয়ারগুলো সাধারণত মডার্ণ লুকিং আর ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
একটি পিসির জন্য IDM এর লাইফটাইম লাইসেন্সের দাম প্রায় দুই হাজার টাকা। তাই নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে ফ্রি ডাউনলোড ম্যানেজারগুলোর তুলনায় কি IDM এতটাই ভাল যে আমি দুই হাজার টাকা দিতে রাজি আছি! উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে IDM ব্যবহার করুন। আমি আমার নিবন্ধে কমার্শিয়াল সফটওয়্যারের বিরোধিতা করিনি। সমাজে কমার্শিয়াল সফটওয়্যারেরও প্রয়োজন আছে।
আবারও আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। এ ধরণের মন্তব্যই লেখককে লেখার অনুপ্রেরণা যোগায়।
আপনি আমার উদ্দেশ্যে যে প্রশ্নটি ছুড়ে দিয়েছেন তার উত্তর কাকতালীয় ভাবে আপনার নিবন্ধ-তেই রয়েছে।
কেন আমি ঘুরে ফিরে কমার্শিয়াল সফটওয়্যার কেই বেছে নেই?
১.কিভাবে জানি না, আমরা সাধারণ কম্পিউটার ব্যাবহারকারী যেসকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের অধিকাংশই কমার্শিয়াল(ব্যাতিক্রম – vlcmp, codebooks etc.)। এসকল সফটওয়্যারের ভালো বিকল্প ওপেন সোর্স সফটওয়্যার প্রায় নেই বললেই চলে।
২.প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে প্রথম থেকেই কেন কোন কাজের জন্য ওপেন সোর্সটাকে বেছে নিচ্ছি না? নিচ্ছি না এই কারনে যে, আমার সহপাঠী, কলিগ-রা একটা কমার্শিয়াল সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। আমি একা যাব না নতুন/ভিন্ন একটা সফটওয়্যার দিয়ে কাজ চালাতে। বেশিরভাগ সময়ই নতুন কোন সফটওয়্যার ট্রাই করা কনেক সময় সাপেক্ষ ও ক্লান্তিকর ব্যাপার। সবাই মিলে কিছু একটা এক্সপোর করা অনেক ইজি এবং ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়।
তারপর প্রশ্ন আসতে পারে, এতই যখন সুবিধা, তো কিনে নিচ্ছেন না কেন?
এর উত্তর ও আপনি দিয়ে দিয়েছেন!
টাকা নেই যে…