- অ্যাশেজ: ছাইভস্ম থেকে অভিজাত টেস্ট সিরিজ হয়ে ওঠার গল্প - November 4, 2020
- ইউরোপ: ভ্রমণপিপাসুদের জন্য শীর্ষ ৭টি স্থান - October 25, 2020
- পেলে: ফুটবল ইতিহাসে কালজয়ী এক সম্রাটের ইতিকথা (শেষ পর্ব) - October 5, 2020
ক্রিকেট সারাবিশ্বে সর্বাধিক পরিচিত এবং জনপ্রিয় খেলাধুলার মধ্যে একটি। ২২ গজের মাঠের এই লড়ায়ের সূচনা হয় ইংরেজদের হাত ধরে। পরবর্তীতে বিভিন্ন উপনিবেশগুলোতে এ খেলাটির বিস্তার ঘটে। ঐতিহ্যপূর্ন এই খেলাটির পরতে পরতে রয়েছে যেমন নানান ইতিহাস, ঠিক তেমনি রয়েছে নজরকাড়া জনপ্রিয়তা।আর,এই জনপ্রিয়তাপূর্ণ খেলাটির ঐতিহ্যময় এক আসর হচ্ছে অ্যাশেজ যেখানে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া প্রায় ১৩৮ বছর ধরে এই আসরে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে। চলমান নিবন্ধ অ্যাশেজের ইতিহাস, পরিচিতি এবং আরো নানা জানা-অজানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে।


প্রাককথন
১৮৮২ সালের ২৮ ই আগস্ট। ওভাল গ্রাউন্ড। তিন দিনের একটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। সবেমাত্র এই খেলার জন্ম, তাই অনেকের মাঝেই আগ্রহের কমতি নেই। টস জিতে প্রথমে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে এসে মাত্র ৬৩ রানেই গুটিয়ে যায়। জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩৮ রানের লিড নিয়ে ১০১ রানে থেমে যায়।
পরের ইনিংসে ১২২ রানে থামে অসিদের ইনিংস। এতে, ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য টার্গেট আসে ৮৫ রানের। কিন্তু ৭৭ রানে থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস। যার ফলে ৭ রানে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে জয় তুলে নেয়।
সংবাদপত্রে ঈর্ষা ও লজ্জার উক্তি
খেলায় একদল জয়ী, আরেকদল পরাজিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্বাভাবিক করে তুলে তৎকালীন ইংলিশ বিখ্যাত গণমাধ্যম ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস’। তারা এই পরাজয়কে সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি।
যার ফলস্বরূপ, সেই ম্যাচের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংবাদ ছাপায় মিডিয়ায় এমন, আজ ঐতিহাসিকভাবে ইংলিশ ক্রিকেটের মৃত্যু হলো, মরদেহটি দাহ করা হবে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়ায় প্রেরণ করা হবে।
এমন সংবাদে পুরো ইংল্যান্ড ক্রিকেটে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।ঠিক তিন সপ্তাহ পরে ইংলিশরা ছাই পুনরুদ্ধারের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর করে। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে অসিদের কাছে নয় উইকেটে হেরে যায় ইংল্যান্ড। তবে, পরের দুই ম্যাচে জয়লাভ করে সিরিজ পুনরুদ্ধার করে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের এই সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে তৎকালীন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ব্লাই। মেলবোর্নে সেই সিরিজ জয়ের পর একদল নারী অধিনায়ক ব্লাইকে স্তুূপাকার একটি পাত্রে বেলের (স্ট্যাম্পের উপরে থাকে) ছাই উপহার দেয়।


তখন থেকে সিরিজটির নাম হয়ে যায় অ্যাশেজ বা ছাই। এরপর থেকে সিরিজে যে দলটি বিজয়ী হতো তাদেরকে ট্রফি হিসেবে এই ছাইয়ের পাত্রটি দেওয়া হতো। তবে তৎকালীন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ব্লাইয়ের মৃত্যুর পর ঐতিহাসিক সেই ট্রফিটি এমসিসি নামক জাদুঘরে সংরক্ষিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮-৯৯ সালের সিরিজ আবার নতুন করে ঐতিহাসিক ট্রফির রেপ্লিকা হিসেবে ক্রিস্টাল নির্মিত ট্রফিটি বিজয়ী দলকে উপহার দেওয়ার প্রথা চালু হয়। সেই ১৮৮২ সাল থেকে শুরু হওয়া মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটির জৌলুস একটুও কমেনি।প্রতিবছর অনেক আগ্রহ-উদ্দীপনার সাথে দর্শকগণ সিরিজটির জন্য মুখিয়ে থাকেন।
এপর্যন্ত, অ্যাশেজে মোট ৭১টি সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ৩৩ টি এবং ইংল্যান্ড ৩২ টি সিরিজ জয়লাভ করে। বাকি পাঁচটি সিরিজ ড্র হওয়ায় ১৯৩৮, ১৯৬২-৬৩, ১৯৬৫-৬৬, ১৯৬৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখে। অপরদিকে ইংল্যান্ড ১৯৭২ সালে একবার মাত্র অ্যাশেজ নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুন: মেসি নাকি রোনালদো, শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় কে এগিয়ে?
৭১টি সিরিজে মোট ৩৩৫ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে অস্ট্রেলিয়ার মোট ১৩৬ টি ম্যাচের বিপরীতে ইংল্যান্ড মাত্র ১০৮ টি ম্যাচ জয়লাভ করে। বাকি ৯১ টি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। অ্যাশেজ সাধারণত ৫ ম্যাচের সিরিজ হয়ে থাকে। তবে, ১৯৩৮ এবং ১৯৭৫ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজটি ৪ ম্যাচের হয়েছিল। এছাড়াও, ১৯৭৪-৭৫, ১৯৭৮-৭৯, ১৯৮১-৮২, ১৯৮৯, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৭ সালে ছয় টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ হয়েছিল। ঐতিহাসিক এই অ্যাশেজে কিছু স্মরণীয় সিরিজ দেখেছিল গোটা বিশ্ব ক্রিকেট যা অ্যাশেজ ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যুগের পর যুগ। সেই মূল্যবান স্মৃতির খনি থেকে কিছু অমূল্য রত্ন পাঠকের জন্য উপস্থাপন করা হলো:
অ্যাশেজ ২০০৫: ইংল্যান্ডের অসাধারণ সিরিজ জয়
২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজটি ছিল ইংল্যান্ডের জন্য ঐতিহাসিক একটি সিরিজ। কেননা, দীর্ঘ ১৯ বছরের অ্যাশেজ জয়ের আক্ষেপ অবশেষে ঘুচে ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের মাধ্যমে। লর্ডসে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড হেরে যায় ২৩৯ রানের বিরাট ব্যবধানে। কিন্তু,২য় টেস্টে সে সময়কার অস্ট্রেলিয়ার ফার্স্ট বোলার গ্রেন ম্যাকগ্রার ইনজুরিতে কপাল খোলে ইংল্যান্ডের। ইংলিশ ব্যাটসম্যান অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের দূর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ২য় টেস্ট জিতে নেয় ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্টটি ড্র হয়।তবে,চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ১৩৯ রানের তাড়া করতে নেমে শের্ন ওয়ার্নের বিধ্বংসী বোলিংয়ে নাজেহাল হয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।
শেষমেশ, ভাগ্য সহায় হয় ইংলিশদের! মাত্র তিন উইকেটে জয় পায় ইংল্যান্ড এবং এতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সিরিজের শেষ এবং ৫ম টেস্টে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় হারের কাছে প্রায় পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। তবে, কেভিন পিটারসনের অনবদ্য ১৫৮ রানের ইনিংসে জয়ের সমান এক ড্র পায় ইংল্যান্ড। এই ড্রয়ের উপর ভর করেই ২-১ ব্যবধানে দীর্ঘ ১৯ বছর পর সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজ ১৯৮১: ইয়ান বোথামের অ্যাশেজ নৈপুণ্য
‘ওয়ান ম্যান সিরিজ’ নামে খ্যাতি পাওয়া ১৯৮১ সালের অ্যাশেজ সিরিজের পিছনের নায়ক ছিলেন তৎকালীন ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম।
সেবার, অধিনায়কত্ব দিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে অভিষেক হয় তার। প্রথম টেস্টে জিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। ২য় টেস্টে ড্র দিয়ে শেষ হয় এবং অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বোথাম। তৃতীয় টেস্টে তার সক্ষমতা প্রকাশ পায়, এক অর্ধশতক এবং ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে জয়ের স্বাদ পায় ইংল্যান্ড। চতুর্থ টেস্টে তার অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ১৫১ রানের টার্গেট ছুঁতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ১১ রানে প্রতিপক্ষের ৫ উইকেট শিকার করে ২৯ রানের স্বস্তির জয় এনে দেন ইংল্যান্ডকে। সিরিজের ৫ম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে না পারলেও তার ১১৮ রানের অনবদ্য ইনিংসে ১০৪ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড এবং সিরিজ নিশ্চিত হয়ে তাদের। ষষ্ঠ এবং শেষ টেস্টটি ড্র হওয়ায় ৩-১ অ্যাশেজ সিরিজ নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড।
অ্যাশেজ ১৯৭৪: লিলি-থমসনের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য
ডেনিস লিলি এবং থমসন ছিলেন ১৯৭৪ এর অ্যাশেজ সিরিজের অস্ট্রেলিয়ার দুই বিধ্বংসী বোলার। সেই সিরিজে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কের নাম ছিল থমসন-লিলি। তাদের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে প্রথম ৫ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয়। পরবর্তীতে, শেষ টেস্টে থমসন ইনজুরিতে পড়ায় শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পায়। সেই সিরিজে থমসন মোট ৩৩ টি উইকেট এবং লিলি ২৫ টি শিকার করে। অস্ট্রেলিয়া ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে প্রায় ১০ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের খরা ঘোচাতে সক্ষম হয়।
অ্যাশেজ ১৯৪৮: অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক জয়
১৯৪৮ সালে স্যার ডন ব্রাডম্যানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে নিজের শেষ টেস্ট (অ্যাশেজ সিরিজ) খেলতে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তার অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুন্যে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চারটি টেস্ট জয়লাভ করে সিরিজ নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ফলাফল নিশ্চিত থাকলেও শেষ টেস্ট ছিল নাটকীয়তাপূর্ণ। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৩৮৯ রান সংগ্রহ করে কিন্তু ব্রাডম্যান শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে যায়। ২য় ইনিংসে ইংল্যান্ড মাত্র ১৮৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় তাকে আর মাঠে নামতে হয়নি। যার ফলে, মাত্র চার রানের জন্য টেস্টে তার গড় শতকে পৌঁছেনি। স্যার ডন ব্রাডম্যানের টেস্টে গড় ছিল ৯৯.৯৪।
অ্যাশেজ ১৯৩২-৩৩: বিতর্কিত বডিলাইন সিরিজ
বলা হয়ে থাকে অ্যাশেজ ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত সিরিজটি হলো ১৯৩২-৩৩ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি স্যার ডন ব্রাডময়ানকে থামানোর জন্য তৎকালীন ইংল্যান্ড ফার্স্ট বোলার ডগলাস ডার্জিনের বিতর্কিত সেই ‘লেগ থিওরি’ অ্যাশেজ ক্রিকেট ইতিহাসে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। বিতর্কিত লেগ থিওরিটি হলো, শর্ট পিচে দ্রুতগতিতে বল ছুড়লে তা ব্যাটসম্যানের মাথার উপর দিয়ে গা ঘেঁষে চলে যাবে। যার ফলে ব্যাটসম্যান তেমন ভালো সুবিধা করতে পারবে না। সেসময় মাথায় কোন প্রকারের হেলমেটের প্রচলন ছিল না, যার ফলে এটি ব্যাটসম্যানদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো।ইংল্যান্ড সেসময় সিরিজটি ৪-১ ব্যাবধানে জিতে নিজেদের করে নেয়। পরবর্তীতে, অস্ট্রেলিয়ান গণমাধ্যম এমন বোলিং কৌশলকে ‘বডিলাইন’ নামে আখ্যায়িত করে। সেই থেকে সিরিজটি বডিলাইন সিরিজ নামে নতুন মাত্রা পায়।
১৩০ বছরের পুরনো মর্যাদাপূর্ণ এই আসরটিতে কিছু বিরল রেকর্ড রয়েছে,যেগুলো অ্যাশেজের আভিজাত্যকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।সেই বিরল রেকর্ডগুলো:
- অ্যাশেজ ইতিহাসে একজন ক্রিকেটারের ঝুলিতেই সর্বাধিক রান সংগ্রহ, সর্বাধিক সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ গড়; এই তিনটি রেকর্ড আছে। মাত্র ৩৭ টেস্টে ৪৯.৭৮ গড়ে মোট ১৯ টি সেঞ্চুরির সহায়তায় মোট ৫০২৮ রানের মালিক স্যার ডন ব্রাডম্যান।
- অ্যাশেজের সর্বাধিক উইকেটের মালিক অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন। মাত্র ৩৬ ম্যাচে ১৯৫ টি উইকেট শিকার করেন যেখানে মাত্র ১১ ইনিংসে ৫ উইকেট এবং ৪ ইনিংসে একা দশ উইকেট শিকার করেন এই কিংবদন্তি বোলার।
- অ্যাশেজ সিরিজে সবচেয়ে চমকে দেবার মত তথ্য হলো,ইংলিশ কিংবদন্তি বোলার উইলিয়াম অ্যাটয়েল ১০ ম্যাচে ৪৭৫ ওভার বল করে মাত্র ৬২৩ রান খরচ করেন, যেখানে ওভার প্রতি গড় ইকোনমি ছিল ১.৩১! এটাই অ্যাশেজ ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান খরুচে বোলারের রেকর্ড।
- অ্যাশেজে সেরা বোলিং ফিগারের তালিকায় আছেন ইংলিশ আরেক কিংবদন্তি বোলার জিমি লেকার। তিনি ১৯৫৬ সালের ম্যাটচেস্টার সিরিজে এক ইনিংসে ৫৩ রান খরচ করে ১০ টি উইকেট তুলতে সক্ষম হন। এটাই এপর্যন্ত অ্যাশেজের সেরা বোলিং চিত্র। তিনি সর্বমোট দুটি ইনিংসে ১৯ উইকেট তুলতে সক্ষম হন, যার উপর ভর করে ইংল্যান্ড সেই ম্যাচে এক ইনিংস এবং ১৯০ রানের বিশাল জয় পায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
- ১৯৩৮ সালের ওভালে ইংল্যান্ড এক ইনিংসে মাত্র ৭ উইকেট খরচ করে ৯০৩ রানের বিশাল ইনিংস খেলে। যা এপর্যন্ত এক ইনিংসে সর্বাধিক রানের রেকর্ড। সেই ইনিংসে আরেকটি রেকর্ড করে ইংল্যান্ড চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক ইনিংস এবং ৬৭৯ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়ে। অ্যাশেজ ইতিহাসে এটি বিরল রেকর্ড।
- অস্ট্রেলিয়া ১৯০২ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৭৬ রানের তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে যায়।অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের ইনিংস ছিল এটি।
তথ্যসুত্র:
প্রচ্ছদ চিত্রসূত্র – Daily Mail